আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ শায়েখ।
আমি অনলাইনে একটা পেইজ থেকে ফার্স্টটাইম একটি ক্রীম,বাদাম আর  অর্ডার দেই।বলা হয়েছিল বাদাম ২ টা জারে দেয়া হবে।কিন্তু অর্ডার রিসিভ করে নিয়ে আসার পর দেখি,১ জারে বাদাম দেয়া আর ক্রীম দেয়া হয়নি।জানানোর পর বলেছে বাদাম ১ টা জারেই দুটো দিয়েছে।আর ক্রীম ও দিয়েছে। আমি ক্রীম পাই নি বলার পর বলেছে ডেলিভারি ম্যানের সামনে চেক করিনি কেন?এটা উনারা এখন বিশ্বাস করবে না। আমি তো তখন চেক করিনি, আর এমনটা হবে ভাবিই নাই।আর উনাদের বিশ্ব্যস্ততা সম্পর্কেও আমার কোনো ধারণা নেই,তাই প্রতারক ভেবেছি।আর অত্যন্ত কষ্ট পেয়ে ধৈর্য হারিয়ে হক আদায়ের জন্য বলেছি, "আল্লাহর কাছেই বিচার দিলাম যেহেতু আমার কাছে কোনো সাক্ষী নাই,এবং এই ব্যবসাকে আল্লাহ ধ্বংস করুন যারা মানুষের বিশ্বাসকে ধোঁকা দিয়ে ব্যবসা করে"। এটা বলার পর টাকা টা ফেরত দিয়েছে এবং বলেছে," আপনার নামেও বদদোআ করতে থাকবো যে, আপনার অসতর্কতার জন্য আমার লস হলো"।
পরে এটা শুনে বলেছি আমার টাকাই লাগবে না হক দিয়ে গিয়ে হকদ্বারের নামেই বদদোআ!কিন্তু তারপরেও দিয়েছে। এরপর আমি মেসেজ দিয়ে আমার কথাবার্তার জন্য মাফ চেয়েছি এবং বলেছি আমি বদদোআ উঠিয়ে নিয়েছি,,আমাকেও মাফ করে দিন আল্লাহর ওয়াস্তে। উনি কিছু বলেননি।
এখন আমার প্রশ্ন হলো, এই বদদোআ কি আমার  উপর পড়বে?
যদি পড়ে,তাহলে না পড়ার জন্য কি করতে পারি?টাকা তো ফেরত নিবে না , সেক্ষেত্রে কি সাদাকা করে দিবো?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


অভিশাপ দেওয়া সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أنَّ رَجُلًا اِسْمُه عَبْدُ اللّٰهِ يُلَقَّبُ حِمَارًا كَانَ يُضْحِكُ النَّبِىَّ ﷺ وَكَانَ النَّبِىُّ ﷺ قَدْ جَلَدَه فِى الشَّرَابِ فَأُتِىَ بِهِ يَوْمًا فَأَمَرَ بِه فَجُلِدَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ : اَللّٰهُمَّ الْعَنْهُ مَا أَكْثَرَ مَا يُؤْتٰى بِه فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ : «لَا تَلْعَنُوْهُ فَوَ اللهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّه يُحِبُّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَه». رَوَاهُ البُخَارِىُّ

‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তির নাম ছিল ‘আবদুল্লাহ, কিন্তু তাকে ‘হিমার’ (গাধা) উপাধিতে ডাকা হতো। সে (অবোধের ন্যায় কথাবার্তা বলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে হাসাতো। একদিন মদ্যপায়ীর জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ওপর দণ্ড প্রয়োগ করেছিলেন। এরপর আবার একদিন তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনা হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে চাবুক মারার নির্দেশ করলেন। তখন এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহ! তার ওপর তোমার অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। কতবারই না তাকে এ অপরাধে আনা হলো? এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে অভিশাপ দিও না। আল্লাহর শপথ! আমি তার সম্পর্কে জানি যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে ভালোবাসে।
(সহীহ : বুখারী ৬৭৮০,মিশকাত ৩৬২৫)
,
আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার জন্য তার জন্য বদ দুয়া করা ঠিক হয়নি।
তদুপরি যেহেতু মাফ চেয়ে নিয়েছেন,সুতরাং এক্ষেত্রে আর কোনো সমস্যা নেই।

★এক্ষেত্রে সে যেহেতু আপনাকে বদ দুয়া দিয়েছে,সুতরাং আপনি এখন তার গুনাহ মাফের দোয়া চাইবেন,অভিশাপের বিপরিত তার জন্য ভালো কিছু করে আল্লাহর কাছে চাইবেন,এবং তওবা ইস্তেগফার পাঠ করবেন।
ইনশাআল্লাহ ক্ষতি হবেনা।

★প্রশ্নের বিবরণ মতে বাদাম আর ক্রিম যদি ফিরিয়ে দিয়ে আপনি সেই টাকা গ্রহন করে থাকেন,সেক্ষেত্রে টাকা আপনি নিজেই ব্যবহার করবেন।
সদকাহ করতে হবেনা।

আর যদি আপনি বাদাম ফিরিয়ে না দিয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে উক্ত বাদাম সমপরিমাণ টাকা তাদের মোবাইলে ফ্লাক্সিলোড বা বিকাশ ইত্যাদি মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবেন।
কোনোভাবেই সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।

আর অবশিষ্ট টাকা নিজের কাছে রেখে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ শায়েখ। 
ক্রীম যেটা আমি পাইনি,সেটার টাকা ফেরত দিয়েছে শুধু।এই টাকাটা উনাদের ফেরত দিবো অথবা না পারলে সাদাকা করে দিবো? 
আর বাদামের টাকা নিয়েছে এবং বাদাম আমার কাছে আছে। এটাও কি ইউজ করা ঠিক হবে না?
by (559,140 points)
"ক্রীম যেটা আমি পাইনি,সেটার টাকা ফেরত দিয়েছে শুধু"


আপনি এই টাকা ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই। ফেরত দিতে হবেনা,গরিব মিসকিনকেও দিতে হবেনা।

বাদাম ইউজ করা যাবে,এতে কোনো সমস্যা নেই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...