জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।
ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵)
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।
আরো জানুনঃ-
★যে শব্দ বলে কসম কাটবে, তার নিয়ত যদি ঐ শব্দের চাহিদার বিপরীত না হয়,বরং ঐ শব্দ সেই নিয়তের সম্ভাবনা রাখে,এমন হতে হবে।
তার খেলাফ হওয়া যাবেনা।
এখানে যে শব্দ বলে কসম কাটবে, নিয়ত ঐ শব্দের চাহিদার বিপরীত না হতে হবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
رد المحتار على الدر المختار
كتاب الأيمان
باب اليمين في الدخول والخروج والسكنى والإتيان والركوب وغير ذلك
جزء: 3
صفحة: 743
[ ص: 743 ] باب اليمين في الدخول والخروج والسكنى والإتيان والركوب وغير ذلك الأصل أن الأيمان مبنية عند الشافعي على الحقيقة اللغوية ، وعند مالك على الاستعمال القرآني ، وعند أحمد على النية ، وعندنا على العرف ما لم ينو ما يحتمله اللفظ فلا حنث في لا يهدم إلا بالنية فتح .
সারমর্মঃ-
ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর নিকট কসম এর ভিত্তি হাকিকি আভিধানিক অর্থের উপর।
ইমাম মালেক রহঃ এর নিকট কসম এর ভিত্তি কুরআনী ব্যবহার পদ্ধতির উপর।
ইমাম আহমদ রহঃ এর নিকট কসম এর ভিত্তি নিয়তের উপর।
আমাদের (হানাফিদের) নিকট কসম এর ভিত্তি সামাজিক প্রচলনের উপর,সামাজিক প্রচলিত অর্থের উপর। যতক্ষন পর্যন্ত শব্দ যে অর্থের সম্ভাবনা রাখেনা সেই অর্থের নিয়ত না করবে।,,,
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/৭৪৩)
আরো জানুনঃ-
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আমাদের (হানাফিদের) নিকট কসম এর ভিত্তি সামাজিক প্রচলনের উপর,সামাজিক প্রচলিত অর্থের উপর। যতক্ষন পর্যন্ত শব্দ যে অর্থের সম্ভাবনা রাখেনা সেই অর্থের নিয়ত না করবে।
এ কথাটির ব্যখ্যাঃ-
আপনি যেই শব্দ বলে কসম করবেন,সেই শব্দের অর্থ সমাজে কি প্রচলিত আছে,সেটিই এখানে বুঝাবে।
কসম এর ভিত্তি তার উপরেই হবে।
যেমন কেহ কসম করলো যে আমি মাথা খাবোনা,তো এর দ্বারা সমাজে মাছের মাথা,খাশির মাথা ইত্যাদি বুঝায়।
চড়ুই পাখির মাথা বুঝায়না।
সুতরাং এক্ষেত্রে মাছের মাথা,খাশির মাথা খেলে কসম ভঙ্গ হয়ে যাবে,চড়ুই পাখির মাথা খেলে কসম ভঙ্গ হবেনা।
(উসুলুশ শাশী)
★যতক্ষন পর্যন্ত শব্দ যে অর্থের সম্ভাবনা রাখেনা সেই অর্থের নিয়ত না করবে।
এ কথাটির ব্যখ্যাঃ-
আপনি যেই শব্দ বলে কসম করবেন,সেই শব্দের অর্থ সমাজে কি প্রচলিত আছে,সেটিই এখানে বুঝাবে।
কসম এর ভিত্তি তার উপরেই হবে।
হ্যাঁ যদি আপনি ঐ শব্দ বলে এমন কোনো অর্থের নিয়ত করেন,যেই অর্থটি সেই শব্দ বলে নেয়া যায়না বা এমন অর্থের সম্ভাবনা থাকেনা,সেক্ষেত্রে কসমের ক্ষেত্রে সেই ভিন্ন অর্থের নিয়ত গ্রহনযোগ্য হবে।
সুতরাং নিয়তকৃত সেই অর্থ পাওয়া না গেলে কসম ভঙ্গ হবেনা।