আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
আমার নানুর সাত জন সন্তান। বর্তমানে জীবিত আছেন ছয়জন। নানুর মূমুর্ষ অবস্থা, যেকোনো সময় আল্লাহর কাছে চলে যাবার মত।
আমার আম্মুর (নানুর ছোট মেয়ে) কাছে নানু কিছু টাকা আমানত হিসেবে রেখেছিলেন বেশ কয়েকবছর আগে। এবং বলেছিলেন কাউকে এ টাকার ব্যাপারে না জানাতে।
১. এখন এ টাকার ব্যাপারে কি নানুর অন্যান্য সন্তান দের জানানো উচিত হবে?

২. নাকি এ টাকা কি নানুর চিকিৎসার কাজে ব্যয় করে দেয়া উচিত কাউকে না বলে?

৩. অথবা এ টাকা দিয়ে কি নানুর পক্ষ থেকে ওমরাহ্ করে আসতে পারবে?
৪. অথবা সাদাকায়ে জারিয়ার জন্য কিছু করা উচিত?

★নানুর কথা বলার মত কোনো অবস্থা নেই প্রায় একবছর যাবত। তাই এই টাকার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম।

1 Answer

0 votes
by (598,650 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঐ টাকা আপনার নানীর চিকিৎসায় ব্যয় করে নিতে পারবেন।যদি সবগুলো টাকা চিকিৎসায় ব্যয় না হয়,তাহলে যতগুলো টাকা থাকবে, সেই টাকা নানীর অন্যান্য সন্তানদেরকে অবগত করবেন।অথবা প্রথম থেকে নারীর সন্তানদের অবগত করতে পারবেন। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী যেটা কল্যাণকর বিবেচিত হবে,সেটাই করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...