বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিয়ের স্বাভাবিক বিধান হল,ইজাব ও কবুল এবং দুই জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে হওয়া।সাক্ষী উপস্থিত না থাকলে বিয়েই হবে না।
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين،
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮)
বিয়েতে দু'জন পুরুষ সাক্ষী অথবা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে,নতুবা বিয়েই হবে না।পুরুষ ব্যতীত শুধামাত্র মহিলাদের সাক্ষ্য দ্বারা বিয়ে সংগঠিত হবে না।হিজড়া সাক্ষী হিসেবে থাকতে পারবে।তবে তারা মহিলাদের মত দু'জন একজন পুরুষের সমকক্ষ হবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
لما في الفتاوى الهندية -ج:١،ص:٢٦٧(نسخة شاملة)
كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ وَيُشْتَرَطُ الْعَدَدُ فَلَا يَنْعَقِدُ النِّكَاحُ بِشَاهِدٍ وَاحِدٍ هَكَذَا فِي الْبَدَائِعِ وَلَا يُشْتَرَطُ وَصْفُ الذُّكُورَةِ حَتَّى يَنْعَقِدُ بِحُضُورِ رَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ، كَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَلَا يَنْعَقِدُ بِشَهَادَةِ الْمَرْأَتَيْنِ بِغَيْرِ رَجُلٍ وَكَذَا الْخُنْثَيَيْنِ إذَا لَمْ يَكُنْ مَعَهُمَا رَجُلٌ هَكَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ.
বিস্তারিত জানুন-১২৩৪
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এ দ্বীপ থেকে বের হওয়ার আর কোনো আশা নেই।এবং এখানে উভয় থাকলে নিশ্চিত যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হবেই।এজন্য তারা যদি মহর উল্লেখ পূর্বক বিয়ে করে নেয়,তাহলে তাদের বিয়ে হয়ে যাবে।
তবে যদি সেখান থেকে মুক্ত পৃথিবীতে আসার কোনো সম্ভাবনা থাকে,তাহলে তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে।এবং মুক্ত পৃথিবীতে এসেই দুইজন মুসলমান সাক্ষীর সামনে বিয়ে করতে হবে।