ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
যদি কেউ তার পরিপূর্ণ সালাত শেষে করার পর মনে পড়ে যে, সালাতে ভুল বা রাকাত সংখ্যার হেরফের হয়েছে, তাহলে সে নামাযকে নতুনভাবে পড়ে নেবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/3409
যদি নামাযে কোনো ওয়াজিব তরক হওয়ার কারণে কারো উপর সাহু সিজদা ওয়াজিব থাকে,এবং নামায সমাপ্ত করার পর কারো সাথে কথা বলার পূর্বে মনে হয়, তাহলে তাৎক্ষণাৎ সাহু সিজদা দিবে। সাহু সিজদাহর পর আবার দুরদ,তাশাহুদ, এগুলো পড়ে সালাত শেষ করবে।
(২)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সালাতের মধ্যে যদি হরফের উচ্চারণ মানে ছোয়াদ নাকি সিন আবার দোয়দ নাকি দাল এমন টাইপের সন্দেহ থাকে, তবে ঐ সালাত কি ভঙ্গ করে নতুন ভাবে পড়ে নেয়াই উত্তম। যদি এমন পরিবর্তনের কারণে সর্বক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না, তবে যেহেতু সবার জন্য বিষয়টা নির্ধারণ করা সম্ভবপর হবে না,তাই নামাযকে পূনরায় পড়ে নেয়াই উত্তম হবে।
(৩)
হায়েজ সেরে যাওয়ার পর হায়েজরত অবস্থায় যে কাপড় পরা হয়েছিল ঐ কাপড় দিয়ে নামায পড়া যাবে যদি তাতে নাপকি না থাকে।