জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন,
إِذَا صَلَّتِ الْمَرْأَةُ خَمْسَهَا، وَصَامَتْ شَهْرَهَا، وَحَصَّنَتْ فَرْجَهَا، وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا، دَخَلَتْ مِنْ أَيِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ.
‘‘রমণী তার পাঁচ ওয়াক্তের নামায পড়লে, রমযানের রোযা পালন করলে, ইজ্জতের হিফাযত করলে ও স্বামীর তাবেদারী করলে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছামত প্রবেশ করতে পারবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪।)
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيْ النِّسَاءِ خَيْرٌ؟ قَالَ: «الَّتِي تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إِذَا أَمَرَ وَلَا تُخَالِفُهُ فِي نَفْسِهَا وَلَا مَالِهَا بِمَا يَكْرَهُ» . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَان
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, কোন্ রমণী সর্বোত্তম? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে স্বামী স্ত্রীর প্রতি তাকালে তাকে সন্তুষ্ট করে দেয়, স্বামী কোনো নির্দেশ করলে তা (যথাযথভাবে) পালন করে এবং নিজের প্রয়োজনে ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ করে না।
হাসান :
(নাসায়ী ৩২৩১, আহমাদ ৭৪২১, ইরওয়া ১৭৮৬, সহীহাহ্ ৮৩৩৮, সহীহ আল জামি‘ ৩২৯৮.মিশকাত ৩২৭২।)
সালেহ আল মুনাজ্জিদ রহঃ বলেনঃ
ﺍﻟﻮﺍﺟﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺰﻭﺟﺔ ﻃﺎﻋﺔ ﺯﻭﺟﻬﺎ ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺃﻭ ﻓﻴﻤﺎ ﻳﻀﺮﻫﺎ ، ﺃﻭ ﻳﻀﻴﻊ ﺣﻘﻮﻗﻬﺎ ، ﻓﺈﻧﻬﺎ ﻻ ﺗﻄﻴﻌﻪ .
ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻤﺴﺎﺋﻞ ﺍﻟﺨﻼﻓﻴﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﺗﻜﻮﻥ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﻭﻳﻜﻮﻥ ﻟﻠﺰﻭﺟﺔ ﻓﻴﻬﺎ ﺗﺮﺟﻴﺢ ﻳﺨﺘﻠﻒ ﻋﻦ ﺗﺮﺟﻴﺢ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻓﻴﺄﻣﺮﻫﺎ ﺑﺨﻼﻑ ﺗﺮﺟﻴﺤﻬﺎ ﻭﺍﻋﺘﻘﺎﺩﻫﺎ : ﻓﺈﻥ ﻫﺬﺍ ﻳﺨﺘﻠﻒ ﺑﺎﺧﺘﻼﻑ ﺍﻟﻤﺴﺄﻟﺔ ﻧﻔﺴﻬﺎ :
স্বামীর আদেশ-নিষেধ মান্য করা স্ত্রীর উপর ওয়াজিব।তবে গোনাহ বা স্ত্রীর জন্য ক্ষতিকারক অথবা স্ত্রীর হক্ব নষ্ট হয় এমন বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য ওয়াজিব নয়,এমনকি জায়েয ও না।
আর উলামাদের মধ্যকার মতপার্থক্যপূর্ণ বিষয়ে, যেখানে স্ত্রী একটাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং স্বামী অন্যটাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।এমতাবস্থায় যদি স্বামী তার স্ত্রীকে নিজের মতামতের দিকে নির্দেশ দেয় তাহলে স্ত্রীর জন্য আনুগত্য কতটুকু পরিমাণ বৈধ হতে পারে।
ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻧﺖ ﺗﺘﻌﻠﻖ ﺑﻌﺒﺎﺩﺗﻬﺎ – ﺍﻟﻮﺍﺟﺒﺔ ﺃﻭ ﺍﻟﻤﺴﺘﺤﺒﺔ - ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﺃﻭ ﺍﻟﻜﻴﻔﻴﺔ ، ﻭﻛﺎﻥ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻳﺆﺛِّﺮ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻓﻲ ﺗﻀﻴﻴﻊ ﺣﻘﻮﻗﻪ ، ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻲ ﻓﻌﻠﻬﺎ ﺇﺳﺎﺀﺓ ﻟﻪ : ﻓﻼ ﻳﺠﺐ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺃﻥ ﺗﻔﻌﻞ ﻣﺎ ﻟﻴﺴﺖ ﻣﻘﺘﻨﻌﺔ ﺑﻪ ﺇﻥ ﺃﻣﺮﻫﺎ ﺯﻭﺟﻬﺎ ﺃﻥ ﺗﻔﻌﻠﻪ ، ﻭﻣﺜﺎﻝ ﺫﻟﻚ : ﺯﻛﺎﺓ ﺍﻟﺬﻫﺐ ، ﻓﺈﻥ ﻛﺎﻧﺖ ﺗﻌﺘﻘﺪ ﻭﺟﻮﺏ ﺯﻛﺎﺓ ﺍﻟﺬﻫﺐ ﻭﻟﻮ ﺍﺗﺨﺬ ﻟﻠﺰﻳﻨﺔ – ﻛﻤﺎ ﻫﻮ ﺍﻟﺮﺍﺟﺢ - : ﻓﺈﻧﻪ ﻟﻴﺲ ﻣﻦ ﺣﻖ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﺃﻥ ﺗﻄﻴﻌﻪ ﻓﻲ ﻋﺪﻡ ﺇﺧﺮﺍﺝ ﺯﻛﺎﺓ ﺫﻫﺒﻬﺎ ـ ﻣﻦ ﻣﺎﻟﻬﺎ
সারমর্ম স্ত্রীর উপর স্বামীর মাযহাবকে অনুসরণ করা জরুরী বা ওয়াজিব নয়। এবং স্বামীর জন্য স্ত্রীকে কোনো মাস’আলায় বাধ্য করাও জায়েয নয়।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
একমত হওয়া জরুরী নয়।
তবে যেকোনো একজন আহলে হাদীস হলে অভিভাবক ছাড়া উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
(০২)
নিজ ব্যাক্তিগত জীবনে সেটিই গ্রহনযোগ্য হবে।
(০৩)
হ্যাঁ, সমস্যা হবে।