ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাওম অবস্থায় ইনহেলার বা এ জাতীয় ঔষধাদি ব্যবহারের ফলে সাওম ফাসিদ হবে কি না?
এ ব্যপারে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।
(ক)
সাওম ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা ইনহেলার বা এ জাতীয় অন্যান্য ঔষধ যেমনঃ শাসকষ্ট রোগীদের সেবনযোগ্য গ্যাস ইত্যাদি ব্যবহার করলে গলা দিয়ে খাদ্যনালীতে গিয়ে পৌঁছে যায়।যদিও তা অল্প পরিমাণে গিয়ে পৌঁছক না কেন।(এ জন্য সাওম ফাসিদ হয়ে যাবে)পরবর্তিতে সুস্থ হলে সাওমকে ক্বাযা করে নিবেন।নতুবা ফিদয়া আদায় করবেন।
এটাই পূর্ববর্তী হানাফী মাযহাবের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিলো।
(খ)
সাওম ফাসিদ হবে না।কেননা ঐ সমস্ত জিনিষের মাধ্যমে ভিতরে চলে যাওয়া জিনিষ নিতান্তই কম, অন্যদিকে এতে মানুষের অনেক ফায়দা নিহিত রয়েছে।এমনকি মানুষ এ সমস্ত জিনিষ ব্যবহার করতে শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে যায়।(এ জন্য সাওম ফাসিদ হবে না)
এ মতামত ব্যক্ত করেছেন আরব বিশ্বের অনেক উলামায়ে কেরাম।(মুফতিরাতিস সিয়ামিল মুআছির-৩৯-৪৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11319
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ন্যপথালিন এর গন্ধ নেয়ার দ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে কি না? সে সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে। সর্বোত্ত সতর্কতামূলক মতামত হল, রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।উক্ত রোযার পরিবর্তে একটি রোযা রাখতে হবে। রমজানের ফরয রোযা হলে, কাযা আসবে তবে কাফফারা আসবে না।