আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

প্রিয় মুহতারাম

একটি বিষয় নিয়ে সীমাহিন চিন্তা ও কষ্টে আছি।আপনাকে এর আগে জিজ্ঞেস করছিলাম,কিন্তু মনে হচ্ছে আরো পরিস্কার ভাবে জানানো প্রয়োজন।।প্লিজ একটু ধইর্য্যসহকারে দেখুন।

আমি যখন স্ত্রীর সাথে ঝগড়া/অভিমান এসব কথা বলি তখন শুধু তালাকের কথা মাথায় আসে(ওয়াসোয়াসা) প্রচুর হয়।আমি সেসব অতি কষ্টে দমিয়ে রেখেই ঝগড়া/অভিমান সহ কড়া কথা বলি।কারণ আমি চাইনা তালাক দিতে।এমনকি কিছু কথা বলার সময়েও আগে বলেনেই যে এই কথা তালাকের উদ্দ্যেশ্যে বলতেসিনা।

আমি কিছুদইন আগে অভিমান করে বলছিলাম তোমার এতই সমস্যা হলে কিছুদিন যোগাযোগ অফ রাখতে পারো।এই কথা গউলার বলার সময় অনেক তালাকের নিয়ত মাথায় ঘুরে।মানে কেউ যেন তালাকের কথা মনে করাই দেয়। তবে আমি নিয়ত ছাড়াই মেসেজে এসভ লিখতে ছিলাম ওকে। এমনকি অনেক সময় মুখ দিয়ে উহু/বা তালাকের উদ্দ্যেশ্যে না এটা বলে মেসেজ লিখতে ছিলাম।

যাইহোক এক পর্যায়ে সে মেসেজ দেয় যে,
তার অনেক কাজ বাকি আছে আর আমার সাথে ঝগড়া করে সময় নষ্যত করতেসে

জবাবে আমি মেসেজ লিখি, 'এইজন্যেই বলতেসি যোগাযোগ অফ রাখতে কিসুদিন'

এখানে প্রথমত কথাটা প্রস্তাব অর্থে বলা,মানে ওকে প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে।

এখানে সমস্যা হল আমি এই কথাটা পুরোটা লিখার আগেই যখন 'এইজন্যেই বলতেসি যোগাযোগ অফ রাখতে' এইটুক যখন লিখসি তখনোত 'কিছুদিন' শব্দটা লিখিনি।ঠিক সেই সময়টাতে  আমার মাথায় হুট করে খুব সম্ভব তালাকের কথা আসে।অথবা আমি নিজেই তালাকের নিয়তে লিখি।এরপর 'কিছুদিন' শব্দটা লিখি।
এরপর সে জবাবে বলে
Apnar icchamotoi hbe

Jotodin can.

Ami ki krtesi kothai achi ei muhurto theke purota amr bepar.'

এখানে সে এই যে জবাব দিয়েছে সম্ভবত ধরে নিয়েছে এর আগে যে আমি আপাতত যোগাযোগ অফ রাখতে বলসি সেই অর্থে।সারাজীবন অর্থেনা।আমি জানিনা সে কি বুঝেছে।


কিন্তু আমি বলার সময় যখন অই বাক্যটা লিখি,কিছুদিন শব্দটা লিখার আগেই আমার নিয়ত এসে যায় ইথবা আমি নিয়ত সহ অতটুক লিখি যে একবারে যোগাযোগ অফ রাখতে।

ওই বাক্যটা লিখার শুরুতেও আমার তালাক দেয়ার নিয়ত ছিলনা সম্ভবত আর শেষ করার সময়েও ছিলনা হয়ত যেহেতু কিসুদন লিখসি কিন্তু কিসুদিন লিখার আগেই মাঝখানে ওই নিয়ত চলে আসে।


এই ঘটনা বেশ কিছু দিন আগের,পুরাপুরি মনে নেই।এমনকি মাঝেমাঝে মনে হয়।আমি তালাকের নিয়তেও বলিনি,যাস্ট লেখার সময় ঠিক ওই শব্দটা লেখার আগে তালাকের নিয়ত এসে গেসে মাথায় অনিচ্ছায়।


প্রথমত,আমি তালাক দিতে চাইনা,এই চিন্তা গুলো অনিচ্চজায় মাথায় আসে।

দ্বিতিয়ত,আমি ওয়াস্যয়াসার রোগী ছিলাম।মানসিক অষুধ খেতাম।এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেকটাই সেরে গেসে,তবে এইসব ক্ষেত্রে এখনো হাল্কাপাতলা ওয়াসোয়াসা ও অনিচ্ছায় চিন্তা চলে আসে।

1 Answer

+1 vote
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সমস্ত বিবরণ তিনবার পড়েছি।বুঝতে অনেক কষ্ট হলেও শেষ পর্যন্ত বুঝেছি। আপনার এই বিবরণের আলোকে কোনো তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...