আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
প্রিয় মুহতারাম
একটি বিষয় নিয়ে সীমাহিন চিন্তা ও কষ্টে আছি।আপনাকে এর আগে জিজ্ঞেস করছিলাম,কিন্তু মনে হচ্ছে আরো পরিস্কার ভাবে জানানো প্রয়োজন।।প্লিজ একটু ধইর্য্যসহকারে দেখুন।
আমি যখন স্ত্রীর সাথে ঝগড়া/অভিমান এসব কথা বলি তখন শুধু তালাকের কথা মাথায় আসে(ওয়াসোয়াসা) প্রচুর হয়।আমি সেসব অতি কষ্টে দমিয়ে রেখেই ঝগড়া/অভিমান সহ কড়া কথা বলি।কারণ আমি চাইনা তালাক দিতে।এমনকি কিছু কথা বলার সময়েও আগে বলেনেই যে এই কথা তালাকের উদ্দ্যেশ্যে বলতেসিনা।
আমি কিছুদইন আগে অভিমান করে বলছিলাম তোমার এতই সমস্যা হলে কিছুদিন যোগাযোগ অফ রাখতে পারো।এই কথা গউলার বলার সময় অনেক তালাকের নিয়ত মাথায় ঘুরে।মানে কেউ যেন তালাকের কথা মনে করাই দেয়। তবে আমি নিয়ত ছাড়াই মেসেজে এসভ লিখতে ছিলাম ওকে। এমনকি অনেক সময় মুখ দিয়ে উহু/বা তালাকের উদ্দ্যেশ্যে না এটা বলে মেসেজ লিখতে ছিলাম।
যাইহোক এক পর্যায়ে সে মেসেজ দেয় যে,
তার অনেক কাজ বাকি আছে আর আমার সাথে ঝগড়া করে সময় নষ্যত করতেসে
জবাবে আমি মেসেজ লিখি, 'এইজন্যেই বলতেসি যোগাযোগ অফ রাখতে কিসুদিন'
এখানে প্রথমত কথাটা প্রস্তাব অর্থে বলা,মানে ওকে প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে।
এখানে সমস্যা হল আমি এই কথাটা পুরোটা লিখার আগেই যখন 'এইজন্যেই বলতেসি যোগাযোগ অফ রাখতে' এইটুক যখন লিখসি তখনোত 'কিছুদিন' শব্দটা লিখিনি।ঠিক সেই সময়টাতে আমার মাথায় হুট করে খুব সম্ভব তালাকের কথা আসে।অথবা আমি নিজেই তালাকের নিয়তে লিখি।এরপর 'কিছুদিন' শব্দটা লিখি।
এরপর সে জবাবে বলে
Apnar icchamotoi hbe
Jotodin can.
Ami ki krtesi kothai achi ei muhurto theke purota amr bepar.'
এখানে সে এই যে জবাব দিয়েছে সম্ভবত ধরে নিয়েছে এর আগে যে আমি আপাতত যোগাযোগ অফ রাখতে বলসি সেই অর্থে।সারাজীবন অর্থেনা।আমি জানিনা সে কি বুঝেছে।
কিন্তু আমি বলার সময় যখন অই বাক্যটা লিখি,কিছুদিন শব্দটা লিখার আগেই আমার নিয়ত এসে যায় ইথবা আমি নিয়ত সহ অতটুক লিখি যে একবারে যোগাযোগ অফ রাখতে।
ওই বাক্যটা লিখার শুরুতেও আমার তালাক দেয়ার নিয়ত ছিলনা সম্ভবত আর শেষ করার সময়েও ছিলনা হয়ত যেহেতু কিসুদন লিখসি কিন্তু কিসুদিন লিখার আগেই মাঝখানে ওই নিয়ত চলে আসে।
এই ঘটনা বেশ কিছু দিন আগের,পুরাপুরি মনে নেই।এমনকি মাঝেমাঝে মনে হয়।আমি তালাকের নিয়তেও বলিনি,যাস্ট লেখার সময় ঠিক ওই শব্দটা লেখার আগে তালাকের নিয়ত এসে গেসে মাথায় অনিচ্ছায়।
প্রথমত,আমি তালাক দিতে চাইনা,এই চিন্তা গুলো অনিচ্চজায় মাথায় আসে।
দ্বিতিয়ত,আমি ওয়াস্যয়াসার রোগী ছিলাম।মানসিক অষুধ খেতাম।এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেকটাই সেরে গেসে,তবে এইসব ক্ষেত্রে এখনো হাল্কাপাতলা ওয়াসোয়াসা ও অনিচ্ছায় চিন্তা চলে আসে।