আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
206 views
in সালাত(Prayer) by (22 points)
closed by
১)বাসায় একা নামাযের ইকামাত দিয়ে এর পরে অন্য কাজ করতে গেলে আবার এসে ইকামাত দিয়ে একা একা নামায পড়লে কি গুনাহ হবে? নাকি ইকামার আর লাগবে না?
২)আর একা নামাযে ইকামাত এর পরে অন্য কাজ করাও কি গুনাহ?বা ইকামাত ও নামায এর মাঝে বিরতি দেওয়া  কি গুনাহের কাজ?

৩) কাফের বা ফাসেক দের  কারনে নামাযের মাঝে 'ইশ' শব্দ বের হলে কি নামায ভাংবে? ইশ শব্দ খুব আস্তে নিজে শুনলাম এমন হলেও? এইটা তো আল্লাহ
 ভয়ে ও আখিরাতের ভয়ে হয়েছে। উহ আহ শব্দ এই কারনে নামায ভাঙে না আল ফিকহুম মুুুয়াসসারে পেলাম।
৪)নামাযের মাঝে হাসি চেপে রাখতে যেয়ে যদি জিহবায় থুতুর শব্দ হয় নামায ভাংবে? এইখানে আমি হাসি আসার আগেই একটা অর্থবোধক না এমন শব্দ করলাম।   নামায কি তাও ভাঙবে?

৫) আমলে কাসির যদি মনের ভুলে করে ফেলি। পরে মনে হলে কি নামায ভেঙে ফেলবো? জামাতেও এরূপ হলে কি নামায ভাঙবে?
closed

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মহল্লার মসজিদে আযান-ইকামত হওয়ার পরও কেউ নিজ গৃহে নামায পড়তে চাইলে আযান-ইকামত দিতে পারবে।এবং দেয়াই মুস্তাহাব। বুঝদ্বার নাবালক থাকলে সেই ইকামত দিবে।নতুবা যিনি ইমামতি করছেন তিনিই দিবেন।মহিলারা ইকামত দিবেনা এটাই স্বাভাবিক নিয়ম।তবে নামাযে গায়রে মাহরাম কেউ না থাকলে মহিলাদের নিম্নস্বরে ইকামতের ব্যাপারে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/৪৬৩)
কিন্তু মহিলা কখনো আযান  দিতে পারবেন না।কেননা আযান উচ্ছস্বরে দিতে হয়।
সর্বোত্তম হল,যিনি আযান দিবেন,তিনিই ইকামত দিবেন।একজন আযান দিবেন,আর অন্যজন ইকামত দিবেন,এমনটা করলে মাকরুহে তানযিহি হয়ে যায়।একই ব্যক্তি আযান ইকামত এবং ইমামতি সবকিছুই করতে পারেন।এতে কোনো সমস্যা নেই।বিস্তারিত জানুন- 1344

(১)ফুকাহায়ে কেরাম লিখেন,যদি ইকামত এবং নামাযের মধ্যকার লম্বা বিরতি চলে আসে,তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।এমন অবস্থায় দ্বিতীয়বার আবার ইকামত দিতে হবে।তবে যদি যৎসামান্য বিরতি হয়,তাহলে দ্বিতীয়বার ইকামত দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নাই।
যৎসামান্য বিরতি দ্বারা উদ্দেশ্য কি?
ফুকাহায়ে কেরামের আলোচনায় তা স্পষ্ট পাওয়া যায়না।
ইবনে নুজাইম রাহ কিছু আহলে ইলম থেকে বর্ণনা করেন যে,
যদি ফজরের ইকামতের পর ইমাম সুন্নতে ফজর পড়ে নেন,তাহলে আবার ইকামতকে দুহরাতে হবে না।
صلى سنة الفجر بعدها لا يجب عليه اعادتها
যদি ইকামতের পর ইমাম সাহেব ফজরের সুন্নত পড়ে নেন,তাহলে উক্ত ইকামতকে দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজন নাই।(বাহরুর রায়েক-১/২৬৩)

এদ্বারা বুঝা যায় যে,হালকা পাতলা দু-রাকাতের চেয়ে বেশী যদি দেড়ী হয়ে যায়,তাহলে সেটাকে লম্বা বিরতি গণ্য করা হবে।

আল্লামা শামী রাহ লিখেন,
লম্বা আলাপ আলোচনা বা লম্বা কোনো কাজ যদি পাওয়া যায়,যাকে সিজদায়ে তিলাওয়াতের মাস'আলায় মজলিস পরিবর্তনের কারণ হিসেবে ধরে নেয়া হয়,তাহলে ইকামতকে দোহড়াতে হবে।নতুবা ইকামতকে দোহড়াতে হবে না।
اذا لم يقطعها قاطع من كلام كثير او عمل كثير مما يقطع المجلس في سجدة التلاوة 
যদি লম্বা কোনো আলোচনা বা লম্বা কোনো আ'মল পাওয়া না যায়,যা সিজদায়ে তিলাওয়াতের অধ্যায়ে মজলিস পরিবর্তনকারী রূপে ধর্তব্য হয়,তাহলে ইকামতকে দোহড়াতে হবে না।নতুবা ইকামতকে দোহড়াতে হবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৭০)(কিতাবুল ফাতাওয়া-২/১৫২)

(২)নামাযের ইকামতের পর চায় জামাতে হোক বা একা হোক লম্বা বিরতি হয়ে গেলে তথা হালকা পাতলা দু'রাকাত সুন্নত থেকে বেশী বিরতি হয়ে গেলে ইকামত বাতিল হয়ে যাবে।আবার নতুন ইকামত দিয়ে নামায পড়তে হবে।

(৩)নামায ভেঙ্গে যাবে।যেহেতু এখানে দুনিয়াবী কষ্টের কারণে ইশ শব্দ বের হয়েছে।কিন্তু যদি আখেরাতের কারণে তথা জান্নাত জাহান্নামের আলোচনার কারণে ইশ শব্দ বের হয়,তাহলে নামায ফাসিদ হবে না।কেননা আলিফ অতিরিক্ত অক্ষর এবং শীন মূল অক্ষর।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 431

(৪)নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা দুনিয়াবী কারণে হাসি এসেছে।এবং দু অক্ষরের বেশী বা মূল দুইটি অক্ষর থুথু উচ্ছারিত হয়েছে।বিস্তারিত জানতে উপরের লিংকে ভিজিট করুন। 

(৫)নামায ভেঙ্গে যাবে।জামাতে হলে নতুনভাবে আবার নামায শুরু করতে হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-445


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 203 views
...