আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (46 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

১) বোরকা পড়ে বাইরে গেলে, মার্কেট কিংবা ভার্সিটি গেলে ওই বোরকা পড়ে কী নামাজ আদায় করা যাবে? বোরকা যদি এমনিতে পাক থাকে, কিন্তু বাইরে হাঁটা চলা, গাড়িতে উঠানামা করতে কোনো কিছু নাপাকী লাগতেও পারে, কিভাবে আমি এ ব্যাপারে কনফার্ম হবো? নামাজ ও আদায় করতে হবে ওয়াক্ত হলে।
এক্ষেত্রে করণীয় কি? বোরকা পড়ে নামাজ আদায় করলে হয়ে যাবে??

২) ফরজ নামাজের পর বা নামাজের পর সিজদায়ে শুকরান দেওয়ার বিধান কী?
যে কোনো সময়ে যে কোনো অবস্থাতেই নফল সিজদাহ কিভাবে দিতে হবে?

আমি যদি নামাজের সালাম ফেরানোর পর ঐ অবস্থা়তে আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ দেই তাহলে হয়ে যাবে?? আর সিজদাহ থেকে উঠার সময় কি আবার আল্লাহু আকবার বলতে হবে?

নাকি, উঠে দাঁড়িয়ে আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ তে যেতে হবে এবং সিজদাহ থেকেও উঠে দাড়িয়ে যেতে হবে? বসেই থাকা যাবে??

৩) কোনো কোনো মাসনূন আমলে দেখি ফরয নামাযের পর ৩৩,৩৩,৩৩ এবং ১ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু...... ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িং কাদির পড়তে বলা হয়, আবার কোথাও দেখি নামাজের শেষে, অর্থাৎ সম্পূর্ন নামাজ শেষ করে। কোথাও দেখেছি, আবার বিভিন্ন ভিডিও তে শুনি, ফরযের পর ১০,১০,১০ করে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার পড়তে বলা হয় এবং সম্পূর্ন নামায শেষে ৩৩,৩৩,৩৪ অথবা কোথাও দেখি ৩৩,৩৩,৩৩ এবং ১ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু.... এইটা পড়তে বলা।

আসলে কিভাবে এই আমল টা করতে হবে?
একেকটা ফযীলত এর জন্য আলাদা আলাদা করে পড়তে হবে??

৪) অনেক আমল এর ক্ষেত্রে বলা থাকে, সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহু আকবার আলাদা আলদা করে দৈনিক ১০০ বার, অথবা সকাল বিকাল ১০০ বার করে,

আবার, সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, একসাথে সব টা ১০০ বার পড়ার কথা বলা হয়ে থাকে।

আমি যদি একসাথে করে পড়ি তাহলে কী আলাদা করে পড়তে হবে? বা আলাদা করে পড়ে নিলে আবার একসাথে ১০০ বার পড়তে হবে? নাকি যেকোনো একভাবে পড়েই সবটুকু ফযীলত পাওয়া যাবে??


৫) হায়েজ এর শেষ দিন, আসর থেকে মাগরিব ও মাগরিব থেকে ঈশা পর্যন্ত বারবার চেক করছিলাম, শেষ হলো কিনা, মাগরিব থেকে ঈশা পর্যন্ত মনে হলো স্রাব টা সাদা দেখাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে তখন কী ঈশা আদায় করবো নাকি মাগরিব ঈশা দুই ওয়াক্ত আদায় করবো?

এমতাবস্থায়, ঈশার ওয়াক্ত হওয়ার পর, স্রাব সাদা দেখার পর, যদি সহবাস করা হয়, এবং ঘণ্টা দুয়েক পর এবং পরদিন ফজরের সময় o হালকা নাম মাত্র লালচে স্রাব দেখা যায়, তাহলে কী গুনাহর ভাগীদার হওয়া লাগবে?? হায়েজ ভালো হয়েছে ভেবে সহবাস করা হলে, এবং পরবর্তীতে এমন দেখা গেলো, এইটা ইচ্ছাকৃত না। আর যদি গুনাহ্ হয়ে যায়, করণীয় কী?

৬) উপরুক্ত অবস্থায় ওই সহবাসের পর এবং এরপর যদি হায়েজ না হয়, এবং যদি কিছুদিন পর বুঝা যায় বেবি কনসিভ হয়ে গিয়েছে, তখন কি করণীয়? ওইটার জন্য গুনাহ্ হবে? বাচ্চার ক্ষতি হবে? কেও কেও বলে, এজন্য নাকি বাচ্চা হিজড়া হয়? এ কথা কি সত্যি নাকি কুসংসকার?


অনেক দিনের জমানো প্রশ্ন।

কষ্ট করো সবগুলোর উত্তর দিলে মুনসিব হয়, ইং শা আল্লাহ্!!

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
উক্ত বোরকা পড়ে নামাজ আদায় করলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
আপনার বোরকায় নাপাকির কোনো গন্ধ বা নাপাকির কোনো চিন্হ পেলে নাপাক ধরবেন।
নতুবা পাকই ধরবেন।

(০২)
সেজদায়ে শোকর এর নিয়ম হলো,অযু অবস্থায় তাকবির বলে কিবলার দিকে হয়ে সেজদায় যাবে,মহান আল্লাহর প্রশংসা করবে,শুকরিয়া জ্ঞাপন করবে,তাসবিহ পাঠ করবে,তাকবির বলে উঠে যাবে।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি যদি ফরজ/নফল নামাজের সালাম ফেরানোর পর ঐ অবস্থা়তে আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ দেন, তাহলে হয়ে যাবে।

সিজদাহ থেকে উঠার সময় আবার আল্লাহু আকবার বলতে হবে।

আরো জানুনঃ- 


(০৩)
এই ব্যাপারে বিভিন্ন রকমের হাদীস আছে।
সব গুলোর উপরেই আমল করা যাবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنِي عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَيَانٍ الْوَاسِطِيُّ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ الْمَذْحِجِيِّ، - قَالَ مُسْلِمٌ أَبُو عُبَيْدٍ مَوْلَى سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَبَّحَ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَحَمِدَ اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَكَبَّرَ اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ فَتِلْكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ وَقَالَ تَمَامَ الْمِائَةِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ

'আবদুল হামীদ ইবনু বায়ান আল ওয়াসিতী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতের শেষে তেত্রিশবার আল্লাহর তাসবীহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার আল্লাহর তাহমীদ বা আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং তেত্রিশবার তাকবীর বা আল্লাহর মহত্ব বর্ণনা করবে আর এভাবে নিরানব্বই বার হওয়ার পর শততম পূর্ণ করতে বলবে “লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর” (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। তিনি একক ও তার কোন অংশীদার নেই। সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র তিনিই। সব প্রশংসা তারই প্রাপ্য। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম- তার গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।)। (মুসলিম ১২৩৯. ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২২৮, ইসলামীক সেন্টার ১২৪০)

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا حَمْزَةُ الزَّيَّاتُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مُعَقِّبَاتٌ لاَ يَخِيبُ قَائِلُهُنَّ - أَوْ فَاعِلُهُنَّ - ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ تَسْبِيحَةً وَثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ تَحْمِيدَةً وَأَرْبَعٌ وَثَلاَثُونَ تَكْبِيرَةً فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ " . 
নাসর ইবনু আলী আল জাহ্যামী (রহঃ) ... কা'ব ইবনু উজরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিছু দুআ আছে প্রত্যেক ফারয (ফরয) সালাতের পরে যে ব্যক্তি ঐগুলো পড়ে বা আমল করে সে কখনও নিরাশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। দু'আগুলো হলোঃ তেত্রিশবার তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ, অর্থাৎ- আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করা) পড়া, তেত্রিশবার তাহমীদ (আল হামদুলিল্লা-হ, অর্থাৎ- আল্লাহর প্রশংসা করা) পড়া এবং চৌত্রিশবার তাকবীর (আল্ল-হু আকবার, অর্থাৎ আল্লাহর মহত্ব বর্ণনা করা) পড়া। (মুসলিম ১২৩৭.ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২২৬, ইসলামীক সেন্টার ১২৩৮)

حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ التَّيْمِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، كِلاَهُمَا عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، - وَهَذَا حَدِيثُ قُتَيْبَةَ أَنَّ فُقَرَاءَ، الْمُهَاجِرِينَ أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ بِالدَّرَجَاتِ الْعُلَى وَالنَّعِيمِ الْمُقِيمِ . فَقَالَ " وَمَا ذَاكَ " . قَالُوا يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ وَيَتَصَدَّقُونَ وَلاَ نَتَصَدَّقُ وَيُعْتِقُونَ وَلاَ نُعْتِقُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفَلاَ أُعَلِّمُكُمْ شَيْئًا تُدْرِكُونَ بِهِ مَنْ سَبَقَكُمْ وَتَسْبِقُونَ بِهِ مَنْ بَعْدَكُمْ وَلاَ يَكُونُ أَحَدٌ أَفْضَلَ مِنْكُمْ إِلاَّ مَنْ صَنَعَ مِثْلَ مَا صَنَعْتُمْ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " تُسَبِّحُونَ وَتُكَبِّرُونَ وَتَحْمَدُونَ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ مَرَّةً " . قَالَ أَبُو صَالِحٍ فَرَجَعَ فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا سَمِعَ إِخْوَانُنَا أَهْلُ الأَمْوَالِ بِمَا فَعَلْنَا فَفَعَلُوا مِثْلَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ذَلِكَ فَضْلُ اللَّهِ يُؤْتِيهِ مَنْ يَشَاءُ " . وَزَادَ غَيْرُ قُتَيْبَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ اللَّيْثِ عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ قَالَ سُمَىٌّ فَحَدَّثْتُ بَعْضَ أَهْلِي هَذَا الْحَدِيثَ فَقَالَ وَهِمْتَ إِنَّمَا قَالَ " تُسَبِّحُ اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدُ اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتُكَبِّرُ اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ " . فَرَجَعْتُ إِلَى أَبِي صَالِحٍ فَقُلْتُ لَهُ ذَلِكَ فَأَخَذَ بِيَدِي فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ حَتَّى تَبْلُغَ مِنْ جَمِيعِهِنَّ ثَلاَثَةً وَثَلاَثِينَ . قَالَ ابْنُ عَجْلاَنَ فَحَدَّثْتُ بِهَذَا الْحَدِيثِ رَجَاءَ بْنَ حَيْوَةَ فَحَدَّثَنِي بِمِثْلِهِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
আসিম ইবনু নায্র আত তায়মী ও কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কুতায়বাহও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেছেনঃ একদিন গরীব মুহাজিরগণ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গিয়ে বললেন, সম্পদশালী লোকেরা উচ্চমর্যাদা ও স্থায়ী নি’আমাতসমূহ লুটে নিচ্ছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কিভাবে? তারা বললেনঃ আমরা সালাত আদায় করি তারাও সালাত আদায় করে। আমরা সিয়াম পালন করি তারাও সিয়াম পালন করে। কিন্তু তারা দান করে আমরা দান করতে পারি না। আর তারা দাস মুক্ত করে আমরা দাস মুক্ত করতে পারি না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু শিখিয়ে দিব না যা করলে তোমরা তোমাদের চেয়ে অগ্রসর লোকদের সমকক্ষ হতে পারবে? আর যারা তোমাদের পিছনে পড়ে আছে তাদের পিছনে রেখে এগিয়ে যেতে পারবে? আর তোমাদের মতো কাজ না করে কেউ তোমাদের মতো উত্তম হতে পারবে না। তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! তা অবশ্যই বলবেন।

তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্রত্যেক সালাতের পর তোমরা তেত্রিশবার করে তাসবীহ (সুবহানা-ল্ল-হ), তাকবীর (আল্ল-হু আকবার) ও তাহমীদ (আলহামদু লিল্লা-হ) বলবে।

আবূ সালিহ বর্ণনা করেছেন এরপর গরীব মুহাজিরগণ পুনরায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেনঃ আমরা যা করেছি আমাদের সম্পদশালী ভাইয়েরা তা জেনে ফেলেছে। সুতরাং এখন তারাও এ কাজ করতে শুরু করেছে। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ তো আল্লাহর মেহেরবানী। যাকে ইচ্ছা তিনি তা দান করেন।

কুতায়বাহ ছাড়া আর যারা এ হাদীসটি লায়স ও ইবনু আজলান এর মাধ্যমে সুমাই থেকে বর্ণনা করেছেন তারা এতে এতটুকু কথা অধিক বলেছেন যে, সুমাই (হাদীসটির এক পর্যায়ের বর্ণনাকারী) বলেছেনঃ আমি ভুলে গিয়েছি হাদীসটি বরং এভাবে বলা হয়েছেঃ তেত্রিশবার তাসবীহ বর্ণনা করবে, তেত্রিশবার হামদ করবে আর তেত্রিশবার তাকবীর বলবে। সুতরাং (এ কথা শুনে) আমি আবূ সালিহ্-এর কাছে গিয়ে এ বিষয়টি বললে, তিনি আমার হাত ধরে বললেনঃ বরং তুমি বলবে "আল্ল-হু আকবার ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি আল্ল-হু আকবার ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হ” (অর্থাৎ- আল্লাহ মহান। তিনি পবিত্র, সব প্রশংসা তার। আল্লাহ মহান। তিনি পবিত্র, সব প্রশংসা তার )। এভাবে সবগুলো মোট তেত্রিশবার বলবে।

ইবনু আজলান বলেছেনঃ আমি রাজা ইবনু হায়ওয়াহ এর কাছে হাদীসটি বর্ণনা করলে তিনিও আমাকে আবূ সালিহ ও আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) এর মাধ্যমে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করে শোনালেন। (মুসলিম ১২৩৪.ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২২৩, ইসলামীক সেন্টার, ১২৩৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি সব আমলই করতে পারেন।
বা যেকোনো একটি আমলও করতে পারেন।
সব গুলো একত্রে করলে সব গুলোরই ফজিলত পাবেন,ইনশাআল্লাহ। 

(০৪)
যেকোনো একভাবে পড়েই সবটুকু ফযীলত পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ। 

(০৫)
এক্ষেত্রে মাগরিব ঈশা দুই ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে আপনার যেহেতু ঘণ্টা দুয়েক পর এবং পরদিন ফজরের সময় অল্প হলেও লালচে স্রাব দেখা গিয়েছে,তাই মাগরিব ঈশার নামাজ আদায় করতে হবেনা।

এমতাবস্থায় সহবাস যেহেতু না জানার ভিত্তিতে হয়েছে,তাই আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

(০৬)
এক্ষেত্রে এই ভূল আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।
বাচ্চার ক্ষতি হবেনা,ইনশাআল্লাহ। 
বাচ্চা হিজড়া হওয়া সংক্রান্ত যাহা বলা হয়,তাহা কুঃসংস্কার।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 120 views
0 votes
1 answer 201 views
0 votes
1 answer 147 views
...