আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
275 views
in পবিত্রতা (Purity) by (102 points)
১)মেঝেতে বাচ্চা প্রসাব করেছিল। বাসার মেঝে টাইলসের না সিমেন্টের কিন্তু মসৃণ আর সিমেন্টের তো পানি শোষণ করতে পারে না।এখন বাসা ছোট হওয়ায় পানি ঢেলে দেয়ার মত অবস্থাও ছিল না।পানি ঢেলে দিলে তো বাসায় পানি জমে থাকতো যেহেতু মেঝে পানি শোষণ করতে পারে না।

তাই প্রসাব শুঁকনো কাপড় দিয়ে মোছা হয়েছে।এরপর ভেজা কাপড় দিয়েও অনেকবার মুছা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন ঘর মুছা হয়।এখন নাপাকীর কোনো চিহ্ন/গন্ধ নেই।এই সুরতে মেঝে কি এতদিন পাক হয়ে গেছে?মেঝের উপর দিয়ে ভেজা পায়ে হাঁটলে কি পা নাপাক হবে?

২) অসাবধানবশত একই মেঝেতে পায়ের নিচে তেলাপোকা চাপা পরে গলে গেছে ।সাদা জাতীয় তরল পায়ে লেগেছিল।পা ধুয়ে ফেলেছি।আর মেঝে টিসু দিয়ে মুছে দেয়া হয়েছে,আর কোনো চিহ্ন নেই।মেঝে কি নাপাক থাকবে?

৩) তেলাপোকার বালতিতে পড়লে কি বালতির পানি নাপাক হয়ে যাবে?

৪) তেলাপোকার বিষ্ঠা তো সাধারণত গুটি গুটি টাইপের শুঁকনো থাকে।এখন তেলাপোকার বিষ্ঠা স্পর্শ করে ফেললে কি হাত ধুতে হবে?যেহেতু এটি শুঁকনো হাতে তো কিছু লাগে নি

1 Answer

0 votes
by (58,740 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত দুই প্রকারঃ যথা-

দৃশ্যমান নাজাসত

অদৃশ্যমান নাজাসত

 

দৃশ্যমান নাজাসতের বিধানঃ কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে  দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই। যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

 

অদৃশ্যমান নাজাসতের বিধানঃ কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলেকাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়। (ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪ জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)

 

নাজাসতকে ১০টি পদ্ধতিতে পবিত্র করা যায় যথা-

১. ধৌত করা,যেমন কাপড় ইত্যাদি।

২. মোছাযেমন আয়না,তলোয়ার ইত্যাদি।

৩. টুকা দিয়ে নাজাসত দূর করা, যেমন গাড় বীর্য কে টুকা দিয়ে কাপড় থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা, ইত্যাদি।

৪. ঘর্ষণমর্দনযেমন শরীর বিশিষ্ট নাজাসত যাকে ঘর্ষণ-মর্দন করে দূর করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়, ইত্যাদি।

৫. শুকিয়ে নাজাসতের আসর দূর হয়ে যাওয়া,যেমন জমিন,গাছ ইত্যাদি শুকিয়ে পবিত্র হয়ে যায়, ইত্যাদি।

৬. জ্বালানোযেমন গোবর ইত্যাদি জ্বলে ভস্ম হয়ে ছাই হয়যা পবিত্র। ইত্যাদি।

৭. এক অবস্থা থেকে ভিন্নরূপ ধারণ করে পবিত্র হওয়া। যেমনঃ মদ থেকে সিরকায় পরিণত হওয়া যা কিনা পবিত্র। ইত্যাদি।

৮. দেবাগত, যেমন মানুষ এবং খিনযির ব্যতীত সকল প্রকার প্রাণীর চামড়া কে লবন মাখিয়ে রৌদ্রে রাখলে তা পবিত্র হয়ে যায়, ইত্যাদি।

৯. যবেহপ্রাণীকে যবেহ করার মাধ্যমে উক্ত প্রাণীর চামড়া পবিত্র হয়ে যায়। যদি এমন প্রাণীও হয় যার গোস্ত ভক্ষণ করা হারাম, তবে তার চামড়াকে পবিত্র করে দেয়, ইত্যাদি।

১০. নরখ, তথা যদি কোনো কোঁপে নাজাসত পড়ে যায় তাহলে উক্ত কোঁপের মুনাসিব পরিমাণ পানি বাহিরে নিক্ষেপ করলেই উক্ত কোপ পবিত্র হয়ে যায় ইত্যাদি।

এই মোট দশ ভাবে কোনো অপবিত্র জিনিষকে পবিত্র করা যায়।

আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/26658/?show=26658#q26658

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু নাপাকির চিহ্ন/গন্ধ দূর হয়ে হয়ে গিয়েছে। তাই উক্ত মেঝে পাক হয়ে গিয়েছে। সুতরাং উক্ত মেঝেতে এখন ভেজা পায়ে হাঁটলে পা নাপাক হবে না।

২. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মেঝে পাক হয়ে গিয়েছে।

৩. তেলাপোকার মধ্যে যেহেতু প্রবাহমান রক্ত নেই তাই তা পানিতে পড়লে পানি নাপাক হবে না।

৪. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু তা আপনার হাতে লাগেনি। তাই এতে আপনার হাত নাপাক হবে না এবং হাত ধৌত করাও লাগবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 165 views
0 votes
1 answer 160 views
0 votes
1 answer 184 views
0 votes
1 answer 210 views
...