আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
232 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম।

হুজুর,

আমার আগের প্রশ্ন ও আপনাদের উওর ঃ

https://ifatwa.info/54293/

★ আমার মনে হচ্ছে আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি হুজুর। রাত শেষের দিকে যখন ঘুম ভাংগা মত হয় বা হালকা ঘুম থাকে তখন মনে আজে বাজে খেয়াল আসছে। তখন আমি তালাক উচ্চারন করে ফেলছি সম্ভবত। তালাকের চিন্তা তখন বার বার আসে। ওই সময় আমি আমার চিন্তা ও উচ্চারন থেকে নিজেকে কন্টোল করতে পারছি না। নামাজের ভিতরে বৈঠকে বসার পর তাশাহুদ বা দরুদ পড়ার পর মনে হচ্ছে উচ্চারন করে ফেলছি। আমি জানিনা কেন এমন হচ্ছে।  এটা কি ওয়াসওয়াসা? এজন্য কি তালাক হবে? 

★★আল্লাহকে নিয়ে আজে বাজে চিন্তা আসে যা বলা সম্ভব নয়। নিজের মা ও সন্তানকে নিয়ে এমন সব চিন্তা আসে যা ভাসায় প্রকাশ করা সম্ভব না। মনের ভিতর অনেক শিরিকি চিন্তা আসছে। যা আমি মন থেকে মানি না। তবুও এসব চিন্তা থেকে আমি নিজেকে বিরত রাখতে পারছি না। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। এজন্য কি আমার গুনাহ হবে? 

★★★

by (1 point)
ভাই পরামর্শ হল, ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। ইনশাআল্লাহ এ রোগ মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ২/৩ মাসে ভাল হয়, তাই আপনি মেডিসিন ছাড়বেন না, পরামর্শ মত খেয়ে যাবেন।
সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সর্বসম্মতিক্রমে তালাকের জন্য নিজের ইচ্ছা বা দৃঢ় মনোভাব থাকা শর্ত। অর্থাৎ এমন শব্দ উচ্ছারণ করা শর্ত যাতে নিজের ইচ্ছার কথা প্রতিফলিত হয়।যদি তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না। সুতরাং তালাকের অপছন্দকারী ব্যক্তির তালাক শব্দ বলার দ্বারা তালাক হবে না।
অন্তরের প্ররোচিকা বা অন্তরের প্ররোচিকা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানেতো তালাক শব্দের অর্থকে উদ্দেশ্য নেয়া হচ্ছে না।বরং শিক্ষা বা কাহিনি বর্ণনার উদ্দেশ্যে তালাক শব্দ উচ্ছারণ করা হয়েছে। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু-৭/৩৬৮)

لو كرر مسائل الطلاق بحضرة زوجته ويقول: أنت طالق ولا ينوى طلاقا لا تطلق، (فتح القدير، كتاب الطلاق، باب ايقاع الطلاق-4/4)
যদি স্ত্রীর উপস্থিতিতে তালাকের মাস'আলা মাসাঈলকে বারংবার বলা হয়, যেমন স্বামী বলল, তুমি তালাক,এবং এমতাবস্থায় স্ত্রীকের তালাকের উদ্দেশ্য নেই, তাহলে স্ত্রী তালাক হবে না।(ফাতহুল কাদির-৪/৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ওয়াইফ সকালে অনেক সময় ধরে ফোন টিপছিল। তাই আমি বললামঃ কি শুরু করলে সকাল থেকে? এটা  কেনায়া শব্দ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

(2) তালাক, তালাক যেহেতু সবসময় মনের ভিতর চলতে থাকে তাই আমার মুখ দিয়ে কোন সময় যদি কেনায়া শব্দ বের হয়ে যায় এবং মনে তালাক শব্দ চলে আসে তাহলে তালাক হবে না।

(3) মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে উচ্চারণ করে ফেলছি। যদি ও আমি  স্পষ্টভাবে কানে শুনছি না। ওয়াসওয়াসার কারনে তখনি যদি মনে চলে আসে তালাক দিলাম তাহলেও তালাক হবে না।

 (4)  কোন সময় যদি আমার মুখ দিয়ে তালাক শব্দ উচ্চারন হয়ে যায়। এবং আমার যদি সত্যিকারের তালাক দেবার  নিয়ত না থাকে,  তাহলেও তালাক হবে না।

(5) তালাক মনে আসার পর আমি যদি আমার নিজের শরীরে তালাক শব্দটি হাতের আংগুল দিয়ে লেখার মত করে ফেলি, তাহলেও তালাক পতিত হবে না।

(6) ওয়াইফকে বলছি ঃ সরো একটু। বলার পর মনে তালাক চলে আসছে।এতেও তালাক হবে না।

আরেকদিন আমার ওয়াইফ গেটে উকি দিয়ে বাহিরে দেখছিল। তাই আমি রেগে গিয়ে বলেছিলাম "সরো এখান থেকে"।বলার পর আমি চেষ্টা করছিলাম যেন মনে তালাক চলে না আসে। কিন্তুু তবুও মনে চলে আসছিল "তালাক দিলাম"।  এতেও তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...