বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/38041/?show=38041#q38041 নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
মাহরাম কারা? আল্লাহ তা'আলা মাহরাম
সম্পর্কে বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا
تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلَّا أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَىٰ طَعَامٍ غَيْرَ
نَاظِرِينَ إِنَاهُ وَلَٰكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَادْخُلُوا فَإِذَا طَعِمْتُمْ
فَانْتَشِرُوا وَلَا مُسْتَأْنِسِينَ لِحَدِيثٍ ۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ يُؤْذِي
النَّبِيَّ فَيَسْتَحْيِي مِنْكُمْ ۖ وَاللَّهُ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ ۚ
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ۚ
ذَٰلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ ۚ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَنْ
تُؤْذُوا رَسُولَ اللَّهِ وَلَا أَنْ تَنْكِحُوا أَزْوَاجَهُ مِنْ بَعْدِهِ
أَبَدًا ۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمًا [٣٣:٥٣]إِنْ تُبْدُوا
شَيْئًا أَوْ تُخْفُوهُ فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا [٣٣:٥٤]لَا
جُنَاحَ عَلَيْهِنَّ فِي آبَائِهِنَّ وَلَا أَبْنَائِهِنَّ وَلَا إِخْوَانِهِنَّ
وَلَا أَبْنَاءِ إِخْوَانِهِنَّ وَلَا أَبْنَاءِ أَخَوَاتِهِنَّ وَلَا
نِسَائِهِنَّ وَلَا مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ ۗ وَاتَّقِينَ اللَّهَ ۚ إِنَّ
اللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدًا [٣٣:٥٥]
অনুবাদ-হে
মুমিনগণ! তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য আহার্য রন্ধনের
অপেক্ষা না করে নবীর গৃহে প্রবেশ করো না। তবে তোমরা আহুত হলে প্রবেশ করো, তবে অতঃপর খাওয়া
শেষে আপনা আপনি চলে যেয়ো, কথাবার্তায় মশগুল হয়ে যেয়ো না। নিশ্চয় এটা
নবীর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের কাছে সংকোচ বোধ করেন; কিন্তু আল্লাহ
সত্যকথা বলতে সংকোচ করেন না। তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল
থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর
পবিত্রতার কারণ। আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তাঁর ওফাতের পর তাঁর পত্নীগণকে
বিবাহ করা তোমাদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহর কাছে এটা গুরুতর অপরাধ।
মাহরাম কারা? এ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2722
পুরুষের মাহরাম
নারী।
১-মা।
২-দাদি।, নানী ও তাদের
উর্ধ্বতন ক্রমানু মহিলাগণ।
৩-বোন [আপন হোক
বা দুধ বোন বা বৈপিত্রেয় বা বৈমাত্রেয় হোক]।
৪-আপন মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, এবং তাদের
গর্ভজাত যে কোন কন্যা সন্তান ও ছেলে সন্তানদের স্ত্রী।
৫-বিবাহিত বৈধ
স্ত্রী এবং যে স্ত্রীর সাথে দৈহিক মিলন সংঘটিত হয়েছে তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী
স্বামীর কন্যা সন্তান। স্ত্রীর মা অর্থাৎ শ্বাশুরী, দাদী শ্বাশুরী।
৬-ফুপু, তথা পিতার সহোদর
বোন, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন।
৭-খালা তথা মায়ের
সহোদর বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও বৈপিত্রেয় বোন।
৮-ভাতিজি, তথা সহোদর, বৈপিত্রেয় ও
বৈমাত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে তাদের অধঃস্থন কন্যা সন্তান।
৯-ভাগ্নি তথা
সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের
অধঃস্থন কন্যা সন্তান।
১০-দুধ সম্পর্কীয়
মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, ছেলের মেয়ে ও
তাদের অধঃস্থন যে কোন কন্যা সন্তান ও দুধ সম্পর্কীয় ছেলের স্ত্রী।
১১-দুধ সম্পর্কীয়
মা, খালা, ফুপু, নানী, দাদী ও তাদের
উর্ধ্বতন ক্রমানু মহিলাগণ।
১২-দুধ সম্পর্কীয়
বোন, দুধ বোনের মেয়ে, দুধ ভাইয়ের মেয়ে
এবং তাদের গর্ভজাত যে কোন কন্যা সন্তান।
১৩-যৌন শক্তিহীন
এমন বৃদ্ধা যার প্রতি পুরুষের কোন প্রকার আকর্ষণ নেই।
১৪-অপ্রাপ্ত
বয়স্কা এমন মেয়ে যার প্রতি পুরুষের এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি। (কিছু তথ্য
সংগৃহীত)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. মায়ের খালাতো বোন মাহরাম নয়। তাই তাকে বিয়ে করা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
২. বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে ও মেয়ের বয়স সমান হওয়াতে কোনো
দোষনীয় নয়। এমনকি মেয়ের বয়স ছেলের থেকে বেশী হলেও। কারণ, আমরা সকলেই জানি যে, রাসূল সা. ২৫ বছর
বয়সে হযরত খাদিজা রা. কে বিয়ে করেন। যখন খাদিজা রা. এর বয়স ছিলো ৪০ বছর। তবে
বর্তমান সমাজের অনেক মানুষের দ্বীনের বুঝ না থাকার কারণে মেয়ের বয়স বেশী হলে অন্য
দৃষ্টিতে দেখে। যা শরীয়ত সম্মত নয় এবং তা পরিত্যাগ যোগ্য।
৩. মেয়ের বয়স সমান হওয়াটা ইসলাম ও সমাজের লোক
জনের কাছে কোনো দোষনীয় বিষয় নয়। তাই নিজের পরিবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ও ইস্তেখারাহ করে সামনে অগ্রসর
হওয়া যেতে পারে।