বিসমিহি তা'আলা
সমাধানঃ-
শরয়ী দৃষ্টিকোনে নারীদের জন্য সর্বোত্তম পর্দা হচ্ছে ঘরে জীবন-যাপন করা,অবস্থান করা ।প্রয়োজনে তারা বাহিরে যেতে পারবেন।সফর পরিমাণ দূরত্বে যেতে চাইলে অবশ্যই মাহরামকে সাথে নিতে হবে।ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে মাহরাম ব্যতীতও বাহিরে যেতে পারবে।তবে তার একটি সীমারেখা রয়েছে।
মাহরাম ব্যতীত নারীরা প্রয়োজনে কতটুকু সফর করতে পারবে।সে সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন 212
বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় মুসলিম নারী-পুরুষকে এগিয়ে যাওয়া অবশ্যই দরকার।
সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-434
হযরত আবি উসায়িদ আল-আনসারি হতে বর্ণিত,
ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻣﺴﻠﻤﺔ ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﻳﻌﻨﻲ ﺍﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺍﻟﻴﻤﺎﻥ ﻋﻦ ﺷﺪﺍﺩ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﺣﻤﺎﺱ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ ﻋﻦ ﺣﻤﺰﺓ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺃﺳﻴﺪ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭﻱ ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ
ﺃﻧﻪ ﺳﻤﻊ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻭﻫﻮ ﺧﺎﺭﺝ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻓﺎﺧﺘﻠﻂ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﻣﻊ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻠﻨﺴﺎﺀ ﺍﺳﺘﺄﺧﺮﻥ ﻓﺈﻧﻪ ﻟﻴﺲ ﻟﻜﻦ ﺃﻥ ﺗﺤﻘﻘﻦ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ ﻋﻠﻴﻜﻦ ﺑﺤﺎﻓﺎﺕ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ ﻓﻜﺎﻧﺖ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺗﻠﺘﺼﻖ ﺑﺎﻟﺠﺪﺍﺭ ﺣﺘﻰ ﺇﻥ ﺛﻮﺑﻬﺎ ﻟﻴﺘﻌﻠﻖ ﺑﺎﻟﺠﺪﺍﺭ ﻣﻦ ﻟﺼﻮﻗﻬﺎ ﺑﻪ
ﺑﺎﺏ ﻓﻲ ﻣﺸﻲ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ﻣﻊ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻄﺮﻳﻖ
হামাযাহ ইবনু আবূ উসাইদ আল-আনসারী (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যখন তিনি মাসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় দেখেন, রাস্তায় পুরুষরা মহিলাদের সঙ্গে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের বললেনঃ তোমরা একটু অপেক্ষা করো। কারণ
তোমাদের রাস্তার মাঝ দিয়ে চলাচলের পরিবর্তে পাশ দিয়ে চলাচল করা উচিৎ। সুতরাং মহিলারা দেয়ালের পাশ দিয়ে চলাচল করতো, এতে তাদের চাদর দেয়ালের সঙ্গে আটকে যেতো।(সুনানু আবি দাউদ-৫২৭২)
হযরত ইবনু উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، نَهَى أَنْ يَمْشِيَ يَعْنِي الرَّجُلَ بَيْنَ الْمَرْأَتَيْنِ»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো পুরুষকে দুই মহিলার মধ্যবর্তী হয়ে হাটাহাটি বা চলাচল করতে নিষেধ করেছেন।(সুনানু আবি দাউদ- ৫২৭৩)
যানবাহনে নিয়মিত নারী-পুরুষ পাশাপাশি বসা কখনো জায়েয হবে না।নারী পুরুষ উভয়কেই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।
প্রয়োজনো কলেজ-ভার্সিটিকে বদলাতে হবে।
জেনারেল শিক্ষার অনুমোদন মূলত নারী-পুরুষের অবাদ মেলা-মেশা না থাকার শর্তেই বৈধ আখ্যা দেয়া হয়েছিলো।
বর্তমান সময়ে জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া ফরযে কেফায়া।তথা উম্মতের কিছু মানুষ আদায় করে নিলে তা সমস্ত উম্মতের পক্ষ্য থেকে আদায় হয়ে যাবে।অন্যদিকে গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে ঘষাঘষি করে গায়ে গায়ে মিলিত অবস্থায় বসা বা নারী-পুরুষের অবাদ মিলামিশা থেকে নিজেকে বাছিয়ে রাখা ফরযে আইন।তথা ব্যক্তিগত ভাবে সবার উপর ফরয।
তাই অন্য কোনো উপায় না থাকলে এ হারাম থেকে নিজেকে নাজাত দিতে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ঘরে বসে জ্ঞান অর্জন করাই একজন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য বলে মনে হচ্ছে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.