ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থা ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫,কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৪০৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার দাদার নামায পড়ার সক্ষমতা ছিল কি না? সেটা আপনারাই নির্ধারণ করবেন।যদি উনার সক্ষমতা না থাকে, তাহলে উনি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নন।অর্থাৎ এমন পরিস্থিতে শরীয়ত উনার উপর নামায-রোযার কিছুকেই ফরয করছে না। বরং এমতাবস্থায় সম্ভব হলে উনি যিকির করবেন।এবং তখন অন্যান্য আ'মলের চেয়ে যিকির করাই মুস্তাহাব।
হযরত ইবনে রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﻳﺼﻠﻲ ﺍﻟﻤﺮﻳﺾ ﻗﺎﺋﻤﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﺟﺎﻟﺴﺎ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺻﻠﻰ ﻧﺎﺋﻤﺎ ﻳﻮﻣﺊ ﺑﺮﺃﺳﻪ ، ﻓﺈﻥ ﻧﺎﻟﺘﻪ ﻣﺸﻘﺔ ﺳﺒﺢ "
অসুস্থ ব্যক্তি দাড়িয়ে দাড়িয়ে নামাজ পড়বে।যদি দাড়াতে কষ্ট হয়,তাহলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসে বসে নামায পড়তে কষ্ট হয়,তাহলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তার মাথা দ্বারা ইশারা করে সে নামায আদায় করবে।যদি তারপরও তার কোনো প্রকার কষ্ট হয়,তাহলে সে যিকির করবে।(এ'লাউস-সুনান-৭/১৭৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1411
আর তিনি নামায পড়ার সক্ষমতা রাখলে তখন তিনি উনার যত নামায কাযা হয়েছে, সেই সবগুলো নামাযের কাফফারা আদায় করতে হবে।
(২)
উনার রুহের মাগফিরাতের জন্য সকল প্রকার নেক কাজ করতে পারবেন। তবে উত্তম হল, সদকায়ে জারিয়া মূলক কিছু করা।এমন কোনো কাজ করা যা দীর্ঘদিন থাকবে।যেমন মসজিদ নির্মান,নলকুপ স্থাপন,ইত্যাদি।
(৩)
এটা বিদ'আত।