জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসুলুল্লাহ সাঃ উম্মতের জন্য কুরবানী দিয়েছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
’’عن عائشة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمر بكبش أقرن يطأ في سواد، ويبرك في سواد، وينظر في سواد، فأتي به ليضحي به، فقال لها: «يا عائشة، هلمي المدية»، ثم قال: «اشحذيها بحجر»، ففعلت: ثم أخذها، وأخذ الكبش فأضجعه، ثم ذبحه، ثم قال: «باسم الله، اللهم تقبل من محمد، وآل محمد، ومن أمة محمد، ثم ضحى به»‘‘. ( صحيح مسلم:3/ 1557)
সহিহ মুসলিমে (১৯৬৭) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি লম্বা শিংওয়ালা দুম্বা আনার নির্দেশ দিলেন। কোরবানী করার জন্য দুম্বাটি আনা হল। তখন তিনি আয়েশাকে বললেন: আয়েশা, ছুরিটি নিয়ে আস। এরপর বললেন: পাথর দিয়ে ছুরিটি ধার দাও। আয়েশা ধার দিলেন। এরপর তিনি ছুরিটি নিলেন এবং দুম্বাটিকে ধরে শোয়ালেন। এরপর ‘বিস্মিল্লাহ্; আল্লাহুম্মা তাকাব্বাল মিন মুহাম্মদ, ওয়া আলে মুহাম্মদ, ওয়া মিন উম্মাতি মুহাম্মদ’ বলে পশুটিকে জবাই্ করা শুরু করলেন এবং কোরবানী দিলেন”।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ يَعْنِي الْإِسْكَنْدَرَانِيَّ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الْمُطَّلِبِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَضْحَى بِالْمُصَلَّى، فَلَمَّا قَضَى خُطْبَتَهُ نَزَلَ مِنْ مِنْبَرِهِ وأُتِيَ بِكَبْشٍ فَذَبَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ، وَقَالَ: بِسْمِ اللَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، هَذَا عَنِّي، وَعَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي صحيح
জাবির ইবনু ‘আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঈদুল আযহার দিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ঈদগাহে উপস্থিত হলাম। তিনি খুৎবা শেষে মিম্বার থেকে নামলেন। একটি বকরী আনা হলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিজ হাতে যবাহ করেন এবং বলেনঃ ‘‘আল্লাহর নামে শুরু করছি, আল্লাহ মহান। এই কুরবানী আমার ও আমার উম্মাতের যারা কুরবানী করতে অক্ষম তাদের পক্ষ থেকে।’
(আবু দাউদ ২৮১০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
রাসূল সাঃ এর নামে কুরবানী দেয়া শুধু জায়েজই নয় বরং উত্তমও বটে। রাসূল সাঃ উম্মতীদের পক্ষ থেকে কুরবানী দিতেন। নবীজী সাঃ যদি আমাদের নামে কুরবানী দিতে পারেন, তাহলে নবীর জন্য উম্মতীদের কুরবানী দেয়াতো দায়িত্বের মাঝেই পড়ে যায়।
তাই যাদের সামর্থ আছে, তারা একটি কুরবানী রাসূল সাঃ এর নামে দিবে। এটি উত্তম।
(০১)
এই শেষের ভাগ এর টাকা একজনে দিতে হবে।
(০২)
এখানে যেহেতু উভয়েই অর্ধেক করে দাম দিয়েছে।
সুতরাং এখানে সাত ভাগ করা হলে উভয়ে সাড়ে তিন ভাগের টাকা দিয়ে বলে ধরা হবে।
এটি সহীহ নয়।
তবে এখানে যদি একজন অপরজনকে রাজি হয়ে বলে যে শেষের ভাগটা আপনার পক্ষ থেকেই নিয়ত করুন।
তাহলে এক্ষেত্রে সে যে ঐ পশুর সাড়ে তিন ভাগের টাকা দিয়েছিলো,তারমধ্যে হিসেব করে তিন ভাগের অতিরিক্ত অংশের টাকা অপরজনকে হাদিয়া হিসেবে মালিকানায় দিবে।
বলবে যে ঐ অতিরিক্ত টাকার মালিক আমি আপনাকে বানালাম।
আপনিই সেটির মালিক।
এখন আপনি পূর্ণ চার ভাগের মালিক হয়ে যাবেন।
এই হিসেবে এটি জায়েজ হবে।
,
যেমন একটু গরুর মূল্য ৭০ হাজার টাকা।
দুই জনই দিয়েছে যথাক্রমে ৩৫ হাজার টাকা করে।
তো এখানে ২য় ব্যাক্তি ১ম ব্যাক্তিকে বলবে যে এখানে সাত ভাগ করলে প্রতিভাগে তো হয় ১০ হাজার টাকা।
সেই হিসেবে ৭ম ভাগ তুমিই নিয়ে নাও।
এর জন্য ৩৫ হাজারের ৫ হাজার টাকা এটি তোমার পক্ষ থেকে আমি আদায় করে দিলাম।
তাহলে হয়ে যাবে।
(০৩)
এরকম করা যাবে।