ব্যবসার ক্ষেত্রে মুসলমানের জন্য উত্তম হলো নিজের জন্য শরীক হিসেবে মুসলমান,ন্যায় পরায়ন,বিশ্বস্ত ব্যাক্তিকে বানাবে।
যাতে করে তাদের ব্যবসায় বরকত হয়।
এবং যাতে করে মহান আল্লাহর অনুগ্রহে তাদের ব্যবসা লাভজনক হয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أبِىْ هُرَيْرَة رَفَعَه قَالَ : «إِنَّ اللّٰهَ عَزَّ وَجَلَّ يَقُولُ : أَنا ثَالِث الشَّرِيكَيْنِ مَا لَمْ يَخُنْ اَحَدُهُمَا صَاحِبَه فَإِذَا خَانَه خَرَجْتُ مِنْ بَيْنِهِمَا». رَوَاهُ أَبُوْ دَاودَ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি দুই অংশীদারদের মধ্যে তৃতীয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা একে অপরের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে। যখন তাদের কেউ অপরের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, আমি তাদের মধ্যে হতে সরে পড়ি।
আবূ দাঊদ ৩৩৮৩, ইরওয়া ১৪৬৮
কাফেররা যেহেতু সম্পদের দিক থেকে খিয়ানত করে,তাই তাদের সাথে ব্যবসা করলে বরকত উঠে যাবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اِنَّ کَثِیۡرًا مِّنَ الۡخُلَطَآءِ لَیَبۡغِیۡ بَعۡضُہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ قَلِیۡلٌ مَّا ہُمۡ ؕ
আর শরীকদের অনেকে একে অন্যের উপর তো সীমালঙ্ঘন করে থাকে—করে না শুধু যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, আর তারা সংখ্যায় স্বল্প।
(সুরা সোয়াদ ২৪)
ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ-
إذا ثبت لديك أن المال الذي سيشاركك به صديقك حرام كله فلا تجوز لك مشاركته، أما إذا ثبت أن ماله مختلط حلاله بحرامه، فمشاركته مكروهة لا محرمة، ويتفاوت مقدار الكراهة بحسب كثرة الحرام وقلته، ولا فرق في كل ذلك بين كون المال منه أو من زوجته أو منهما معاً.
সারমর্মঃ
অংশীদারী ব্যবসার ক্ষেত্রে শরীকের সম্পদ যদি পুরাটাই হারাম হয়,তাহলে তাকে শরীক বানানো জায়েজ হবেনা।
তবে যদি তার সম্পদ হালাল হারাম মিশ্রিত হয়,তাহলে তাকে শরিক বানানো মাকরুহ।
হারাম নয়।
হারামের আধিক্যতার কারনে কারাহাতের সীমা বাড়বে।
قال الشيخ زكريا الأنصاري في شرح البهجة: تكره الشركة مع الكافر، ومن لا يتحرز من الربا ونحوه. انتهى.
সারমর্মঃ
কাফেরের সাথে অংশীদারী ব্যবসা করা মাকরুহ।
এবং যে ব্যাক্তি সূদ ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকতে পারেনা,তার সাথে অংশীদারী ব্যবসা করাও মাকরুহ।
وقال البهوتي في كشاف القناع: وتكره معاملة من في ماله حلال وحرام يُجهل. انتهى.
সারমর্মঃ
যার সম্পদ হালাল নাকি হারাম,অস্পষ্ট।
তাহলে তার সাথে শরীকানা ব্যবসা করা মাকরুহ।
وقال الشيرازي في المهذب: ولا يجوز مبايعة من يُعلم أن جميع ماله حرام. انتهى.
সারমর্মঃ
যার সমস্ত সম্পদ হারাম,তার সাথে (অংশিদারী) ব্যবসা জায়েজ নেই।
وقال الدسوقي في حاشيته على الشرح الكبير : وأما من كان كل ماله حراماً وهو المراد بمستغرق الذمة فهذا تمنع معاملته ومداينته، ويمنع من التصرف المالي وغيره، خلافاً لمن قال إنه مثل من أحاط الدين بماله فيمنع من التبرعات لا من التصرف المالي..
যদি কোন মুসলিমের টাকার ইনকাম সোর্স হারাম হয়,তাহলে দেখতে হবে যে তার সমস্ত সম্পদ হারাম কিনা?
আর যদি পুরোটাই হারাম না হয়,বরং শরীকানা ব্যবসায় দেয়া সম্পদের মধ্যে তার হালাল টাকাও থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে তার সাথে ব্যবসা করা মাকরুহ।