আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (40 points)
edited by
১.আল্লাহ নাম মনে আসলে যদি চোখের সামনে আল্লাহ শব্দ আসে তবে কি শিরক হবে?আর যদি বিশ্বাস করি যে ওটাই আল্লাহ তায়ালা তবে কি শিরক হবে?
২.অন্য কোনো বিষয়ে হাসাহাসির সময় আল্লাহ তায়ালা কথা বা ইসলামের কোনো কিছু মনে আসলে আর হাসি চালিয়ে গেলে কি কুফুরি কাজ হবে?

৩.বড় কুফুরি কাজ করলে তওবা করার সময় কি কালেমা শাহাদত পরতে হবে?

৪.আল্লাহ তায়ালার সকল সৃষ্টি নিখুত। তাহলে সবাই যে বলে মানুষ পারফেক্ট হয় না। এটা কি ঠিক?

৫.বিতর নামাজে দোয়া পরার জন্য যে আল্লাহু আকবার বলা লাগে। এখানে আল্লাহু আকবার বলতে ভুল হলে কি নামাজ হবে?

৬.বিতরে নামাজে দোয়ার জন্য যে আল্লাহু আকবার বলে হাত তোলা। কেউ যদি হাত তোলা তবে নামাজ হবে?

৭.বিতরে কুনুত বাদে অন্য দোয়া পরলে কি নামাজ হবে?

৮.কোনো পাপ থেকে তওবা করার সময় যদি অন্য কোনো পাপ করতে থাকে তবে কি ঐ পাপের তওবা কবুল হবে?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
এতে শিরক হবেনা।

(০২)
কুফরি হবেনা। 

(০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে মূল কথা হলো মহান আল্লাহর একত্ববাদকে স্বীকার করতে হবে,রব বলে স্বীকার করতে হবে, রাসুলুল্লাহ সাঃ যে আল্লাহর প্রেরিত বান্দা ও রাসুল,সেটির   স্বীকার করতে হবে। 
এটি আরবিতে বললে কালেমায়ে শাহাদত এর ন্যায় বাক্য হবে।
আর বাংলায় বললে কালেমায়ে শাহাদত এর অর্থ এর ন্যায় হবে।
,
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য বিশেষ কোন ব্যক্তির কাছে কর্মপ্রক্রিয়া নেই। কিংবা বিশেষ ব্যক্তিবর্গের অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। বরং ইসলাম গ্রহণ করা খুবই সহজ। 

কোনো সাক্ষীর প্রয়োজন নেই।
কোন মানুষ নিজে নিজেই সেটা করতে পারে; এমনকি সে যদি একেবারে নিঃসঙ্গ হয়, কিংবা মরুভূমিতে থাকে কিংবা কোন বদ্ধ কামরায় থাকে সেখানেও সে নিজে ইসলাম গ্রহণ করতে পারে। 

প্রক্রিয়াটা হচ্ছে- সুন্দর দুটি বাক্য উচ্চারণ করা; যে বাক্যদ্বয়ের মধ্যে পরিপূর্ণ ইসলামের মর্ম নিহিত রয়েছে। যাতে অন্তর্ভুক্ত আছে- মানুষের পক্ষ থেকে আল্লাহর দাসত্বের স্বীকৃতি, আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ, আল্লাহকে উপাস্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়া, নিজের ওপর আল্লাহকে যা ইচ্ছা হুকুমদাতা হিসেবে মেনে নেয়া। যাতে রয়েছে- মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর নবী (বার্তাবাহক); তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে যা কিছু অহী হিসেবে নিয়ে এসেছেন সেসব অনুসরণ করা আবশ্যকীয়, তাঁর আনুগত্য হচ্ছে- আল্লাহরই আনুগত্য। 

যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ একীন ও বিশ্বাসের সাথে এ সাক্ষ্যবাণীদ্বয় উচ্চারণ করবে সে ইসলামে প্রবেশ করবে এবং মুসলমানদের একজন হিসেবে গণ্য হবে। মুসলমানদের প্রাপ্য যে যে অধিকার রয়েছে তার জন্যেও সেসব অধিকার সাব্যস্ত হবে এবং মুসলমানদের ওপর যে যে দায়িত্ব রয়েছে তার ওপর সেসব দায়িত্ব বর্তাবে। ইসলাম গ্রহণের পর পরই সে ব্যক্তি আল্লাহ তার ওপর যেসব আবশ্যকীয় দায়িত্ব অর্পণ করেছেন সেগুলো পালন করা শুরু করবে। যেমন- যথাসময়ে নামায আদায় করা, রমযান মাসে রোজা  পালন করা ইত্যাদি।

মুসলিম হতে হলে গোসল করে নিবে এবং বলবে “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল (বার্তাবাহক)।”

আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-

آَمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آَمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ      

তরজমা: রাসূল ঈমান আনয়ন করেছেন ঐ সকল বস্তু সম্পর্কে যা তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর ওপর অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও। সবাই ঈমান রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি এবং তাঁর নবীগণের প্রতি। তারা বলে, আমরা তাঁর নবীগণের মাঝে কোন পার্থক্য করি না এবং তারা আরো বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা আপনার নিকট ক্ষমা চাই, ওহে আমাদের পালনকর্তা! আমরা সকলেই আপনারা দিকে প্রত্যাবর্তন করি। [সূত্র : সূরা বাকারা, আয়াত ২৮৫।]

আরো জানুনঃ 

(০৪)
এটা ঠিক নয়।

তবে কিছু ক্ষেত্রে যে অসম্পূর্ণ সৃষ্টি পাওয়া যায়,সেটি এই জন্য,যাতে তাদের দেখে বান্দা মহান আল্লাহর নিয়ামত স্বরন করে।

(০৫)
যদি নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো এতে অর্থ বিকৃক হয়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
নতুবা নয়।

(০৬)
নামাজ হয়ে যাবে।

(০৭)
হ্যাঁ হবে।

(০৮)
যদি খালেস দিলে তওবা করে,এবং ভবিষ্যতে উক্ত নির্দিষ্ট গুনাহ না করার উপর মহান আল্লাহর কাছে ওয়াদাবদ্ধ হয়,তাহলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন,ইনশাআল্লাহ।         


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...