ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1982
যথাসম্ভব মিথ্যা বলা থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি পরিবেশ পরিস্থিতি মিথ্যা বলার দিকে ঢেলে দেয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত তাওরিয়াহ করা যেতে পারে।
তাওরিয়াহ হল যেমন, যেমন আপনি একজন জালিমকে লক্ষ্য করে বললেন, গতকাল আপনার জন্য দু'আ করেছি। অথচ আপনি গতকাল দু'আ করেছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি সমস্ত মুসলমান ভাই-বোনদেরকে ক্ষমা করে দেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5050
আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ -
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব (ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/644
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গোনাহ থেকে বাচতে প্রথমে তাওরিয়াহ করার চেষ্টা করতে হবে। যদি তাওরিয়াহ করা সম্ভবপর না হয়, অথবা তাওরিয়াহ দ্বারা কাজ হবেনা বলে মনে হয়, তাহলে জরুরতের দরুণ তখন মিথ্যা বলাটাও জায়েয হবে।