আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
769 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (-1 points)
আসসালামু আলাইকুম,
অনেক সময়, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যখন হারাম কাজ না করেও পারা যায় না আবার তা থেকে বাচার জন্য হঠাৎ করে তাওরিয়ার (সত্য কথা ঘুরিয়ে বলার) বিষয়বস্তু মাথায় আসে না, তখন সরাসরি মিথ্যা কথা বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া লাগে।
যেমন: কলেজ-ভার্সিটির কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক  অংশগ্রহণ করা লাগবে যেখানে বেপর্দা হবে নিশ্চিত এবং নানা নাচ-গানে সাহায্য করা লাগবে।
এমন অবস্থায় স্যারদের সরাসরি নাও বলতে পারি না আবার হঠাৎ করে কি তাওরিয়া করব তাও মনে আসে না।
তখন ডিরেক্ট একটি মিথ্যা কথা বলে দেই যে স্যার আমি কয়েকদিনের জন্য গ্রামে যাবো তাই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবো না।
প্রশ্ন: আমার জন্য এরকম মিথ্যা কথা বলা জায়েজ হবে?

1 Answer

+1 vote
by (656,190 points)
reshown by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﺳﻌﻴﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ - ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻋﻨﻪُ - ﻗﺎﻝَ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳﻘُﻮﻝ" : ﻣَﻦْ ﺭَﺃَﻯ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻣُﻨْﻜَﺮًﺍ ﻓَﻠْﻴُﻐَﻴِّﺮْﻩُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ  ﻓَﺒِﻠِﺴَﺎﻧِﻪِ ، ﻓَﺈِﻥْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﺒِﻘَﻠْﺒِﻪِ ، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺿْﻌَﻒُ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ "
নবীজী সাঃ বলেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি কোনো অন্যায় কাজ দেখে,তাহলে সে যেন তা হাত দিয়ে ,না পারলে মুখ দিয়ে এবং না পারলে সে যেন তা অন্তর দিয়ে গৃণা করে।এবং এটাই তার ঈমানের সর্বনিম্ন স্থর।(সহীহ মুসলিম-৭৩) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1982

যথাসম্ভব মিথ্যা বলা থেকে দূরে থাকতে হবে। যদি পরিবেশ পরিস্থিতি মিথ্যা বলার দিকে ঢেলে দেয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত তাওরিয়াহ করা যেতে পারে।
তাওরিয়াহ হল যেমন, যেমন আপনি একজন জালিমকে লক্ষ্য করে বললেন, গতকাল আপনার জন্য দু'আ করেছি। অথচ আপনি গতকাল দু'আ করেছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি সমস্ত মুসলমান ভাই-বোনদেরকে ক্ষমা করে দেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5050

আবুল ফরয ইবনুল জাওযী রাহ বলেনঃ
ﻭﺿﺎﺑﻄﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﻘﺼﻮﺩ ﻣﺤﻤﻮﺩ ﻻ ﻳﻤﻜﻦ ﺍﻟﺘﻮﺻﻞ ﺇﻟﻴﻪ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ، ﻓﻬﻮ ﻣﺒﺎﺡ ﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻤﻘﺼﻮﺩ ﻣﺒﺎﺣﺎ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻭﺍﺟﺒﺎ، ﻓﻬﻮ ﻭﺍﺟﺐ -
প্রত্যেক ঐ ভালো উদ্দেশ্য যে পর্যন্ত মিথ্যার আশ্রয় ব্যতীত পৌছা  প্রায় অসম্ভব, সেখানে মিথ্যা বলা বৈধ।মাকসাদ(উদ্দেশ্য) মুবাহ হলে,মিথ্যা বলা মুবাহ।মাকসাদ ওয়াজিব হলে মিথ্যা বলা ওয়াজিব (ফাতাওয়া দারাল ইফতা আল-মিচরিয়্যাহ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/644


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গোনাহ থেকে বাচতে প্রথমে তাওরিয়াহ করার চেষ্টা করতে হবে। যদি তাওরিয়াহ করা সম্ভবপর না হয়, অথবা তাওরিয়াহ দ্বারা কাজ হবেনা বলে মনে হয়, তাহলে জরুরতের দরুণ তখন মিথ্যা বলাটাও জায়েয হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...