জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যদি আপনি ভবিষ্যতে কোনো কাজ করা বা না করার কসম করে ভেঙ্গে ফেলেন,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে কাফফারা আদায় করতে হবে।
কাফফারার সেই রোযা ওয়াজিব হবে।
(০২)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বামীর অনুমতি ব্যাতিত স্ত্রীর জন্য নফল রোযা রাখা, নফল নামাজ পড়া,কুরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ।
(নাজমুল ফাতওয়া ৫/৩০৭)
۔
وعن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " لو كنت آمر أحدا أن يسجد لأحد لأمرت
المرأة أن تسجد لزوجها " . رواه الترمذي
আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমি যদি কাউকে কারো জন্য সিজদাহ করার আদেশ করতাম, তাহলে নারীকে আদেশ করতাম, সে যেন তার স্বামীকে সিজদাহ করে।’’
(তিরমিযি ১১৫৯)
আরো জানুনঃ
قال في البحر عن القنية للزوج أن يمنع زوجته عن كل ما كان الإيجاب من جهتها كالتطوع والنذر واليمين دون ما كان من جهته تعالي كقضاء رمضان (٢/٤٣٠)
সারমর্মঃ
স্বামীর জন্য অধিকার রয়েছে নিজের স্ত্রীকে তার পক্ষ থেকে কোনো রোযা রাখা থেকে।
যেমন,নফল রোযা,মান্নত,কসমের রোযা।
তবে যাহা আল্লাহর পক্ষ থেকে, সেটাতে নিষেধ করতে পারবেনা।
যেমন রমজানের কাজা রোযা।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ২/৪৩০)
★প্রশ্নে উল্লেখিত রোযায় স্বামীর অনুমতি লাগবে।
(০৩)
হ্যাঁ শাওয়াল মাসেও সেই কাফফারার রোযা রাখতে পারবেন।
তবে শাওয়ালের ৬ রোযার মধ্যে এই কাফফারার রোযার নিয়ত এক সাথে করা যাবেনা।
আলাদাভাবে করতে হবে।
(০৪)
হ্যাঁ সেই ভেজা কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ-