ক) সাহাবারা শুরুতে তাহাজ্জুদ পড়তেন শুধু, অন্য নামায ফরয ছিলো না। তাহাজ্জুদ তখন ফর‍য ছিল। কেউ কেউ অর্ধেকের বেশি রাত, কেউ অর্ধেক রাত, কেউ অর্ধেকের কম রাত জেগে থাকতেন। এভাবে অনেকদিন চলে যাওয়ার পরে আর তাদের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক অনেক ভালো হয়ে গেল। তারপর 5 ওয়াক্ত নামায ফরয হলো। তো আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের তো এভাবে শুরুতে শুধু তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়টা নেই। কারণ আমাদের 5 ওয়াক্ত নামাযও সময়মত পড়তে হচ্ছে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে তাহাজ্জুদ সাহাবাদের শুরুর যুগের মত ওরকম লম্বা সময় পড়া সম্ভব নয়। আমাদের করণীয় কি? কারণ তাহাজ্জুদের নামাযের মত সম্পর্ক বৃদ্ধির নামায অন্য সময়ে নামায পড়ে সম্ভব নয় মনে হচ্ছে। কারন রাতের বেলা চুপচাপ পরিবেশ, অন্ধকার পরিবেশেই নামায পড়ে বেশি মজা আমার কাছে মনে হয়। এইজন্যই তো সকল সালাফ তাহাজ্জুদ পড়তেন।
খ) i) গাজ্জালী রহ, বায়েজীদ বোস্তামী রহ, অনেকেই বনবাসে থেকে আল্লাহর ধ্যানে ছিলেন। অথচ ইসলামে সংসারত্যাগী বনবাস নাকি জায়েয নাই শুনি অনেক। কখন এইটা একজনে মানুষ করতে পারবে?
ii) বিয়ের আগেই যদি কেউ একা সবার থেকে আলাদা থাকা শুরু করে তো কি সমস্যা? যেমন বাদশার হারুন উর রশীদের ছেলে শুরুতেই চলে গিয়েছিলেন ঘর ছেড়ে, সেখানেই একা একা মারা গিয়েছেন, (এবং এরকম আরো অনেক ঘটনা আছে) তো এইক্ষেত্রে তার ঘরের মানুষের প্রতি হক কিভাবে আদায় হলো? ইসলামে তো ঘরের মানুষের হক আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
iii) ঘরে থেকে কি বনবাসের সুফল পাওয়া সম্ভব? যেমনঃ বায়েজীদ বোস্তামী রহ. বলেছেন, আমি যদি ঘরে আমার অন্ধ মায়ের সেবা করতাম তো বনে থাকার চেয়ে আরো বেশি ফায়দা পাইতাম।
iv) মোরাকাবা, মুহাসাবা, অন্তরের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য তো পীরের সান্নিধ্যে যাওয়া অনেক জরূরী। তো সেজন্য তো ঘর থেকে বের হওয়া চাই। যেমনঃ একজন মুরিদ ৩৩ বছর ধর তার পীরের সোহবত থেকে তাযকিয়াহ হাসিল করেছেন। তো এই ক্ষেত্রে কিভাবে ঘরের হক আদায় হবে? সাহাবারা তো এইভাবে সংসারেত্যাগী ছিলেন না। এইটা কখন করা যাবে?
গ) i) পীর আউলিয়া সালাফদের নামের শেষে রাযিয়াল্লাহু আনহু বলা যায় সাহাবাদের মতো? এক জায়গায় দেখলাম এভাবে লেখা। নাকি এইটা সুন্নি বিদাতীরা বলে?
ii) সাধারণ নেককার মানুষদের কি হাফিযাহুল্লাহ, রহমাতুল্লাহ বলা যায়?
ঘ) i) কোরবানীর সময় হুজুররা কাগজে লেখা নামগুলো পড়ে তারপর কোরবানী করে। আমার প্রশ্ন হলো, আল্লাহ তো জানেন কে কে কোরবানি দিচ্ছে, তো নাম এভাবে পড়ার দরকার কি?
ii) আর নামগুলো কাগজে লেখারই বা দরকার কি? আল্লাহ তো জানেন কে কে পশু কিনেছে বা কোরবানি দিবে।
ঙ) অনেকের হাটুতে বা হাতে ব্যথা বা কাটা থাকলে রুকু সিজদাহতে মুখ দিয়ে কষ্টকর আওয়াজ বের হতে পারে। এতেও কি নামায ভাঙবে?