ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3712 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
দ্বিতীয় প্রকারে পিতা-মাতা ছাড়াও আরও অনেকের জন্য নাফক্বাহ ওয়াজিব হয়।
এ বিষয়ে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
وَالنَّفَقَةُ لِكُلِّ ذِي رَحِمٍ مَحْرَمٍ إذَا كَانَ صَغِيرًا فَقِيرًا، أَوْ كَانَتْ امْرَأَةً بَالِغَةً فَقِيرَةً، أَوْ كَانَ ذَكَرًا فَقِيرًا زَمِنًا، أَوْ أَعْمَى وَيَجِبُ ذَلِكَ عَلَى قَدْرِ الْمِيرَاثِ وَيُجْبَرُ كَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَتُعْتَبَرُ أَهْلِيَّةُ الْإِرْثِ لَا حَقِيقَتُهُ كَذَا فِي النُّقَايَةِ.
প্রত্যেক আত্মীয়র জন্য নিকটত্বের ধারাবাহিতায় নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে,যদি তারা নাবালিগ ও ফকির হয়।অথবা ফকির বালিগা মহিলা হয়।অথবা বার্ধক্য বা রোগগ্রস্ত উপার্জনে অক্ষম(ফকির)অথবা অন্ধ হয়।এবং তা মিরাসের ভিত্তিতে ওয়াজিব হবে।অর্থ্যাৎ উক্ত ধনী ব্যক্তিকে তাদের উপর তাদের কাছ থেকে তার জন্য প্রাপ্য মিরাস অনুযায়ী নাফক্বাহ দিতে তাকে বাধ্য করা হবে।এক্ষেত্রে ওরাসতের আহল হওয়াই যতেষ্ট বাস্তবে ওয়ারিছ হওয়া শর্ত নয়।নুক্বায়া কিতাবে এভাবেই বর্ণিত রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫৬৬)
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলা গরিব/ফকির হলে কার উপর তার নাফক্বাহ ওয়াজিব?
এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায়,
প্রথমে তার পিতার উপর তারপর স্বামীর উপর তারপর সন্তানের উপর।এদের মধ্যে যদি কেউ জীবিত না থাকে অথবা নাফক্বাহ দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর উক্ত মহিলার নাফক্বাহ ওয়াজিব হবে।
وَتَجِبُ نَفَقَةُ الْإِنَاثِ الْكِبَارِ مِنْ ذَوِي الْأَرْحَامِ، وَإِنْ كُنَّ صَحِيحَاتِ الْبَدَنِ إذَا كَانَ بِهِنَّ حَاجَةٌ إلَى النَّفَقَةِ كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ
প্রাপ্তবয়স্কা মহিলার নাফক্বাহ ওরাসতে নিকটত্বের ভিত্তিতে নিকটাত্মীয় উপর ওয়াজিব হবে,যখন তার নাফক্বাহর প্রয়োজন হবে।।যদিও সে শারিরিকভাবে সুস্থ থাকে না কেন।(শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কোনো মহিলার ছেলে শত চেষ্টার পরও তার মায়ের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে না পারলে, উক্ত মহিলার ভাই যদি স্বাবলম্বী হয়, ভাইয়ের প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা থাকে,তাহলে ভাইয়ের উপর বোনের ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করা ওয়াজিব। এমতাবস্থায় ভাই ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণ না করলে অবশ্যই গোনাহগার হবে।
https://www.ifatwa.info/29719 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লামা হাফিয সালাহুদ্দিন ইউসুফ কর্তৃক লিখিত
"তাফসীরে আহসানুল বয়ান" কিতাবখানা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার সুযোগ হয়নি।তাই এ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট মন্তব্য করতে পারছি না।তবে লোকমুখে শুনেছি এটা সালাফি মানহাযের আলোকে রচিত একখানা তাফসীর গ্রন্থ।তাই আমরা মুকাল্লিদ তথা কোনো মাযহাবের অনুসারী বিশেষকরে হানাফি ফিকহের অনুসারীদের জন্য উক্ত তাফসীর গ্রন্থ কে সাজেষ্ট করতে পারছি না।
আমরা সাধারণত
তাফসীরের ক্ষেত্রে "মা'রিফুল কুরআন" কিতাবকে সাজেষ্ট করে থাকি।কেননা উক্ত কিতাব মাযহাবের আলোকে রচিত।