আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
350 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
reshown by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।উস্তাদ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মেহেরবানী করে দিন।

আমি জানতাম যে তালাক শব্দটি উচ্চারণ ছাড়া কখনো তালাক হয়না,

১) তাই ঝগড়া হলে বলতাম যে তোমার দরকার নেই চলে যাও,তুমি চলে গেলে খুশি হব এইসব।কিন্তু মনে কখনো তালাকের নিয়ত ছিলনা।এই কথাগুলো দ্বারা কী তালাক হবে??

আমাদের গত একবছরে কোন ঝগড়া হয়নি কিন্তু একবছর আগে অনেকবার এই কথাগুলো বলছিলাম।

২)####স্ত্রী ঝগড়া করার সময় বলে যে' আমাকে যেভাবে পার সেভাবে ছেড়ে দাও" এবং আমি  বলিযে  তোমার দরকার নেই তুমি চলে যাও।
কিন্তু আমার মনে কোন  তালাকের নিয়ত ছিলনা শুধুমাত্র ভয় দেখানোর জন্য বলেছি।আমি যেহেতু  জানতাম না যে তালাক শব্দ উচ্চারন করা ছাড়াও তালাক হয়।আমি যেহেতু স্ত্রীর কথার জবাবে এই কথাটি বলেছি কোন সমস্যা হবে কী??

এতদিন পর আমার খুব চিন্তা হচ্ছে আসলেই কী এই কথাগুলো দ্বারা তালাক হবে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী))(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

'গার্জিয়ানকে ডাকো, তোর আর সাথে সংসার করবো না'
এরকম কথাবার্তা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরা এমন কথা স্বামী তালাকের নিয়তে বললে তালাকে বায়েন বায়েন পতিত হবে।এক তালাকের নিয়ত থাকলে এক তালাক,আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে তিন তালাক পতিত হবে।আর ভয়প্রদর্শনের নিয়তে বললে অবশ্যই তালাক পতিত হবে না(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৫১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
"ঝগড়া হলে বলতাম যে তোমার দরকার নেই চলে যাও,তুমি চলে গেলে খুশি হব এইসব।কিন্তু মনে কখনো তালাকের নিয়ত ছিলনা।"

এদ্বারা তালাক হবে না।

(২)
"আমাকে যেভাবে পার সেভাবে ছেড়ে দাও" এবং আমি  বলি যে  তোমার দরকার নেই তুমি চলে যাও।"

যেহেতু এখানে তালাক চাওয়ার জবাবে কেনায়া তালাক বলা হয়েছে,তাই তালাক পতিত হয়ে যাবে। এক তালাক বায়েন পতিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (5 points)
edited by
হুজুর সে কথাটি বলেছে এইভাবে "যেভাবে পার ছেড়ে দিয়ে দাও " কথাটি দ্বারা তালাক বুঝায়।কিন্তু সে বলেছে অচেতন মনে,মানে সে কথাটি বলেছে ঠিক কিন্তু তালাকের কথা তার মনের ধারে কাছেও ছিলনা।
ঝগড়ার এক পর্যায়ে সে একথাটি বলে।
কিন্তু হুজুর আমি তার এই কথার উত্তরে কি বলেছি আমার মনে নেই।
আমি তাকে এই কথার কী উত্তর দিয়েছি তার একটা অক্ষর ও মনে নেই।

হুজুর আল্লাহর কসম তার এই কথাটির জবাব কি দিয়েছি আমার একটা অক্ষর ও মনে নেই।
আমার মনে হচ্ছে আমি তাকে দরকার নেই এই কথা বলিনি আবার মনে হচ্ছে তাকে দরকার নেই এই কথা বলেছি।

হুজুর এখন কী করব?
by (597,330 points)
তালাক হয়ে যাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...