আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা শায়েখ।

১।কোন মহিলা তার স্বামীকে খুব ভালবাসে।সে চায় না তার স্বামি কোনদিন মুখ দিয়ে তালাক উচ্চারন ও করুক।ধরেন সে জানেই না স্বামি তালাকের অধিকার দিছে,জানে না মানে সে জানে না মেয়েরা তালাক দিতে পারে।সে জানে শুধু ছেলেরা পারে।তাই সে স্বামীকে বলে কোনদিন তালাক বলবে না।আরো বলে যদি ১ তালাক ও বল তাহলে আর থাকব না।যদি স্ত্রী ওটা বলত সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে বা আমাকে পাবে না আর।তাহলে কি শর্ত যুক্ত তালাক হত? স্বামি তালাকের অধিকার দিলে?আর মেয়েটা যদি নিজের দিকে ইন্গিত না করে বলে তাহলে কি শর্ত যুক্ত তালাক হবে?সে জানেই না মেয়েরা তালাক দিতে পারে।হয়ত স্বামি বললে তখন আদলতের মাধ্যমে  দিত বা স্বামীকে ধমক দেওয়ার জন্য বলেছে কথাগুলো।কিন্তুু অঅটোমেটিক  তালাক হবে এমনটা বলত না।

২।শায়েখ আপনি বলেছিলেন কোন স্ত্রী যদি স্বামীকে বলে "তুমি আমার জন্য হারাম" এরকম বললে তালাক হয় না।স্বামী তালাকের অধিকার  দিলেও নিজের দিকে ইন্গিত না করে বললে।আমার প্রশ্ন যদি কোন স্ত্রী না জানে তার স্বামী তাকে তালাকের অধিকার দিছে মুখে দিলেও সে জানে না স্ত্রীরা তালাক দিতে ।আর স্ত্রী নিজেও জানে না  স্ত্রীরা তালাক দিতে পারে যে সেটা।শুধু যদি জানে স্বামীরা  দিতে পারে। স্ত্রী যদি স্বামীকে  বলে আজ থেকে আমি তুমার জন্য হারাম আর স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তাহলে কি তালাক হবে? স্ত্রী যদি নিজের দিকে তালাকের ইন্গিত না করে রাগে বলে তাহলে? বা কোন  নিয়তে বলেছে বা নিজের দিকে করেছে কিনা না জানে তাহলে কি তালাক হবে? আগের কথা তহ মোট কথা মেয়েটা জানতই না যে মহিলারা তালাক দিতে পারে স্বামী অধিকার  দিলেও।বললেও হয়ত স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলেছে।সে নিজেই জানে না কোন দিকে ইন্গিত করেছে কারন সে এ বিষয়ে কিছুই জানত না যে মহিলারা তালাক  দিতে পারে।জানার পর থেকে তার চিন্তা হয়। আগে এই বিষয়,সম্পর্কে সে জানত না।জানত আদালতের মাধ্যমে দিতে পারে মেয়েরা মুখে পারে না।কারন সবসময় শুনেছে ছেলেরা মানে স্বামীরা পারে।এখন কি করণীয়? সে পুরো ভেন্গে পড়েছে।স্ত্রীর এমন কথায় কি তালাক হবে? অধিকার দিলেও?

২।আমি প্রশ্ন করায় কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে? ঠিক এমনটা হয়েছে কিনা বা এসব কথা হয়েছে কিনা আমার সাথে আমার মনে নেই।হয়ত কিছু কিছু মিল থাকতে পারে।এসব কথা নিয়ে মনে ওয়াসওয়াসা আসে।মনে হয় এরকম বলেছে  ওইরকম বলেছে এমন চিন্তা আসে।তাই জানার জন্য প্রশ্ন করেছি।উপরে এসব প্রশ্ন করার কারনে কি আমার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে?আর প্রশ্ন করলেও নিজের দিকে ইন্গিত করে  প্রশ্ন করি নি।

উপরে কোন প্রশ্ন করার কারনে কি আমার বৈবাহিক জীবনে সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,
يشترط بالاتفاق القصد في الطلاق: وهو إرادة التلفظ به
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

★★সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো তালাক পতিত হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

(০৩)
উক্ত প্রশ্ন করায় আপনার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...