ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, তখন পর্দা সম্মত অজুর ব্যবস্থা না থাকলে এবং পর্দার ব্যবস্থা করা না গেলে অজুর বদলে তায়াম্মুম করা যাবে।
(২)
পর্দা সম্মত অজুর জন্যর সর্বাত্মক চেষ্টা প্রচেষ্টার পর যদি কেউ তায়াম্মুম করে, তাহলে তাকে আর এ'আদাহ তথা উক্ত নামাযকে পূনর্বার আর পড়তে হবে না।
(৩)
বাহ্যিকভাবে মাঠিকে কোনো নাপাকি দৃষ্টিগোচর না হলে উক্ত মাঠিকে পবিত্র মাঠি হিসেবেই ধরে নিতে হবে।
(৪)
(জমিন ছাড়া) মাটি জাতীয় অন্যান্য জিনিসের উপরও তায়াম্মুম করা দুরুস্ত আছে; যেমন, মাটি, বালু, পাথর, বিলাতী মাটি, পাথর চুন, হরিতাল, সুরমা, গেরুমাটি ইত্যাদি। মাটি জাতীয় জিনিস না হইলে উহার উপর তায়াম্মুম জায়েয নহে; যেমন- সোনা, রূপা, রাং, গেহু, কাঠ, কাপড় এবং অন্যান্য শস্য ইত্যাদি। কিন্তু যদি এই সব জিনিসের উপর মাটি জমিয়া থাকে, তবে অবশ্য মাটির কারণে ইহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত হইবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,কোন জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে আর কোন জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে না।
(وَمِنْهَا الصَّعِيدُ الطَّيِّبُ) يَتَيَمَّمُ بِطَاهِرٍ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ كُلُّ مَا يَحْتَرِقُ فَيَصِيرُ رَمَادًا كَالْحَطَبِ وَالْحَشِيشِ وَنَحْوِهِمَا أَوْ مَا يَنْطَبِعُ وَيَلِينُ كَالْحَدِيدِ وَالصُّفْرِ وَالنُّحَاسِ وَالزُّجَاجِ وَعَيْنِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَنَحْوِهَا فَلَيْسَ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ وَمَا كَانَ بِخِلَافِ ذَلِكَ فَهُوَ مِنْ جِنْسِهَا. كَذَا فِي الْبَدَائِعِ.
যে জিনিষ মাঠির জিনস বা প্রকার থেকে হবে,সে জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয রয়েছে।যে জিনিস আগুনে দিলে জ্বলেও না, গলেও না তাহা মাটি জাতীয়। তাহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত আছে। যে জিনিস জ্বলিয়া ছাই হইয়া যায় বা গলিয়া যায়,যেমন স্বর্ণ রৌপ্য ইত্যাদি।তাহার উপর দুরুস্ত নহে।এবং ছাইয়ের উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত নহে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রঙ করা কোনো জিনিষের দ্বারা তায়াম্মুম হবে না, কেননা তাতে ক্যামিকল বিদ্যমান থাকে।
(৫)
জ্বী, বালু দ্বারা হবে।হ্যা, বালু বা মাঠি ইত্যাদি জাতীয় বস্তু পবিত্র হওয়া চাই।
(৬)
লঞ্চ যদি কিবলা থেকে ঘুরে যায় তাহলে আপনিও কিবলা দিকে ঘুরবেন।
(৭)
যদি লঞ্চের সাথে সাথে কিবলার দিক পরিবর্তন না করে থাকেন, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে নিতে হবে।
(৮)
রুকু সিজদা ইশারায় করে নিবেন।
(৯)
দৃশ্যমান কোনো অপবিত্রতা দেখা না গেলে, ঐ স্থানকে পবিত্র স্থান হিসেবে ধরে নেয়া হবে।
(১০)
৭৭ কিলোর অধিক সফর করার নিয়ে যদি কেউ ঘর থেকে বের হয়, তাহলে নিজ গ্রামের সীমানা বা নাজ সিটি কর্পোরেশনের সীমানা অতিক্রম করার সাথে সাথে কসরের বিধান শুরু হয়ে যাবে।স
(১১)
জ্বী, পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।
(১২)
৭৭ কিলোর অধিক।
(১৩)
সুন্নতের কোনে কসর নাই। হয়তো পূর্ণ কসর পড়তে হবে।নতুবা পড়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(১৪)
জ্বী,সময় সুযোগ থাকলে তারাবিহর নামায পড়া উত্তম।
(১৫)
ওজুতে মাথা মাসেহ করার সময় সামনে থেকে পিছনে হাত নিয়ে আবার পিছন থেকে সামনে মাসেহ করে আনা মুস্তাহাব। করলে ভালো না করলে কোনো সমস্যা হবে না।
(১৬)
মাথার যে কোনো চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা মুস্তাহাব।
(১৭)
সব আঙ্গুলে করা যায়, তবে মুস্তাহাব হল, বৃদ্ধাঙ্গুলি ও শাহাদত আঙ্গুলি ব্যতিত অন্যান্য তিন আঙ্গুলি দ্বারা মাথার অগ্রভাগ থেকে পিছনে নিতে হবে।এবং পরবর্তীতে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও শাহাদত আঙ্গুলি দ্বারা মাথার পিছন থেকে সামনের দিকে নিতে হবে।