ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/5183 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
গোসলের ফরয ১১টি।
(১)মুখ ধৌত করা।
(২)নাক ধৌত করা।
(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই।কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪)খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫)নাভি ধৌত করা।
(৬)শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি।
(৭)পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।
তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮)দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯)গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০)ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১)যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নাভী, নাকের ছিদ্র এবং কানের ছিদ্রতে পানি না পৌছালে গোসল শুদ্ধ হবে না। এবং এই গোসলের দ্বারা যত নামায পড়া হবে,সবগুলোকেই দোহরাতে হবে।
وَجَبَ تَحْرِيكُ الْقُرْطِ وَالْخَاتَمِ الضَّيِّقَيْنِ وَلَوْ لَمْ يَكُنْ قُرْطٌ فَدَخَلَ الْمَاءُ الثَّقْبَ عِنْدَ مُرُورِهِ أَجْزَأَهُ وَإِلَّا أَدْخَلَهُ وَلَا يَتَكَلَّفُ فِي إدْخَالِ شَيْءٍ سِوَى الْمَاءِ مِنْ خَشَبٍ وَنَحْوِهِ. كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)
(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৯, জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৮৯,জাদীদ মাসাঈল-৯৭)
সুপ্রিয় প্রম্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন"
কানের ছিদ্রে পানি না পৌছলে ফরয গোসলই হবে না।সুতরাং যতগুলো নামায পড়া হয়েছে, অনুমানের ভিত্তিতে সেই সব নামাযের কাযা করতে হবে।
(২)
তেলাপোকা শরীরে দৃশমান কোনো নাপাকি না থাকলে তেলাপোকা নাপাক নয়।সুতরাং তেলাপোকা শরীরে আছড়ে পড়ার কারণে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
অদৃশ্যমান নাপাকি হলে ৩ বার ধৌত করা ছাড়া পবিত্র হয়না। নাপাকি ধৌতকরার সময় অন্য কিছু স্পর্শ করলে সেটাও নাপাক হয়ে যায়। যেমন ঘরের মেঝের কোথায় নাপাকি লেগে আছে কিন্তু আমরা জানি না, তো সেখান পানি দিয়ে মুছে বালতিতে ন্যাকরাসহ পুনরায় পানি নিতে গেলে, সম্পূর্ণ বালতির পানি নাপাক হয়ে যাবে।