আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
375 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by

১) কোন মেয়ে ইসলামের খিদমত করার নিয়তে পড়াশুনা করতে চায়। বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি থেকে সে যদি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় তাহলে সে কিভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং(CSE) পড়ে ইসলামের খিদমত করতে পারে?
ক) ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের সংখ্যাই হয়ত অনেক বেশি। এখানে সে কিভাবে পড়াশুনা করতে পারবে?

২) নিচের কোন কোন লাইনগুলো বললে শিরক বা কুফর হয়?

ক)

"জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং মাছের জীবন বিপর্যস্ত হয়। কিছু প্রজাতির মাছ বিলুপ্তও হয়ে যেতে পারে"
খ)

ফসফরাস ---- এর গাঠনিক উপাদান, তাই ফসফরাস ছাড়া উদ্ভিদের পুষ্টি একেবারেই সম্ভব নয়।

গ) বোরন উদ্ভিদ কোষকে দৃঢ়তা দেয়।

ঘ) কোষবিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন করে পটাশিয়াম।

ঙ)

(----) উপাদানগুলো ছাড়া উদ্ভিদ বা প্রানী সুষ্ঠু ভাবে বাচতে পারে না।

চ) জিন বংশগতির নিয়ন্ত্রক। 



জ) সালোকসংশ্লেষণ এর মাধ্যমে উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে।

ঝ) অক্সিজেন ছাড়া আমরা বাচতে পারি না।
 

 ঞ) কোন জিনিসের মানুষের অভাব মেটানোর ক্ষমতাকে উপযোগ বলে।

এটা তো কুফর , তাই না? 

Allah Subhanahu Wa Ta'ala said:

وَاَ نَّهٗ هُوَ اَغْنٰى وَ اَقْنٰى
ওয়া আন্নাহূহুওয়া আগনা-ওয়া আকনা-।

"আর এই যে, তিনিই অভাবমুক্ত করেন আর সম্পদ দেন,"
(QS. An-Najm 53: Verse 48)

* Via Al-Qur'an Bangla https://quran-bangla.com

ট) চ এ লিখা "জিন বংশগতির নিয়ন্ত্রক "।

কেউ যদি এভাবে বিশ্বাস করে যে ❝ যদি আসলেই জিনের মধ্যে আল্লাহ আমাদের চুলের রঙ, গায়ের রঙ এগুলো দিয়ে থাকেন তাহলে আল্লাহই যা ইচ্ছা করেন সে বৈশিষ্ট্যই বাবা-মা থেকে সন্তানে যায় আর জিন ❝উসিলা❞ মাত্র। এসব আল্লাহর ইচ্ছাধীন। ❞

এভাবে বিশ্বাস রাখা যাবে?

৩) উপরের (ক--ঞ) কোন বাক্য শিরক বা কুফর হলে পড়ার ক্ষেত্রে আকিদা কেমন রাখব তা বলবেন?

৪)আর পড়াটা বুঝে মুখস্থ করলে আর মুখস্থটা মনে রাখার জন্য এই লাইনগুলো দিয়ে মনে রাখলে আর  আকিদা ঠিক রাখলে কি ঠিক হবে? ( ( জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক কিছু বুঝার থাকে), ধরুন, আমি এই বাক্যগুলো ❝বুঝে পড়লাম আর মুখস্থ করলাম❞ আর আকিদা ঠিক রাখলাম, তাহলে ইমানে কি কোন সমস্যা হয়?) 

 

৬)আর একটা কথা। উত্তর দেওয়ার পরে আমি কমেন্টে এই সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করতে পারি হয়ত। আপনারা দেখবেন মনে করে।

(কমেন্টে আরো প্রশ্ন। )

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
এই বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ,তাদের থেকে জেনে নেয়ার পরামর্শ রইলো।    

(০২)
চেহারা, হাত,পা পূর্ণভাবে ঢেকে পরিপূর্ণ পর্দা করে দৃষ্টির হেফাজত করে এখানে পড়াশোনা করা যাবে।
ফিতনার আশংকা থাকলে ক্লাশ বন্ধ রেখে শুধু পরীক্ষা দিতে পারবে।

(০৩)
শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 

যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা স্পষ্ট ভুল। যে বিষয়ে যতটুকু কমতি আছে তাতে ততটুকু কমতির কথাই বলা উচিত। বাড়াবাড়ি করে বিদআতকে শিরক বলে দেওয়া অথবা তাওয়াক্কুলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরিপন্থী বিষয়কে তাওহীদের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে শিরক বানিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।
,
শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-

وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.
নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.
আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন-
اِنَّ اللهَ لَا یَغْفِرُ اَنْ یُّشْرَكَ بِهٖ وَ یَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰۤی اِثْمًا عَظِیْمًا.
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। -সূরা নিসা (৪) : ৪৮

আরো জানুনঃ- 

★উল্লেখিত সবগুলো বিষয়কে আমরা উসিলা হিসেবে ধরে নেই।
তাই আকীদা বিশুদ্ধ রেখে এগুলো বলা/পড়াকে শিরক বলা যাবেনা। 
তবে কেহ যদি সত্যিকার অর্থেই এগুলোকেই হুবহু অর্থে বিশ্বাস করে,আল্লাহ তায়ালার হুকুমেই হয়,এমনটি অস্বীকার করে,তাহলে এতে শিরক হবে।

 (০৩)
পড়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা থেকেই সবকিছু হয় বিশ্বাস রেখে এগুলোকে ওসিলা মনে করে পড়তে হবে।

(০৪)
হ্যাঁ আকীদা ঠিক রাখলে এভাবে মুখস্থ করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
১) আর ৯) এর জন্য বলছি, 
আমি অভিজ্ঞ কাউকে চিনি না। বিশেষ করে ৯) এর জন্য। আমি তাহলে কি করব?

by (565,890 points)
(০৭)
তারা হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে,এমন কোনো বিষয় জানতে পারলে আপনি ফকির তথা সাহেবে নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়ে থাকলে সেটি গ্রহন করতে পারবেন।

আর যদি জানা না যায়,তাহলে সাহেব নেসাব পরিমান সম্পদের মালিকদের জন্য এই টাকা না নেওয়া উচিত হবে।
গরিবরা নিতে পারবে।

(০৯)
এই বিষয়ে বিজ্ঞদের স্বরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ থাকবে।
প্রসাধনী সামগ্রী হলে ত্বক বিশেষজ্ঞ দের কাছে যেতে পারেন।   

(১০)
এতে কবিরাহ গুনাহ হবে,তবে তার ঈমান চলে যাবেনা।
অসম্মান বা ঠাট্রা মূলক হলে ঈমান চলে যাবে।      

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...