পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আগে-পরে বার রাকাত সুন্নাত। হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ
যে ব্যক্তি দিবা-রাত্র বার রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখেন। চার রাকাত জোহরের ফরয নামাযের পূর্বে এবং দু’রাকাত জোহরের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকাত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দু’রাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে। (সুনানে নাসায়ী ১৭৯৫)
(০২)
ফরজ নামাজ শেষ করে নফলের আগেই এই সুন্নাত নামাজ আদায় করতে হবে।
(০৩)
ওয়াক্ত আসা মাত্রও পড়তে পারেন,আবার ১২-৩০ টায় ও পড়তে পারেন।
(০৪)
ফজরের নামাজের আগে আলাদা দুই রাকাত সুন্নাত আদায় করতে হবে।
(০৫)
আমি ফজরের পূর্বের/জোহরের পরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ত করছি।
এভাবে মনে মনে সংকল্প করবেন।
(০৬)
ইশরাক : সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর তথা সূর্য উদিত হওয়ার (১০-১৫ মিনিট পর) ইশরাকের নামাজ আদায় করতে হয়।
দুহা তথা চাশতের নামাজ : সূর্য মধ্য আকাশে স্থির হওয়ার আগ মুহূর্তে ‘দুহা’র নামাজ আদায় করা হয়।
বিস্তারিত জানুনঃ
আরো নফল নামাজঃ
তাহাজ্জুদ।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)
আউয়াবিন : মাগরিব ও এশার নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে আদায়কৃত ছয় রাকাত নামাজ ‘আউয়াবিন’ নামে পরিচিত।
তাহিয়্যাতুল অজু : অজুর মাধ্যমে অপবিত্র অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়ার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। এই নামাজকে বলা হয় তাহিয়্যাতুল অজু।
তাহিয়্যাতুল মসজিদ : মসজিদে প্রবেশ করার পর আদায় করার নামাজ। আল্লাহ মসজিদে আসতে পারার কৃতজ্ঞতা ও মসজিদের সময়টুকু ফলপ্রসূ হওয়ার প্রার্থনা হিসেবে এই নামাজ পড়া হয়।
এছাড়াও রয়েছে ছলাতুল হাজত,ছলাতুত তওবার নামাজ।
ছলাতুত তাসবীহ এর নামাজ।
তিনি প্রত্যেক ওয়াক্যের জন্য অযু করে সেই ওয়াক্তের মধ্যে ঐ এক অযু দিয়ে যত ইচ্ছা কুরআন পড়বেন।