আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
307 views
in সালাত(Prayer) by (20 points)
১২ রাকাত সুন্নত
১.অনেক এ বলে ফরজ নামাজ আদায় করে তারপর এই সুন্নত  নামাজ পরতে ২ রাকাত তারপর বাকি নামাজ
২.আবার অনেক এ বলে নামাজ শেষ করে তারপর ২ রাকাত। কিন্তু নফল নামাজ এর পর পরবো সুন্নত?
৩।১২ টার দিকে  যহর ওয়াক্ত হই তার আগে ৪ রাকাত পরতে হবে নাকি যদি ১২:৩০+ পরলে হবে?
৪.তাহাজ্জত যে সুন্নত নামাজ সেই ২ রাকাত কি ১২ রাকাত সুন্নত এর মদ্ধে নাকি আলাদা করে ২ রাকাত পরতে হবে ফজর আগে

৫।এই নামাজ এর নিয়ত কিভাবে করবো?
৬.ইসরাকের নামাজ কখন পরবো আর চাশতের নামাজ কখন?আর কোন নফল নামাজ আছে

৭.মারজু ব্যক্তি কোরআন কিভাবে পরবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আগে-পরে বার রাকাত সুন্নাত। হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَنْ ثَابَرَ عَلَى اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ، وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعِشَاءِ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ

যে ব্যক্তি দিবা-রাত্র বার রাকাত (সুন্নাতে মুআক্কাদা) আদায়ে অভ্যস্ত হয়ে যায় আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখেন। চার রাকাত জোহরের ফরয নামাযের পূর্বে এবং দু’রাকাত জোহরের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকাত মাগরিবের ফরয নামাজের পরে, দু’রাকআত ইশার ফরয নামাজের পরে এবং দু’রাকআত ফজরের ফরয নামাজের পূর্বে। (সুনানে নাসায়ী ১৭৯৫)

(০২)
ফরজ নামাজ শেষ করে নফলের আগেই এই সুন্নাত নামাজ আদায় করতে হবে।

(০৩)
ওয়াক্ত আসা মাত্রও পড়তে পারেন,আবার ১২-৩০ টায় ও পড়তে পারেন।

(০৪)
ফজরের নামাজের আগে আলাদা দুই রাকাত সুন্নাত আদায় করতে হবে।

(০৫)
আমি ফজরের পূর্বের/জোহরের পরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজের নিয়ত করছি।
এভাবে মনে মনে সংকল্প করবেন।

(০৬)
ইশরাক : সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর তথা সূর্য উদিত হওয়ার (১০-১৫ মিনিট পর) ইশরাকের নামাজ আদায় করতে হয়।

দুহা তথা চাশতের নামাজ : সূর্য মধ্য আকাশে স্থির হওয়ার আগ মুহূর্তে ‘দুহা’র নামাজ আদায় করা হয়।

বিস্তারিত জানুনঃ

আরো নফল নামাজঃ

তাহাজ্জুদ।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা হলো আল্লাহর মাস মহররমের রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সর্বশ্রেষ্ঠ নামাজ হলো রাতের (তাহাজ্জুদের) নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩)

আউয়াবিন : মাগরিব ও এশার নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে আদায়কৃত ছয় রাকাত নামাজ ‘আউয়াবিন’ নামে পরিচিত। 

তাহিয়্যাতুল অজু : অজুর মাধ্যমে অপবিত্র অবস্থা থেকে পবিত্র হওয়ার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়। এই নামাজকে বলা হয় তাহিয়্যাতুল অজু।

তাহিয়্যাতুল মসজিদ : মসজিদে প্রবেশ করার পর আদায় করার নামাজ। আল্লাহ মসজিদে আসতে পারার কৃতজ্ঞতা ও মসজিদের সময়টুকু ফলপ্রসূ হওয়ার প্রার্থনা হিসেবে এই নামাজ পড়া হয়। 

এছাড়াও রয়েছে ছলাতুল হাজত,ছলাতুত তওবার নামাজ।
ছলাতুত তাসবীহ এর নামাজ।

(০৭)
সম্ভবত এখানে মা'যুর ব্যাক্তি উদ্দেশ্য। 
তিনি প্রত্যেক ওয়াক্যের জন্য অযু করে সেই ওয়াক্তের মধ্যে ঐ এক অযু দিয়ে যত ইচ্ছা কুরআন পড়বেন।
ওয়াক্ত চলে গেলে আবারো পরবর্তী ওয়াক্তে অযু করে কুরআন পড়বেন।

মুখস্থ কুরআন পাঠ করলে তো সেক্ষেত্রে অযুর প্রয়োজনীয়তা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...