আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in সাওম (Fasting) by (2 points)
১ঃআমার আম্মু অনেক আগে থেকেই অসুস্থ। ভালো হয় আবার অসুস্থ হয়ে পরে।১ম রোজার দিন রোজা রাখার পর হঠাৎ বমি করে অসুস্থ হয়ে পরে।তার পরের রোজা গুলা আলহামদুলিল্লাহ করেছেন।গতকাল আবার অসুস্থ হয়ে পরেন।অসুস্থ বলতে বমি করে তারপর শারীরিক ভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পরেন।মুখ ভরে বমি করলে যেহেতু রোজা ভেঙে যায় তাই বমি করার পর আর ওই দিনের রোজা রাখতে দেই না।এখন এই অসুস্থ টা  কিছুদিন পরপরই হচ্ছে। তাহলে শায়েখ আম্মুর জন্য রোজার হুকুম কি??

২ঃআমি ভেবেছিলাম আম্মুর রোজা গুলা রমজানের পর আমি কাজা করে দিবো। এমন টা করা যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সুরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

شَهۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡهِ الۡقُرۡاٰنُ هُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡهُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَهِدَ مِنۡکُمُ الشَّهۡرَ فَلۡیَصُمۡهُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰهُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾

রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে। আর যে অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে তবে অন্যান্য দিবসে সংখ্যা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের সহজ চান এবং কঠিন চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূরণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন, তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা শোকর কর।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
ছাবেত বুনানী রাহ. বলেন, আনাস ইবনে মালেক রা. যখন বার্ধক্যের কারণে রোযা রাখতে সক্ষম ছিলেন না তখন তিনি রোযা না রেখে (ফিদয়া) খাবার দান করতেন।-মুসান্নাফে আবদুর রাযযযাক, হাদীস : ৭৫৭০
,
বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন, 
ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি হলেই কেবল রোযা ভেঙ্গে যায়।

অনিচ্ছায় মুখ ভরে বমি হলে রোযা ভেঙ্গে যায়না।
ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে এতে মুখ ভরে না হলে রোযা ভেঙ্গে যায়না।
তবে রোযা ভেঙ্গে না গেলেও রোযা ভেঙ্গে গিয়েছে মনে করে যদি পানাহার করে,তাহলে এতে কাজা ওয়াজিব হবে।        
  
বিস্তারিত জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
আপনার মা যেহেতু ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করেননি,তাই উক্ত বমি হওয়াতে তার রোযা ভেঙ্গে যায়নি।
তবে পরবর্তীতে পানাহার করায় সেই রোযা ভেঙ্গে গিয়েছে।     
পরবর্তীতে এটির কাজা আদায় করে নিতে হবে।

এখন প্রশ্ন হলো,এহেন বমি হওয়ার পর আপনার মা অসুস্থ হয়ে যান।
তাহলে কি সেই অসুস্থ অবস্থায় রোযা ভেঙ্গে ফেলা যাবে?   

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
বমি করার পর আপনার মার আসলে কেমন অবস্থা হয়,সেটি লক্ষ্যনীয়। 
যদি সেই অবস্থা থেকে কোনো অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার বলে যে রোযা ভেঙ্গে ফেলতেই হবে,নতুবা শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হবে,অসুস্থতা বেড়ে যাবে।
তাহলে সেদিন রোযা ভেঙ্গে ফেলা জায়েজ হবে।
নতুবা নয়।

(০২)
আপনার মাকেই এর কাজা আদায় করতে হবে।
আপনি আদায় করে দিলে সেটি আদায় হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...