শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী।
সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)
“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে।
বিস্তারিত জানুনঃ
الفتاوى الهندية (2/ 54):
"ولو قال: إن فعل كذا فهو يهودي، أو نصراني، أو مجوسي، أو بريء من الإسلام، أو كافر، أو يعبد من دون الله، أو يعبد الصليب، أو نحو ذلك مما يكون اعتقاده كفرًا فهو يمين استحسانًا، كذا في البدائع.
حتى لو فعل ذلك الفعل يلزمه الكفارة، وهل يصير كافرًا؟ اختلف المشايخ فيه، قال: شمس الأئمة السرخسي - رحمه الله تعالى -: والمختار للفتوى أنه إن كان عنده أنه يكفر متى أتى بهذا الشرط، ومع هذا أتى يصير كافرًا لرضاه بالكفر".
সারমর্মঃ
যদি কেহ বলে যে সে যদি অমুক কাজ করে তাহলে সে ইহুদি অথবা নাসারা অথবা অগ্নিপুজক অথবা ইসলাম থেকে মুক্ত অথবা কাফের,,,,,
তাহলে সেটি কসম হবে।
যদি সে উক্ত কাজ করে,তাহলে সে কাফের হবে কিনা,এই ব্যাপারে মাশায়েখদের মতবিরোধ রয়েছে।
শামসুল আঈম্মাহ সরখসি রহঃ বলেন যদি তার আকীদা এমন হয় যে এই কাজ করলেই সে কাফের হয়ে যাবে,তাহলে এহেন আকীদা থাকার পরেও উক্ত কাজ করা মানে কুফরিতে সন্তুষ্ট থাকা।
বিধায় সে কাফের হয়ে যাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যখন এ ধরনের কসম করেছিলো,তখন তার যদি আকীদা এটি থাকে,যে আমি ঐ কাজ করলে কাফের হয়ে যাবো,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
কেননা সে কাফের হয়ে যাওয়া ধরে নেওয়া সত্ত্বেও সেই কাজ করেছে,বিধায় তাকে কুফরিতে সন্তুষ্ট ধরা হবে।
আর যদি তার এহেন আকীদা তার না থাকে,তাহলে উক্ত কাজ করার দ্বারা কাফের হবেনা।
তবে উভয় ছুরতেই কাফফারা দিতেই হবে।
যদি কাফের হয়ে যায়,তাহলে ছুরতে তাকে নতুন ভাবে ঈমান আনতে হবে,বিবাহিত হলে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
কসম ভেঙ্গে ফেলার আগে তো কাফফারার প্রশ্নই আসেনা।
তাই কাফফারার নিয়তও করা যাবেনা।
(০২)
পূর্বে ফতোয়ায় বলা হয়েছে যে একই বিষয়ে আপনার কসম হওয়ায় আপনাকে একটি কাফফারা দিতে হবে।
(০৩)
এভাবে কাফফারা বাড়ানোর কথা বলায় কাফফারা বাড়বেনা।
(০৪)
সেক্ষেত্রে ঈমান আসবে।
(০৫)
আগে কাফফারা আদায়ের নিয়তের প্রয়োজনীতা নেই।
(০৬)
এতে সমস্যা হবেনা।
তবে আপনি আবারো প্রশ্ন করায় এতে আপনাকে এ সংক্রান্ত একট কাফফারা আদায় করতে হবে।
(০৭)
আপনি মোট কত ধরনের কসম করে ভেঙ্গে ফেলেছেন?
সেটি আগে স্পষ্ট করুন।
একই ধরনের কসমকে একটি কসম ধরবেন।
(০৮)
আল্লাহর নামে কসম করে থাকলে এতে সীম পরিবর্তন এর জন্য একটি কাফফারা দিতে হবে।
এরপরে আবারো পরিবর্তন করলে তাতে আর কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৯)
এতে সেই কাজ করলে একটি কাফফারা আসবে।
এই ছুরতে কাফের হবে কিনা,সেটি উপরে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
(১০)
হ্যাঁ, এই নিয়ত করা যাবে।
(১১)
চোখ অন্ধ হয়ে যাওয়ার যে কসম ছিলো,এতে কোনো সমস্যা হবেনা।
আর কাফের হয়ে যাওয়া সম্পর্কে যে কসম ছিলো,এটির হুকুম উপরে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।