আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (38 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিয়েছে।স্বামীর সাথে ফোনে কথা হচ্ছিল। তখন স্বামী বলে মেয়েরা কেন স্বামী ২টা বিয়ে করলে মানতে পারে না।স্ত্রী বলে মনে কর যদি আমি করি তাহলে মানতে পারবা? তখন হঠাত ওর তালাকের কথা   মনে আসলে সে মনে মনে না না বলে আর বলে এটা স্বামীকে বুঝাচ্ছি নিজেকে দিচ্ছি না।তারপর স্বামী বলে স্ত্রীকে তুমি বিয়ে করলে তহ আর ফিরে আসার সুযোগ নাই আমি করলে তহ তুমিও থাকবা।স্বামী ও স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কি তালাক হবে? আর তারা মুখ দিয়ে তালাকের কথা উচ্চারন করেও নি।স্ত্রী  মারাত্বক ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।কথা বলতেও ওর ভয় হয়।সারাক্ষণ মাথায় তালাকের ওয়াসওয়াসা  ঘুরে বেড়ায়।

২।শায়েখ স্বামী স্ত্রী দূরে থাকে।স্ত্রী এখনো বাবার বাসায়।স্ত্রী ফোন ধরতে দেরী হওয়ায়,স্বামী মেসেজে বাই বলে।স্ত্রী মারাত্বক ওয়াসওয়াসা রূগী।স্বামীকে জিগ্যেস করে আমাকে ছাড়া থাকতে পারবা? আসলে স্ত্রী সরাসরি জিগ্যেস না করে কিসের নিয়তে বলেছে আদৌ তালাকের নিয়তে বলেছে কিনা এভাবে জিগ্যেস  করেছে।কারন স্বামী তালাকের কোন প্রশ্ন  না করতে বলেছে।তহ স্বামী বলেছে এখন আছি না?  মানে এখন আছি না তুমাকে ছাড়া এটা বুঝাইছে।এটা কি কেনায়া বাক্য? স্বামী দুস্টামি করে বলেছে এই কথাটা।ওর স্বামী ওকে খুব ভালবাসে। স্ত্রী ওয়াসওয়াসা রূগী তাই এটা কোন কেনায়া বাক্য কিনা চিন্তায় পরে গেছে।

৩। স্বামী স্ত্রী দূরে থাকে।স্বামী আসবে বলে আবার আসতেছে না।স্ত্রীর খারাপ লাগে।  স্ত্রী অভিমান বা রাগ করে যদি বলে ঠিক আছে  bye,আসিও না আর। এটা কি কেনায়া বাক্য হবে? স্ত্রী নিজেকে তালাক দেওয়ার কথা ভাবতেও পারে না।দিবেও না।কথাটা বলার সময়  মনে আসলেও সে না না করে।আর শায়েখ স্ত্রী এমন কথা বলার সময় ভয় হয় ওর তবু স্বামীর  সাথে অভিমান করে বলে।তখন ওর তালাকের কথা মনে এলে না বলে মনে মনে।এই অধিকার টা নিয়ে সে খুব টেনশনে স্বাভাবিক কথাও বলতে পারে না।মনে মনে ভাবার সময় মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় কিনাও সন্দেহ হয়।

৪।ওয়াাওয়াসা রুগী মনে মনে তালাকের কথা ভাবার সময় মুখ দিয়ে মনের অজান্তে বের হয়ে গেলে কি তালাক হয়? জানার জন্য প্রশ্ন করলাম।

৫।আর কোন স্ত্রী যার তালাকের অধিকার আছে।সে নিজেই জানত না এটা কি।সে জানার আগে যদি বলে মানে তার তালাকের অধিকার  আছে।সে যদি তার স্বামিকে বলে তুর মত জামাইর দরকার নাই।এর দ্বারা কি তালাক হবে? নিজেকে তালাক দেই নাই সে জানেও না স্ত্রী তালাক  দিতে পারে যে ওটা।তার স্বামি মুখে অধিকার দিলেও সে জানত না মেয়েরা দিতে পারে সেটা।ও দিতে চাই না।এমনি রাগে এসব বলেছিল কিন্তুু নিজেকে দেই নাই।
৬।উপরোক্ত ঘটনা গুলো যদি আমার হয়।আমি প্রশ্ন করায় আপনাদের।আমার বৈবাহিক জীবনে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ


এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
স্বামী ও স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা  তালাক হবেনা।

(০২)
এটা তালাকের কেনায়া বাক্য নয়।
এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

(০৩)
এটাও তালাকের কেনায়া বাক্য নয়।
তাই এতেও চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

(০৪)
মনের অজান্তে কি শব্দ কার মুখ থেকে বের হয়েছে,সেটি স্পষ্ট জানালে ভালো হতো। 

(০৫)
না,এতে কোনো তালাক হবেনা।

(০৬)
আপনার বৈবাহিক জীবনে এতে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (38 points)
৪ নং টা জানার জন্য প্রশ্ন করেছিলাম।কোন ওয়াসওয়াসা রুগীর মুখ দিয়ে মনের অজান্তে  তা...... বের হলে।তখন?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...