উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের পরিভাষায় উক্ত ব্যাক্তিকে কাফির বলা যাবেনা।
সে মুসলমান হিসেবেই থাকবে।
আসলে এহেন বাক্য মানুষ আল্লাহর উপরে রেগে গিয়ে কঠিন মুহুর্তে বলে ফেলে,অনেকের যবান থেকে কখনো অনিচ্ছায়ও এহেন শব্দ বের হয়।
তাই তাকে কোনোভাবেই কাফির বলা যাবেনা।
তবে আল্লাহ তায়ালার শানে এহেন বাক্য ব্যবহার করা নাজায়েজ।
তাকে এহেন কথা বলার কারনে আল্লাহর কাছে খালিছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ১ম বাক্যটি মারাত্মক।
এটি ব্যাঙ্গ করে,বা ঘৃণা ভরে বলা কুফরি।
তাই এহেন বাক্য বলা থেকে দূরে থাকতে হবে।
,
শরীয়তের বিধান হয়েলো যদি কোনো মুসলমান এমন কথা বলে বা এমন কাজ করে, যার কুফরির পর্যায়ে পড়ার কেবল একটা সম্ভাবনা থাকে, তাহলেও তাকে ধর্মত্যাগী বা অবিশ্বাসী বলা যাবে না। ইমাম আবু হানিফার মতে, কোনো কথার যদি ৯৯ শতাংশই অবিশ্বাসের বোঝায় এবং মাত্র ১ শতাংশ বিশ্বাস (ঈমান) অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে না।
,
কোন মুসলিমের মধ্যে ইসলাম বিরোধী কাজ দেখতে পেলে তাকে মুশরিক বা কাফের বলে ডাকা যাবে না।
আল্লাহ বলেন, তোমরা কাউকে মন্দ লকবে ডেকো না’… (হুজুরাত ৪৯/১১)।
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ক্বাতাদাহ বলেন, এর অর্থ হ’ল, কাউকে হে মুনাফিক, হে ফাসেক ইত্যাদি বলে ডাকা যাবে না’ (বায়হাক্বী শু‘আব হা/৬৭৪৮, কুরতুবী, তাফসীর হুজুরাত ১১ আয়াত)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হ’লে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (মুসলিম হা/৬০; বুখারী হা/৬১০৩)।
তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলাটা তাকে হত্যা করার মত অপরাধ (বুখারী হা/৬০৪৭; মিশকাত হা/৩৪১০)।
কাউকে কাফের বলা নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ