আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
520 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম ; মুহতারাম।

নিচে কিছু কথা উল্লেখ করলাম যেগুলো আমি মানুষকে বলতে শুনেছি। মানুষ এভাবে প্রলাপ করে। ব;্যঙ্গ করে বলে এগুলো যে বলবে সে কি কাফির হয়ে যায় এবং যদি হয় তাহলে তার এখন কি করণীয় হবে?

১) আল্লাহ তাআ'লা শুনতে পান না।  (নাউযুবিল্লাহ)

২)আমরা এতো দুর্দশাগ্রস্থ। আল্লাহ  তা দেখেন না।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  

শরীয়তের পরিভাষায় উক্ত ব্যাক্তিকে কাফির বলা যাবেনা।
সে মুসলমান হিসেবেই থাকবে।
আসলে এহেন বাক্য মানুষ আল্লাহর উপরে রেগে গিয়ে কঠিন মুহুর্তে  বলে  ফেলে,অনেকের যবান থেকে কখনো অনিচ্ছায়ও এহেন শব্দ বের হয়।
তাই তাকে কোনোভাবেই কাফির বলা যাবেনা।
তবে আল্লাহ তায়ালার শানে এহেন বাক্য ব্যবহার করা নাজায়েজ। 
তাকে এহেন কথা বলার কারনে আল্লাহর কাছে খালিছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ১ম বাক্যটি মারাত্মক। 
এটি ব্যাঙ্গ করে,বা ঘৃণা ভরে বলা কুফরি। 
তাই এহেন বাক্য বলা থেকে দূরে থাকতে  হবে।

,
শরীয়তের বিধান হয়েলো  যদি কোনো মুসলমান এমন কথা বলে বা এমন কাজ করে, যার কুফরির পর্যায়ে পড়ার কেবল একটা সম্ভাবনা থাকে, তাহলেও তাকে ধর্মত্যাগী বা অবিশ্বাসী বলা যাবে না। ইমাম আবু হানিফার মতে, কোনো কথার যদি ৯৯ শতাংশই অবিশ্বাসের বোঝায় এবং মাত্র ১ শতাংশ বিশ্বাস (ঈমান) অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে না। 
,
কোন মুসলিমের মধ্যে ইসলাম বিরোধী কাজ  দেখতে পেলে তাকে মুশরিক বা কাফের বলে ডাকা যাবে না। 

আল্লাহ বলেন, তোমরা কাউকে মন্দ লকবে ডেকো না’… (হুজুরাত ৪৯/১১)। 

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ক্বাতাদাহ বলেন, এর অর্থ হ’ল, কাউকে হে মুনাফিক, হে ফাসেক ইত্যাদি বলে ডাকা যাবে না’ (বায়হাক্বী শু‘আব হা/৬৭৪৮, কুরতুবী, তাফসীর হুজুরাত ১১ আয়াত)। 

রাসূল (ছাঃ) বলেন, যাকে কাফের বলা হবে সে সত্যিকারে কাফের না হ’লে যে কাফের বলল তার দিকেই সেটা ফিরে আসবে (মুসলিম হা/৬০; বুখারী হা/৬১০৩)। 

তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি কর্তৃক তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলাটা তাকে হত্যা করার মত অপরাধ (বুখারী হা/৬০৪৭; মিশকাত হা/৩৪১০)। 

কাউকে কাফের বলা নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শাইখ কেও ১ম কথাটি ব্যঙ্গ করে বললে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...