বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিতিরের নামাযে কোনো সূরা নির্দিষ্ট নয়।তিন রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে যেকোনো সূরা পড়া যাবে।
এবং শেষ রাকাতে সূরা মিলানোর পর তাকবির দিয়ে দু'আয়ে কুনুত পড়তে হবে।
https://www.ifatwa.info/2027 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
বিতিরের নামাযে কুনুত করা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিব।
কুনুত হচ্ছে,তৃতীয় রা'কাতে কিরাত থেকে ফারিগ হওয়ার পর রাফে ইয়াদাঈন করে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী আবার হাতে বেধে একটি দু'আ পড়া।
وليس في القنوت دعاء مؤقت. كذا في التبيين والأولى أن يقرأ " اللهم إنا نستعينك " ويقرأ بعده " اللهم اهدنا فيمن هديت " ومن لم يحسن القنوت يقول: {ربنا آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار} [البقرة: ٢٠١] . كذا في المحيط أو يقول: اللهم اغفر لنا ويكرر ذلك ثلاثا وهو اختيار أبي الليث. كذا في السراجية.
তবে কোন দু'আ পড়তে হবে সেটা নির্দিষ্ট নয়।(তাবয়ীন)উত্তম হল,"আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাইনুকা"তথা প্রচলিত দু'আ শেষ পর্যন্ত পড়া।এবং শেষে "আল্লাহুম্মাহদিনা ফি মান হাদাইতা"শেষ পর্যন্ত পড়া।অর্থাৎ এই দু'আ পড়া।
اللَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ ، وَعَافِنَا فِيمَنْ عَافَيْتَ ، وَتَوَلَّنَا فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ ، وَبَارِكْ لَنَا فِيمَا أَعْطَيْتَ ، وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ ، إِنَّكَ تَقْضِى وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ ، إِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ (سنن البيهقى الكبرى، رقم الحديث--2960)
যে ব্যক্তি উপরোক্ত দু'আ গুলোকে ভালভাবে পড়তে জানে না,সে যেন সূরা বাকারা ২০১নং আয়াত "রাব্বা আতিনা " দু'আ শেষ পর্যন্ত পড়ে নেয়।(মুহিত)অথবা 'আল্লাহুম্মাগফির-লানা" তিনবার পড়ে নেয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১১১)(শেষ)
(২)
এক অজু দ্বারা যত ইচ্ছা নামায পড়া যাবে।