আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
246 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম,

আশা করি আল্লাহ্‌র রহমতে ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

  • প্রিয় শায়েখ, আমি একজন ফার্মাসিস্ট বর্তমানে একটা ফার্মাসিউটিক্যালস এর মার্কেটিং বিভাগে চাকুরীরত আছি। আমরা যারা ফার্মাসিস্ট হিসেবে আছি তাদের চাকুরীর ক্ষেত্র মূলত ফার্মাসিউটিক্যালস প্লান্ট অথবা মার্কেটিং বিভাগ, যেহুতে আমি কথা বলতে আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পছন্দ করি তাই মার্কেটিং এ কাজ করার প্লান করি এবং জয়েন করি। সবকিছুই ভালোভাবে চলছিল আলহামদুলিল্লাহ্‌। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে আমার মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে যে কারনে আপনাকে লেখা, আমাদের দেশে ডাক্তার সংখ্যা যেমন করে বাড়তেছে তেমনি ফার্মাসিউটিক্যালসের সংখ্যাও বাড়তেছে। আর এতে করে সবার মধ্যে একটা প্রতিযোগিতাও বাড়তেছে, বাড়তে বাড়তে এখন সেটা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে।
  •  
  • আমাদের ফার্মাসিউটিক্যালসের মূলত তিনটা ডিপার্ট্মেন্ট সরাসরি ঔষধ উৎপাদন, বিপণন এবং বিতরণের সাথে জড়িত।
  1. প্রোডাকশন- প্লান্টে কাজ করে ঔষধ উৎপাদন করে।
  2. মার্কেটিং – নতুন ঔষধের মার্কেট যাচাই করা এবং মার্কেটে লঞ্চ করা। ঔষধ বিক্রির জন্য বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে দেয়া, যেমনঃ কোন ঔষধ কোন ডাক্তারের নিকট বলতে হবে, গিফট (মোবাইল, ফ্রিজ, সোফাসেট, প্রায় সব ধরণের জিনিস) সিলেক্ট করে দেয়া, মান্থলি বা ইয়ারলি ওনারিয়াম (টাকা) দেয়া, বিদেশে বিভিন্ন কনফারেন্সে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিনিময়ে কোম্পানির নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট লিখে দেওয়ার শর্তে।  

*) মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডিপার্ট্মেন্ট- এই টিম বড় ফার্মাকোম্পানি ছাড়া কেউ আলাদা করে গঠন করে না কিন্তু টপ ১০-১২ টা কোম্পানি তে আছে, এরাও মার্কেটিং টিম এর সাথে একসাথে কাজ করে ঔষধের প্রচার এবং কোম্পানির প্রসারের জন্য। এদের কাজ গুলো হল;

  • সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করা এবং সেখানে নতুন এবং অথবা কার্যকরী ঔষধের ব্যাবহার নিয়ে আমরা আলোচনা করি।
  • ডাক্তারদের বিভিন্ন কনফারেন্সে অথবা ডাক্তারদের বিভিন্ন সোসাইটির কার্যক্রমে সরাসরি (স্টল দিয়ে) অংশগ্রহণ করি।
  • ইন্টার্নি (পাশ করে সদ্য বের হওয়া) ডাক্তারদের জন্য বিভিন্ন রিসিপশন প্রোগ্রাম করে দিয়ে থাকি ক্ষেত্র বিশেষে নাচ/গানের(কনসার্ট) আয়োজন করা হয়।
  • ডাক্তারদের জন্য বিভিন্ন মেডিক্যাল নিউজলেটার, আর্টিকেল, বই বা তাদের পড়াশুনায় সাহায্য করে এমন জিনিস দিয়ে থাকি।
  • ডাক্তারদের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় (কক্সবাজার, সেইন্টমার্টিন, সিলেট ইত্যাদির বড় বড় হোটেলে) বিভিন্ন পিকনিকের অথবা আউটিং প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকি।
  • ডাক্তারদের জন্য বিভিন্ন গিফট আইট্মের আয়োজন করে থাকি তাদের সেমিনারে অথবা কনফারেন্সে গিফট করার জন্য। যেমনঃ ব্যাগ, প্যাড, কলম, মগ, ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • এছাড়া সেলস টিম কে ট্রেইনিং (মাঝে মাঝে) এবং মান্থলি মিটিং করে থাকি(ইনহাউজ)। 
  1. সেলস ডিপার্ট্মেন্ট (মেডিক্যাল প্রমোশন অফিসার)ঃ এরা ভ্যারাইটিস কাজ করে থাকে। যেমন;
  • প্রথমত তারা ডাক্তারদের নিকট ঔষধের প্রচার করে থাকে। নতুন নতুন ঔষধ এবং তার ব্যাবহার (কোন রোগের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করবে) বলে থাকে।
  • ডাক্তারদের কে তাদের ঔষধ লিখার জন্য অনুরোধ করে থাকেন। তারা তাদের নিজস্ব কোম্পানির ঔষধ কেন ভালো, কেন ডাক্তার তাদের ঔষধ লিখবেন সেটা বলে ইমপ্রেস করে প্রেসকিফশন করতে অনুরোধ করেন।
  • ডাক্তারদের কে বিভিন্ন ঔষধের সেম্পল দিয়ে থাকেন মাঝে মাঝে ছোটখাট গিফট দিয়ে থাকেন যেমনঃ প্যাড, কলম ইত্যাদি।

দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আজকে যেমন ডাক্তারের সংখ্যা বাড়তেছে তেমন নতুন নতুন ঔষধ কোম্পানির সংখ্যাও বাড়ছে। এতে করে এই মার্কেটে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ডাক্তারদের কে আজকাল আর ঔষধের স্যাম্পল আর ছোটখাট গিফট দিয়ে তুষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। উনারা আরো বেশি কিছু চায় আর কোম্পানিগুলো ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে যা চায় তাই দিয়ে যাচ্ছি কারন আমি না দিলে অন্য কোম্পানি দিবে তাতে করে আমি মার্কেট হারবো। ডাক্তারদের আমরা এখন কি দিয়ে থাকি তার একটা ছোট্ট লিস্ট ;

  1. এই অফিসারেরা ডাক্তারদের বাজার করা, ছেলে মেয়ে স্কুলে নিয়ে আসাযাওয়া, ব্যাংকে টাকা জমা, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল সহ সব কাজ করে দিয়ে থাকেন। ভালো লাগা থেকে নয় শুধু আমার ঔষধ লিখে দিবে সে জন্য।
  2. ডাক্তারদের বিভিন্ন দামি দামি গিফট করা যেমনঃ মোবাইল, ফ্রিজ, টিভি, ওভেন, কম্বল, সোফাসেট, ডিনার সেট ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে থাকি বিনিময়ে আমার ওমুক ঔষধ টা এত দিন লিখে দিতে হবে।
  3. ঈদ, পূজা, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শাড়ি, পাঞ্জাবী, নগদ টাকা, গিফট ভাউচার(টাকার) ইত্যাদি দিয়ে থাকি বিনিময়ে আমার নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট লিখে দেওয়ার শর্তে।
  4. কোন এক বা একাধিক নির্দিষ্ট ঔষধ লিখে দেওয়ার জন্য মান্থলি বা ইয়ারলি ওনারিয়াম (টাকা) দিয়ে থাকি, সেটা ৫ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লাখ পর্যন্ত হয় ডাক্তারের পটেনশিয়ালিটি বিবেচনা করে, মানে তার কত গুলো প্যাশেন্ট হয়)
  5. ডাক্তারদের বিভিন্ন গিফট ভাউচার যেমন- সরকারী বন্ড (লাখ টাকার) দেওয়া হয় বিনিময়ে আমার নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট লিখে দেওয়ার শর্তে।
  6. ডাক্তারদের বিভিন্ন সোসাইটিকে, কোন ম্যাডিকেলের নির্দিষ্ট ডিপার্ট্মেন্টেকে, ডাক্তারদের ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। সেটা ১ লাখ থেকে ৪০-৫০ লাখ টাকার প্রোগ্রামও হতে পারে, বিনিময়ে আমার নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট লিখে দেওয়ার শর্তে
  7. এছাড়াও আরো অনেক ধরণের কাজ করা হয় শুধু ডাক্তারদেরকে ইমপ্রেস করার জন্য। যেমনঃ কোন ইউনিটে এসি লাগিয়ে দেয়া, কোন একটা দামি যন্ত্রপাতি কিনে দেওয়া, তাদের চেম্বার সাজিয়ে দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি বিনিময়ে আমার নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট লিখে দেওয়ার শর্তে।
  8. তেমনি কিছু কিছু ঔষধের দোকানেও টাকা, পয়সা আর গিফট দিয়ে ঔষধ বেচতে হয়(তবে কম টাকা আর কম দামি গিফট যেমন; তেল, চাল, ডাল, সাবান, কারি সেট ইতাদি)

শায়খ খুব বড় বর্ননা করেছি কারন এই বিষয়টা নিয়ে আমি আসলেই জানতে চাই।

  1. প্রশ্নঃ  এইটা কি অনেকটা ব্যাংকের মতই কিনা যেখানে সুদের আদান প্রদান হয়। আমাদের এখানের এই যে গিফট, টাকা ইত্যাদি দেয়া কি ঘুষের পর্যায়ে পড়বে?
  2. প্রশ্নঃ এই যে ঔষধ কোম্পানি (মার্কেটিং এবং সেলস ডিপার্ট্মেন্টের সহযোগিতায়) ডাক্তারদের এত এত গিফট, টাকা, পিকনিক ইত্যাদির আয়োজন করে চলছি বিনিময়ে কোম্পানীর ঔষধ লিখে দেয়ার শর্তে তাতে কি আমার এই চাকুরীর টাকা হালাল হবে কিনা ?
  3. প্রশ্নঃ যদি হালাল হয় তবে কি কারণে আর যদি হারাম হয় তাহলে কি কারণে হারাম হবে আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে জানাবেন?
  4. প্রশ্নঃ হারাম হলে কি করে আমরা হালাল মার্কেটিং করতে পারি ?

দয়া করে আমার এই প্রশ্নের উত্তর আশা করছি আপনার কাছ থেকে আর যদি হারাম হয় তাহলে আপনারা নিজ উদ্যাগে এই বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সভায় কথা বলবেন এই উম্মাহ কে এত বড় ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন। আল্লাহ্‌ আপনাকে উত্তম জাযা দান করুক, আমীন।

 

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/594 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
(১)
রোগী ডাক্তারের নিকট গেলে ডাক্তার  প্রেসক্রিপশনে যে ঔষধগুলোর নাম লিখে দেয়।সাধারণত ঐ ঔষধ কিন্তু পরামর্শক ডাক্তারের নিজ হাতের তৈরী নয় ।(যদিও অতীতে হাকিমদের ব্যাপারটা এমনই ছিলো)বরং এটা কোনো ঔষধ কম্পানি কর্তৃক বিশেষজ্ঞ দ্বারা তৈরী হয়ে থাকে।
ঔষধ বানানো, বাজারজাত করণ ইত্যাদির জন্য বিশাল বিশাল আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ঔষধ কম্পানি রয়েছে। যারা সময়োপযোগী বিভিন্ন ঔষধ তৈরী করে বাজারজাত করে।দেশে-বিদেশে সেল দিয়ে থাকে।
যখন কোনো কম্পানি নতুন কোনো ঔষধ তৈরী করে,তখন সে  ঐ ঔষধের গুণাগুণ, কার্যকারিতা,পার্শ-প্রতিক্রিয়া  ইত্যাদি সম্ভলিত একটি লিফ্রেট বা এ জাতীয় কিছু বের করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে জানায় তথা ডাক্তারদেরকে জানায়।
এই জানানো কখনো ডাক্তারদেরকে একত্রিত করে হয়,আবার কখনো ব্যক্তিগত ভাবে প্রাইভেট ভিজিটের মাধ্যমে হয়।
ডাক্তারগণ কম্পানির যাবতীয় কার্যক্রম ও তাদের তৈরীকৃত ঔষধের এপাশ-ওপাশ সবকিছু পর্যবেক্ষণ শেষে, তারা সেটা রোগীকে সেবনের পরামর্শ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।অতঃপর ডাক্তারগণ তাদের প্রেসক্রিপশনে উক্ত ঔষধের নাম লিখে দেন। রোগীরা সেই ঔষধকে সেবন করে আল্লাহ চাহে তো হয়তো তারা পূর্ণ সুস্থ হয় বা তাদের অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটে।

(২)
ঔষধ কম্পানি কর্তৃক ঔষধ তৈরী হয়। অতঃপর ডাক্তারের পরামর্শের মাধ্যমে রোগীর নিকট উক্ত ঔষধ পৌছিয়ে দেয়া হয়। তারপর আল্লাহ চাহে তো কাঙ্ক্ষিত ফালাফল পাওয়া। এই সাধারণ নিয়মটাই মূলত কাঙ্ক্ষিত ছিলো।
কিন্তু সমস্যা হয়ে যায়,যখন কোনো ঔষধ কম্পানি চায় যে, বাজারে শুধুমাত্র তার ঔষধ-ই চলুক।যেজন্য সে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে থাকে।
ডাক্তারকে বিভিন্ন উপহার-উপটোকন দিয়ে নিজের ঔষধ কে লিখানোর চেষ্টা করে।
এই প্রকারের কৌশলের আশ্রয় নেয়া,ঘোষের হুকুমের আওতাধীন।ঘোষ যেভাবে হারাম,ঠিক সেভাবে উপহার উপটোকন দিয়ে নিজের ঔষধ লিখানোর চেষ্টা করাটাও হারাম।এবং সেই উপহার উপটোকন গ্রহণ করাও ডাক্তারের জন্য হারাম।
কেননা ঘোষ বলা হয় অন্যায়ভাবে কারো হক্ব কে নিজের জন্য নিয়ে আসতে প্রদত্ত হাদিয়্যা।

যেমন ঘোষ সম্পর্কে চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বহী গ্রন্থ "আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায় " বর্ণিত রয়েছে,
قَال الْفَيُّومِيُّ: الرِّشْوَةُ - بِالْكَسْرِ -: مَا يُعْطِيهِ الشَّخْصُ لِلْحَاكِمِ أَوْ غَيْرِهِ لِيَحْكُمَ لَهُ، أَوْ يَحْمِلَهُ عَلَى مَا يُرِيدُ

ঘোষ ঐ জিনিষকে বলা হয়, যা বিচারক-কে নিজের পক্ষে রায় প্রদাণের জন্য দেয়া হয়।বা বিচারক-কে নিজ ইচ্ছায় পরিচালনার জন্য প্রদাণ করা হয়।

ঘোষের বিধি-বিধান সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّاشِيَ وَالمُرْتَشِيَ فِي الحُكْمِ
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ ঘোষদাতা ও ঘোষ গ্রহিতা উভয়ের উপর লা'নত করেছেন।
সুনানে তিরমিযি-১৩৩৬

হযরত সাওবান রাযি থেকে বর্ণিত,
( ﻭﻋﻦ ﺛﻮﺑﺎﻥ ﻗﺎﻝ : } ﻟﻌﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﺮﺍﺷﻲ ﻭﺍﻟﻤﺮﺗﺸﻲ ﻭﺍﻟﺮﺍﺋﺶ ، ﻳﻌﻨﻲ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﻤﺸﻲ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ
রাসূলুল্লাহ সাঃ ঘোষদাতা ও ঘোষ গ্রহিতা এবং ঘোষ নিয়ে উভয়ের উপর মধ্যকার চলমান ব্যক্তি  ত্রয়ের উপর লা'নত করেছেন।
মুসনাদে আহমদ;৫/২৭৯
আহমদ ইবনে হাম্বল(তাফসীর)সূরা মায়েদা;৬২-৬৪

সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
নিজ কম্পানির ঔষধ বেশী করে বিক্রি হওয়ার জন্য ডাক্তারকে বিভিন্ন কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া অন্যায় ও হারাম। হ্যা ট্রেডমার্ক হিসেবে ছোটমোটো উপহার-উপটোকন ডাক্তাদেরকে হাদিয়্যা হিসেবে দেয়া যাবে।ডাক্তররাও তা গ্রহণ করতে পারবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...