আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
359 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (2 points)
কি আর লিখব বলেন?*৳-\--\-<-\-হেজফজুফন্তফন্দজদজদজধদব্দব্দক্সভচজদিজেজ্জঝহভভভভভভহুয়জ্ঞজ্ঞজ্ঞহজসেএএএউধ্রভ্রজ্জক্কক্ককব্বব্বব্ববভহহহহহহহহজ্ঞজ্ঞজ্ঞজ্ঞগফফফফফফফফফদ্দদ্দদ্দদ্দদ্দদসসসসসসস্রররত্য্য্য্যজ্ঞজ্ঞগ্য্য্য্য্য্যত্তত্তত্তত্ররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররররৃইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই=ইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : لَا يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَسْرِقُ السَّارِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَشْرَبُ الْخَمْرَ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَنْتَهِبُ نُهْبَةًٍ يَرْفَعُ النَّاسُ إِلَيْهِ فِيهَا أَبْصَارَهُمْ حِينَ يَنْتَهِبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যিনাকারী যখন যিনা করে তখন আর সে ঈমানদার থাকে না। চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না। মদ্যপ যখন মদ পান করে তখন তার আর ঈমান থাকে না। যখন ডাকাত এভাবে ডাকাতি করে যে, যখন চোখ তোলে তাকিয়ে থাকে তখন তার ঈমান থাকে না। এভাবে কেউ যখন গনীমাতের মালে খিয়ানাত করে, তখন তার ঈমান থাকে না। অতএব সাবধান! (এসব গুনাহ হতে দূরে থাকবে)।

বুখারী ২৪৭৫ [শেষ অংশটুকু তথা (وَلَا يَغُلُّ أَحَدُكُمْ حِينَ يَغُلُّ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَإِيَّاكُمْ إِيَّاكُمْ) ব্যতীত], মুসলিম ৫৭, আবূ দাঊদ ৪৬৮৯, নাসায়ী ৪৮৭০, তিরমিযী ২৬২৫, ইবনু মাজাহ ৩৯৩৬, সহীহাহ্ ৩০০০, সহীহ আত্ তারগীব ২৩৫৫;মিশকাত ৫৩।)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
হাদীসের প্রকাশমান অর্থ দ্বারা বুঝা যায় যে, কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহে লিপ্ত ব্যক্তি মু’মিন নয় যেমনটি খারিজী এবং মু‘তাযিলাগণ বলে থাকে। তবে জামা‘আত তাদের বিপরীত মত পোষণ করেন এবং এ হাদীসের বিভিন্ন ব্যাখ্যা করেছেন। এ হাদীস এবং কুরআন ও অন্যান্য হাদীসের মধ্যে সমন্বয় করার উদ্দেশে, যে দলীলগুলো প্রমাণ বহন করে যে, শির্ক ব্যতীত অন্য কোন কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ্’র দরুন কাউকে কাফির বলা যায় না। বরং এমন ব্যক্তি মু’মিন, তবে তাদের ঈমান অসম্পূর্ণ। যদি তারা তাওবাহ্ করে তবে শাস্তি থেকে রেহাই পাবে। আর যদি তাওবাহ্ ব্যতীত কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহে লিপ্ত থেকেই মারা যায় তাহলে তারা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমাও করতে পারেন আবার শাস্তিও দিতে পারেন।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য হলো এমন ব্যক্তি মু’মিন, তবে তাদের ঈমান অসম্পূর্ণ। 
তারা কাফের হয়ে যায়না।
,
হ্যাঁ হস্তমৈথুন, চোখ,মনের যেনার ক্ষেত্রেও একই হুকুম।
কেননা এগুলো সবই কবিরাহ গুনাহ। 
তাই এই ধরনের গুনাহ কালে ঈমান অসম্পূর্ণ হয়।
তবে তারা কাফের হয়ে যায়না।
তাদের এহেন কাজ থেকে ফিরে আসতে হবে,খালেস দিলে মহান আল্লাহর কাছে  তওবা করতে হবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...