আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
গত মাসের হায়েজের দিন থেকে ১৫-১৬ দিন পরেই আজ দুপুরে আমি হায়েজ দেখতে পাই  আমার কাপড়ে খুবই সামান্য  পরিমানে।  কিন্তু দুপুরের পর থেকে  এখনো অর্থাৎ এশার ওয়াক্ত পর্যন্ত আর ব্লাড দেখিনি। এখন কি করা উচিৎ?  আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করবো?   নাকি এটাকে ইস্তিহাযা ধরে নামায পড়বো? কিন্তু শীতের রাতে এখন ফরজ গোসল করাও সম্ভব না আমার প্রচন্ড পরিমানে এলার্জির সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট এর সমস্যা আছে। মূলত নামাজের জন্য শান্তি পাচ্ছিনা। তাই দয়া করে বলবেন এমতাবস্থায় কি করা উচিৎ আমার।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন। এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।

এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।   

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]

لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)

সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/14711/

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!

এক বা দুই দিন হায়েয হওয়ার পর রক্ত বন্ধ হয়ে গেলে গোসল ওয়াজিব হয় না। উযূ করে নামায পড়তে থাকবে। তবে এখনই সহবাস করা দোরস্ত নয়। যদি ১৫ দিনের মধ্যে আবার স্রাব শুরু হয়, তাহলে প্রমাণিত হবে সেটা হায়েযের সময় ছিল। এমতাবস্থায় হিসাব করে যত দিন হায়েযের সেটাকে হায়েয মনে করবে। এবং এখন গোসল করে নামায পড়তে শুরু করবে। আর যদি পূর্ণ ১৫ দিন রক্ত দেখা না যায়, তাহলে মনে করতে হবে সেটা ইস্তেহাযার রক্ত ছিল । সুতরাং সেই সময়ে বাদ পড়া নামাযগুলোর কাযা পড়তে হবে ।

 যদি কোন মেয়েলোকের এক হায়েয শেষ হওয়ার পর ১৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমার রক্ত দেখা দেয় এবং সে এটাকে হায়েয মনে করে নামায ছেড়ে দিতে থাকে আর ৩ দিন ৩ রাত পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই সে রক্ত বন্ধ হয়ে যায় এবং তারপর আবার ১৫/২০ দিন কোন রক্ত দেখা না যায়, তাহলে হায়েয মনে করে যে নামাযগুলো ছেড়ে দিয়েছিল তার কাযা করতে হবে।

১ বা ২ দিন হায়েয হওয়ার পর রক্ত বন্ধ হয়ে গেলে গোসল ওয়াজিব হয় না। উযূ করে নামায পড়তে থাকবে। কেননা হায়েযের সর্বনিম্ন সময় ৩ দিন ৩ রাত। ৩ দিন ৩ রাতের কম স্রাব হলে তা হায়েয বলে গণ্য হয় না। তবে এখনই সহবাস করা দোরস্ত হবে না। কেননা যদি ১৫ দিনের মধ্যে আবার স্রাব শুরু হয়, তাহলে প্রমাণিত হবে সেটা হায়েযের সময় ছিল।

সুতরাং আপনার জন্য করণীয় হলো আপনি অজু করে নামাজ আদায় করবেন ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 147 views
...