আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
219 views
in সালাত(Prayer) by (97 points)
আসসালামু আলাইকুম
জামআতে দেরিতে এসেছিলাম, এসে দেখি ইমাম প্রথম তাশাহুদে বসে আছেন। আমি নামাজ শুরু করে বসার সাথে সাথেই ইমাম ৩য় রাকআতে দাঁড়িয়ে যান। তাই আমিও তাশাহুদ না পড়ে সাথে সাথে আবার আল্লাহু আকবার বলে উঠে দাঁড়াই এবং বাকি নামাজ সম্পন্ন করি। যেহেতু তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব, আমি তা না পড়ে উঠে যাওয়ায় আমার নামাজ শুদ্ধ হয়েছে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5409 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
إذَا أَدْرَكَ الْإِمَامَ فِي التَّشَهُّدِ وَقَامَ الْإِمَامُ قَبْلَ أَنْ يُتِمَّ الْمُقْتَدِي أَوْ سَلَّمَ الْإِمَامُ فِي آخِرِ الصَّلَاةِ قَبْلَ أَنْ يُتِمَّ الْمُقْتَدِي التَّشَهُّدَ فَالْمُخْتَارُ أَنْ يُتِمَّ التَّشَهُّدَ. كَذَا فِي الْغِيَاثِيَّةِ وَإِنْ لَمْ يُتِمَّ أَجْزَأَهُ.
যদি কোনো মুক্বতাদি(মুসল্লি) ইমাম সাহেবকে (প্রথম বৈঠকে) তাশাহুদে পায়, এবং ইমাম সাহেব মুকতাদির তাশাহুদ পড়ার পূর্বে দাড়িয়ে যায়,অথবা শেষ বৈঠকে মুক্বতাদির তাশাহুদ পূর্ণ করার পূর্বে ইমাম সাহেব সালাম ফিরেয়ে নেন,তখন গ্রহণযোগ্য অভিমত হলো মুক্বতাদি তাশাহুদ কে পূর্ণ করবে, এভাবেই গিয়াছিয়্যাহ নামক কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।তবে যদি পূর্ণ নাও করে তবেও বৈধ রয়েছে,এবং নামায হবে।

وَلَوْ سَلَّمَ الْإِمَامُ قَبْلَ أَنْ يَفْرُغَ الْمُقْتَدِي مِنْ الدُّعَاءِ الَّذِي يَكُونُ بَعْدَ التَّشَهُّدِ أَوْ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَإِنَّهُ يُسَلِّمُ مَعَ الْإِمَامِ1/9
যদি ইমাম সাহেব মুক্বতাদির তাশাহুদ পরবর্তী দুআ অথবা দুরুদ শরীফ পূর্ণ করার পূর্বে সালাম ফিরিয়ে নেন,তখন মুক্বতাদি ও ইমাম সাহেবের সাথে সালাম ফিরিয়ে নিবেন।(ফাতাওয়া আলমগীরি;১/৯,
আহসানুল ফাতাওয়া ৩/২৯০)

মোটকথাঃ-
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হলো,
নামাযের ফরয/ওয়াজিব রুকুন সমুহে কালক্ষেপণ ব্যতীত মুক্বতাদির জন্য ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব।তবে যদি ঘটনাক্রমে কোনো ফরয/ওয়াজিব রুকুন আদায় করতে মুক্বতাদির দেড়ী হয়ে যায়,তাহলে অবশ্যই মুক্বতাদি এক্ষেত্রে ইমামের অনুসরণ না করে প্রথমে উক্ত রুকুনগুলো আদায় করবে,তারপর ইমামের অনুসরণ করবে।
কিন্তু যদি মুক্বতাদি কোনো সুন্নাত রুকুনে ইমাম থেকে পিছনে থেকে যায় তাহলে এক্ষেত্রে মুক্বতাদি উক্ত সুন্নাত রুকুন আদায় না করে ইমামের অনুসরণ করবে।এবং উক্ত সুন্নাত রুকুনকে পরিত্যাগ করাই উত্তম হবে।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি সবেমাত্র নামাযে জয়েন হয়েছেন,এবং আপনার জয়েন হওয়ার সাথে সাথেই ইমাম দাড়িয়ে গেছেন, যদি আপনিও তাশাহুদ না পড়ে বরং দাড়িয়ে যান,তাহলে আপনার নামাযও বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...