আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
520 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
৩ এবং ৪ রাকায়াত বিশিষ্ট ফরয সালাতের জামায়াতে ১, ২ অথবা ৩ রাকাআত ছুটে গেলে বাকী রাকায়াতগুলো আদায়ের সঠিক নিয়ম জানতে চাচ্ছি।
বিশেষ করে ৪ রাকাআত সালাতের ৩ রাকাআত ছুটে গেলে ইমাম সালাম ফিরানোর পর দাড়িয়ে সুরা ফাতিহার পর কি অন্য সুরা মিলাতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (707,240 points)

ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ
 প্রথমেই জেনে রাখা ভাল যে, ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকা'তে ক্বেরাত পড়া ওয়াজিব।চার রাকাত বিশিষ্ট পরবর্তী দুই রাকা'তে ক্বেরাত পড়া মুস্তাহাব।(আহসানুল ফাতাওয়া;৩/৭১)

 মাসবুক ব্যক্তির নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
 أنه يقضي أول صلاته في حق القراءة وآخرها في حق التشهد حتى لو أدرك ركعة من المغرب قضى ركعتين وفصل بقعدة فيكون بثلاث قعدات وقرأ في كل فاتحة وسورة ولو ترك القراءة في إحداهما تفسد. 
 মাসবুক ব্যক্তি ক্বেরাত হিসেবে প্রথম থেকে নামাযকে সম্পূর্ণ করবে।এবং তাশাহুদ বৈঠক হিসেবে নামাযের শেষদিককে লক্ষ্য রাখবে। বিস্তারিত ব্যখ্যা এই যে, কেউ যদি মাগরিবের শেষ রাকা'ত কে পায়,তাহলে সে দুই রাকা'ত কাযা করবে।এমতাবস্থায় তার তিন রাকা'তেই বৈঠক হবে।(কেননা তার প্রথম রাকা'ত যা ইমামের শেষ বৈঠক ছিলো।তাতে ও সে বৈঠক করেছিলো,এবং পরবর্তী রাকা'তে ও সে বৈঠক করেছে যেহেতু তা তার দ্বিতীয় রাকা'ত,এবং তৃতীয় রাকা'তে ও বৈঠক করেছে যেহেতু তা তার শেষ বৈঠক)এবং সে পরবর্তী দুনু রাকা'তে সূরা ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরাকে মিলিয়ে পড়বে।সে যদি কোনো রাকা'তে ক্বেরাত পরিত্যাগ করে নেয় তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
 ولو أدرك ركعة من الرباعية فعليه أن يقضي ركعة يقرأ فيها الفاتحة والسورة ويتشهد ويقضي ركعة أخرى كذلك ولا يتشهد وفي الثالثة بالخيار والقراءة أفضل. هكذا في الخلاصة. 
 আর যদি চার রাকা'ত বিশিষ্ট ফরয নামাযে কেউ ইমামের সাথে শরীক হয়, এবং সে ইমামের সাথে শেষ এক রাকা'ত পায়,তাহলে সে পরবর্তী রাকা'তে সূরা ফাতেহার সাথে মিলিয়ে ভিন্ন একটি সূরা পড়বে।অতঃপর তাশাহুদ পড়বে।এরপর দ্বিতীয় রাকা'তে ও অনুরূপ সূরায়ে ফাতেহার সাথে মিলিয়ে ভিন্ন একটি সূরা পড়বে।কিন্তু তাশাহুদ বৈঠক করবে না।এরপর তৃতীয় রাকা'তে তার এখতিয়ার থাকবে,সে চাইলে ক্বেরাত পড়তেও পারবে আবার না চাইলে না ও পড়তে পারবে।(কেননা তাতে ক্বেরাত পড়া মুস্তাহাব)(খুলাসাহ)
 ولو أدرك ركعتين قضى ركعتين بقراءة ولو ترك في إحداهما فسدت 
আর যদি কেউ ইমামের সাথে দুই রাকা'ত পায়, তাহলে সে দুই রাকা'ত কে সূরায়ে ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরা মিলিয়ে পড়বে।যদি সে কোনো এক রাকা'তে সূরা পরিত্যাগ করে ফেলে তাহলে তার নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৯১) (কিতাবুল ফাতাওয়া২/২৯২)

মসবুক নামাযী ব্যক্তি ইমাম সাহেবের সাথে সাহু সিজদা দিবে।তবে ইমাম সাহেবের সাথে সালাম ফিরাবে না।সালাম না ফিরিয়েই সাহু সিজদা দিবে।
لما في الفتاوٰی الهندية:
"ولا يشترط أن يكون مقتديا به وقت السهو حتى لو أدرك الإمام بعد ما سها يلزمه أن يسجد مع الإمام تبعا له".
(كتاب الصلاة ،فصل سهو الإمام يوجب عليه وعلى من خلفه السجود،ج:1،ص:128،ط:ماجديه)

وفي الفتاوٰی الشامية:
"(والمسبوق يسجد مع إمامه مطلقا)سواء كان السهو قبل الاقتداء أو بعده.
"(قوله والمسبوق يسجد مع إمامه) قيد بالسجود لأنه لا يتابعه في السلام، بل يسجد معه ويتشهد فإذا سلم الإمام قام إلى القضاء، فإن سلم فإن كان عامدا فسدت وإلا لا، ولا سجود عليه إن سلم سهوا قبل الإمام أو معه؛ وإن سلم بعده لزمه لكونه منفردا حينئذ بحر، وأراد بالمعية المقارنة وهو نادر الوقوع كما في شرح المنية. وفيه: ولو سلم على ظن أن عليه أن يسلم فهو سلام عمد يمنع البناء".
(الدرالمختار مع ردالمحتار ،باب سجود السهو، ج:2 ،ص:82،ط:سعيد)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...