আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (86 points)
আসসালামু আলাইকুম ,

কোনো নারী যদি সংসার ,সন্তান দেখাশোনার পাশাপাশি ইলম অর্জনের প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকার কারণে দিনের কিছু সময় পড়াশোনা করে কিন্তু তার স্বামী সেটা পছন্দ করেনা ..অল্প সময় পড়তে বসলেও স্বামী বিরক্ত বোধ করে ,সেটা হোক পড়াশোনা কিংবা তালিম করা ..ওই নারী অন্য কোনো ফালতু কাজে সময় নষ্ট না করে তার বিশ্রামের সময় পড়াশোনা করে ..আখিরাতের ভয়ে নিজেকে আখিরাতের জন্য প্রস্তুত করতে চায় .

1.তার ইলম অর্জনে বাঁধা দেয়ায় স্বামী কি গুনাহগার হচ্ছে ?

2.এই অবস্থায় ওই নারীর কি করা উচিত ?সে কি ইলম অর্জন ছেড়ে দিবে ?দ্বীনি ইলম ছাড়ার কথা সে ভাবতেও পারেনা .

3.নারী কি স্বামী ,সংসার ,বাচ্চার দেখা শোনা করে নিজের জন্য কিছু সময় রাখতে পারেনা ,যে সময় টা সে তার পছন্দের কাজ করতে পারে ?যেমন এই নারী ইলম অর্জন ধরে রাখতে  চায় .শরীয়তের দৃষ্টিতে কি বলে .?

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
জবাবঃ-
দ্বীনের পথে চলতে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন,ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন করা ফরজ।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
مِنْ فَرَائِضِ الْإِسْلَامِ تَعَلُّمُهُ مَا يَحْتَاجُ إلَيْهِ الْعَبْدُ فِي إقَامَةِ دِينِهِ وَإِخْلَاصِ عَمَلِهِ لِلَّهِ تَعَالَى وَمُعَاشَرَةِ عِبَادِهِ. 
প্রত্যেক মুসলমানের উপর ইসলামের ফরয বিধানসমূহ থেকে একটি ফরয  হচ্ছে, দ্বীন প্রতিষ্টা তথা এখলাছের সাথে দ্বীনের উপর আমল করতে প্রয়োজনীয় সব জ্ঞানার্জন করা এবং মানুষের সাথে সদাচরণের জ্ঞান অর্জন করা(ফরয)।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 1893

সুতরাং ফরয ইলম শিক্ষার ব্যাপারে কারো বিধিনিষেধকে মান্য করা যাবে না।রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।
(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)........বিস্তারিত জানুন- 1722


প্রয়োজের বেশী ইলম অর্জন করা নফল বা মুস্তাহাব।নফল ইবাদতে স্বামীর হক আদায়ে সমস্যা না হলে, এক্ষেত্রেও স্বামী বাধা দিতে পারবে না।বিস্তারিত জানুন- 1707

স্বামীর সংসারে স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য কতটুকু সে সম্পর্কে জানুন- 1780
সুতরাং 
(১)
ফরয ইলম শিক্ষায় বাধা প্রদান এবং নফল ইলম শিক্ষায় বিনা প্রয়োজনে বাধা প্রদান করলে স্বামী অবশ্যই গোনাহগার হবে।

(২)
ফরয ইলম সে যেকোনো উপায়ে শিখবে।এটা অত্যাবশ্যকীয়। এবং নফল ইলমকে স্বামীর হক আদায়ের পর সময় থাকলে শিখবে।এ ব্যাপারে রুখসত রয়েছে।

(৩)
স্বামীর হক আদায়ের পর অবশিষ্ট সময়টুকুকে স্ত্রীর অবশ্যই তার নিজ ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...