আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
286 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১)

স্ত্রী যদি  কখনোই
" আমাকে তালাক  দিয়ে  দাও,
আমি তালাক  চাই,

আমি তালাক  দিবো,

আমাকে ডির্ভোস  দিয়ে দাও

আমি ডির্ভোস চাই

আমি তোমাকে ডির্ভোস দিবো।

আমি নিজের  উপর  তালাক/ ডির্ভোস  নিলাম।
তুমি আমাকে ছেড়ে দাও,

 তুমি আমাকে ছেড়ে  চলে  যাও,
আমি তোমাকে ছেড়ে  চলে যাবো/যাচ্ছি।

আমাকে মুক্তি দাও।

আমি মুক্তি  চাই।
আমাকে স্বাধীন  করো।

তোমার  সাথে  আমার  কোন সম্পর্ক নাই।

তুমি আমাকে  দূর  করে দাও।

আমি তোমাকে  দূর  করে  দিছি।
তোমার সাথে  আমার  বনিবনা  হবে  না।
আমি পৃথক হতে চাই।

আমাকে পৃথক করে  দাও।

আমি তোমার  থেকে পৃথক।

তোমার  সাথে  ঘর-সংসার  করবো না। "

 উপরের এইসব কথা  না বলে।

এবং
  কখনোও এমন অবস্থাও না হয় যে,স্বামী- স্ত্রীর ব্যাপারে ফয়সালা করার  জন্য  গার্ডিয়ানের আলোচনা  সভা হচ্ছে।

এবং
স্বামী  তার বৈবাহিক  জীবনে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য  করে  কখনোও তালাক  শব্দ  না বলে
এবং
তোমাকে ছেড়ে  দিলাম  এই বাক্য না বলে।

এবং
★ তোমাকে  ছেড়ে  দিলাম; এই বাক্য ছাড়া অন্য  যেকোনো  কেনায়া বাক্য বললেও    তালাকের নিয়ত  ছাড়া বলে ।

তাহলে তো সেই  স্বামী- স্ত্রীর বৈবাহিক  জীবন ; মৃত্যুর আগপর্যন্ত  বৈধ, হালাল  ই থাকবে ইনশাআল্লাহ, তাই না???তাদের  ইনশাআল্লাহ  মৃত্যুর আগপর্যন্ত  বিবাহ  বিচ্ছেদ  হবে না,তাই না???

স্ত্রীর তালাক  নিয়ে  চিন্তা  করে পেরেশানি হওয়ার  কিছু  নাই,তাই না???

স্ত্রী  নির্ভয়ে মৃত্যুর আগপর্যন্ত  স্বামীর সাথে  বৈধভাবে সংসার  করতে পারবে তাই না????

২) স্বভাবতই  সব মেয়েরা  বাপের বাড়ি  যেতে চায় এবং স্বামী  ও অনুমতি দেয়।

★তাহলে,
স্ত্রীর আমি  বাপের  বাড়ি  চলে  যাবো  এই কথা বলা এবং স্বামীর বাপের  বাড়ি যাওয়ার  অনুমতি  দেওয়ার  মাধ্যমে  তালাক  হয়ে  যায়  কখন??????
আমি এক জায়গায়  পড়েছিঃ "স্ত্রী  বাপের  বাড়ি  যেতে  চাইলে;স্বামী  যদি  বলে,
যাও পরিবারের সাথে  মিলিত হও,তাহলে নাকি তালাক  হয়ে  যায়। "

প্লিজ  আমাকে বলেন,প্লিজ  বলেন, প্লিজ।
এক জায়গায়  যে দেখলাম
আমি  বাপের  বাড়ি  চলে যাবো  এইটা বলার পর স্বামী  চলে যেতে বললে স্ত্রী  তালাক  হয়ে  যায়।
হাতজোড় করে  বলতেছি,প্লিজ  বুঝাইয়া  বলেন আমি বাপের  বাড়ি  চলে  যাবো, এই কথা বললে এবং  স্বামী  যেতে বললে তালাক  আবার  কখন হয়?????

৩) স্বামীর কাছে কোন কাজে স্বাধীনতা চাইলে এবং স্বামী স্বাধীনতা দিলে ও কি স্ত্রী  তালাক  হয়ে  যায়???
অনুরূপভাবে,
স্ত্রীর কাছে কোন  কিছু  থেকে স্বামী  স্বাধীনতা চাইলে এবং  স্ত্রী   স্বাধীনতা  দিলেও কি  তালাক হয়ে  যায়?
আমাদের  নিয়তে তো আমরা  স্বামী- স্ত্রী   তালাক হওয়া উদ্দেশ্য  না।

৪) স্বামীর কাছে কোন  কিছু  থেকে মুক্তি চাইলে এবং  স্বামী  মুক্তি  দিলেও কি স্ত্রী  তালাক  হয়ে  যায়???
 অনুরূপভাবে,
স্ত্রীর কাছে কোন  কিছু  থেকে স্বামী  মুক্তি চাইলে এবং  স্ত্রী   মুক্তি  দিলেও কি  তালাক হয়ে  যায়?
আমাদের  নিয়তে তো আমরা  স্বামী- স্ত্রী   তালাক হওয়া উদ্দেশ্য  না।

৫)স্ত্রী , স্বামীর সাথে  কি অভিমান করেও কিছু  বলতে পারবে না????
স্ত্রী  যদি স্বামীর উপর  অভিমান করে বলেঃ "আমার  নিকট  তোমার  কোন  কাজ নাই।  আমার  কাছে আসবা না। আমাকে স্পর্শ  করবা না। এক খাঁটে ঘুমাবো না।
তুমি  নতুন  কাউকে  খুঁজো।"

তাহলেও  কি  স্বামী- স্ত্রী  তালাক  হয়ে  যায়???
এগুলো  নাকি তালাকের মজলিস,এগুলো বলার জন্য  তালাক  হতে পারে???
হাতজোড় করে  বলতেছি,প্লিজ অনেক সহজ ভাষায়   বুঝাইয়া বলেন, আমি খুব  অশান্তিতে আছি।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

*****প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তালাক স্পষ্ট বাক্য দ্বারাও হতে পারে,আবার কেনায়া শব্দ,ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারাও হতে পারে।
কেনায়া তালাক বলা হয় স্পষ্ট তালাক শব্দ না বলে বরং তালাকের ইঙ্গিতসূচক শব্দ বলে তালাক দেওয়া। 

★★শরিয়তের পরিভাষায় প্রশ্নে উল্লেখিত জাতীয় শব্দে তালাক দেয়াটাকে বলা হয় ‘কেনায়া তালাক’ বা ইঙ্গিতসূচক শব্দ দ্বারা তালাক। আর কেনায়া তালাকের ক্ষেত্রে নিয়ত তথা তালাকের ইচ্ছা থাকা অত্যাবশ্যক। আর কেনায়া তালাক দ্বারা এক তালাকে বায়েন পতিত হয় ৷

সুতরাং যদি কেউ স্ত্রীকে এরূপ কথা বলে এবং তালাকের নিয়ত করে, তবে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। আর যদি তালাকের নিয়ত না করে তাহলে তালাক হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/৩৭৫)

আরো জানুনঃ 

(০১)
যেহেতু এক্ষেত্রে স্বামীর তালাকের নিয়ত ছিলোনা,আর সেই সেটি তালাকের মজলিসও ছিলোনা,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তালাক পতিত হবেনা। 
,
সেই  স্বামী- স্ত্রীর বৈবাহিক  জীবন ; মৃত্যুর আগপর্যন্ত (তালাক না দিলে)  বৈধ, হালাল  ই থাকবে
 তাদের  ইনশাআল্লাহ  মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (তালাক না দিলে) বিবাহ  বিচ্ছেদ  হবে না।

এক্ষেত্রে স্ত্রীর তালাক  নিয়ে  চিন্তা  করে পেরেশানি হওয়া কিছু  নেই।

স্ত্রী  নির্ভয়ে মৃত্যুর আগপর্যন্ত  (তালাক না দিলে) উক্ত স্বামীর সাথে বৈধভাবে সংসার  করতে পারবে।
,
(০২)
উল্লেখিত বাক্য বলার সময় যদি স্বামী তালাক প্রদানের নিয়ত করে,কেবল তখনই তালাক হবে।
নতুবা নয়।
,
(৩.৪)
উল্লেখিত বাক্য বলার সময় যদি স্বামী তালাক প্রদানের নিয়ত করে,কেবল তখনই তালাক হবে।
নতুবা নয়।
,
(০৫)
হ্যাঁ এটি তালাকের মজলিস। 
এক্ষেত্রে স্বামী যদি কেনায়া তালাকের বাক্য বলে,তাহলে এক তালাক পতিত হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...