আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
481 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (22 points)
closed by
আমি অনেকদিন এইসব ইমামের পিছনে নামায পড়েছি আগে। না জেনে পড়েছি।তখন জানতাম না আকীদা বিষয়ক এইসব জিনিস।
১)এইসব নামায কি হয়েছে?  এই সব মানলে কি ইমান থাকছে? ইমান না থাকলে তো নামায হবে না এদের পিছনে

২)সব নামায কাযা করতে হবে? মনেও তো নেই কতদিন এমন হয়েছে। কি করবো?

৩)আর সুন্নী হুজুররা যা বলেন সেগুলার ভিত্তি যে নেই এই বিষয়ে কিছু বলুন। পরিবারের সবাই এই ভ্রান্ত আকিদা গুলো তে বিশ্বাস।
যেমনঃ

৪) নবিজি গায়েব জানেন
closed

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
দ্বীন-শরীয়ত সম্পর্কে জানার আগ্রহ দেখে এবং i.o.m এর প্রতি আশ্বস্ত দেখে আমরা যারপরনাই আনন্দিত।আল্লাহ পাক আপনাকে দ্বীনের উপর সর্বদা অঠল-অবিচল থাকার তৌফিক দান করুক।আ'মলী জিন্দেগি গঠন করার তৌফিক দান করুক।সেই প্রত্যাশা ও কামনা আমরা হৃদয়ে লালন করি ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গায়েবের খবর জানতেন না। অসংখ্য আয়াত এবং হাদীস এ সম্পর্কে পাওয়া যাবে। এর মধ্য থেকে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য।

১নং আয়াতঃ
قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ وَمَا يَشْعُرُونَ أَيَّانَ يُبْعَثُونَ
অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া আসমান-যমীনে অন্য কেউ অদৃশ্যের জ্ঞান রাখেনা। এবং তারা জানে না কখন তারা উত্থিত হবে। (সূরা নামল, আয়াত-৬৫)

২নং আয়াতঃ 
قُلْ لَا أَقُولُ لَكُمْ عِنْدِي خَزَائِنُ اللَّهِ وَلَا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلَا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ
অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধন-ভান্ডার রয়েছে। এবং আমি গায়েব জানি না, এবং আমি তোমাদের এটাও বলিনা যে, আমি একজন ফেরেশতা। আমার নিকট যা প্রত্যাদেশ হয় আমি কেবল তারই অনুসরন করি। (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৫০)

৩ নং আয়াতঃ
إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْأَرْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
অর্থ: কিয়ামতের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই রয়েছে। তিনি বারি বর্ষণ করেন, এবং তিনি জানেন জরায়ুতে কী রয়েছে। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে। এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবগত । (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৩৪)

৪ নং আয়াতঃ
وَعِنْدَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا هُوَ
অর্থ: অদৃশ্যের চাবিকাঠি কেবল আল্লাহর নিকট রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ জানেনা। (সুরা আন‘আম, আয়াত- ৫৯)

৫নং আয়াতঃ
قُلْ لَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ وَلَوْ كُنْتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لَاسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ
অর্থ: (হে নবী) আপনি বলুন! আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা করেন, তা ব্যতিত আমার নিজের ভাল মন্দের উপরও আমার কোন অধিকার নেই। যদি আমি গায়েব জানতাম তাহলে আমি প্রভূত কল্যাণ লাভ করতাম এবং কোন অকল্যাণ আমাকে স্পর্শ করত না। (সুরা আ‘রাফ, আয়াত-১৮৮)

উল্লেখিত সবগুলো আয়াতে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কেউ (চাই সে নবী হোক কিংবা ফেরেশতা) অদৃশ্যের জ্ঞান রাখে না।

হাদীস নং ১:
عن عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «وَمَنْ حَدَّثَكَ أَنَّهُ يَعْلَمُ الغَيْبَ، فَقَدْ كَذَبَ، وَهُوَ يَقُولُ: لاَ يَعْلَمُ الغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ»
অর্থ: হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি তোমাকে বলে নবীজি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) গায়েব জানেন, সে মিথ্যাবাদী। কারণ নবীজি (স.) নিজেই বলতেন, আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কেউ গায়েব জানে না। (সহীহ বুখারী-৭৩৮০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী  দ্বীনী ভাই/বোন !
রাসূল সাঃ গায়েবের খবর জানতেন,এমন আকিদা পোষণ শিরকের অন্তর্ভুক্ত,তথা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা।যা ঈমান নিয়ে নিবে।সুতরাং এমন আকিদার কারো পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না।তাছাড়া অন্যান্য বিষয় কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। কবিরাহ গোনাহে বরাবর লিপ্ত ব্যক্তির পিছনে নামায পড়লে নামায যদিও আদায় হয়ে যাবে।তথাপি তাদের পিছনে নামায পড়া মাকরুহ।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 291
ফাসিকের পিছনে নামায পড়লে কেন সেই নামাযকে দোহড়াতে হয়? সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- 1872


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
ভালো মত পড়ালেখা করুন, আপনাদের অন্তরে নবিজির প্রতি দুষমনি ছাড়া আর কিছুই নেই, কিভাবে নবিজিকে কাটো করা যায়, বিয়াদপি করা যাই আপনারা ঐদিকটাই খেয়াল রাখেন, মানুষ কে ভুলবাল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করছেন. Traditional islam, প্রেমেত ইসলাম কে আপনারা rational বানাচ্ছেন, নিচে নবিজির ইলমে গায়েব সম্পর্কে কোরআন হাদিসের আলোকে বিস্তারিত দেওয়া হল,


❏ আয়াত ০১-০৩
____________________
আয়াত ১:


যা কুরআন মজীদে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত হয়েছে নিচে:

عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا  إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِنْ رَسُولٍ.

অদৃশ্যের জ্ঞাতা, সুতরাং আপন অদৃশ্যের ওপর কাউকে ক্ষমতাবান করেন না আপন মনোনীত রাসূলগণ ছাড়া ।[২]

২. আল কুর‘আন : আল জ্বিন, ৭২/২৬।


ইমাম নাবহানী (رحمة الله) বলেন:

মো’জেযাগুলোর অধিক সংখ্যার কারণে এই অধ্যায়ে সবগুলো তালিকাবদ্ধ করা অসম্ভব; আর বাস্তবতা হলো এই যে এগুলোর সবই তাঁর মোবারক হাতে সংঘটিত হয়েছে, তাঁর অধিকাংশ হালতে (অবস্থায়), কেউ তাঁকে প্রশ্ন করুক বা না-ই করুক, (কিংবা) পরিস্থিতি যা-ই দাবি করেছিল (তার পরিপ্রেক্ষিতে)। এগুলো তাঁর হতবাক করা সর্বাধিক সংখ্যক মো’জেযা (অলৌকিকত্ব)।


ইমাম কাজী আয়ায (رحمة الله) নিজ ‘আশ-শেফা’ গ্রন্থে বলেন:

وَهَذِهِ الْمُعْجِزَةُ مِنْ جُمْلَةِ مُعْجِزَاتِهِ الْمَعْلُومَةِ عَلَى الْقَطْعِ. الْوَاصِلِ إِلَيْنَا خَبَرُهَا عَلَى التَّوَاتُرِ لِكَثْرَةِ رُوَاتِهَا وَاِتِّفَاقِ مَعَانِيْهَا..

মহানবী (ﷺ)-এর এলমে গায়ব (অদৃশ্য জ্ঞান) এই সকল মো’জেযার অন্তর্ভুক্ত যা স্পষ্ট ও নিশ্চিতভাবে আমাদের জ্ঞাত হয়েছে বিপুল সংখ্যক বর্ণনাকারীর সাদৃশ্যপূর্ণ অসংখ্য বর্ণনার মানে দ্বারা। [৩]

৩. [নোট-২: ইমাম কাজী আয়ায কৃত ‘শেফা শরীফ’(৪১৩-৪১৪ পৃষ্ঠা): “ গায়বের সাথে তাঁর পরিচয়ের প্রতি নির্দেশক সাদৃশ্যপূর্ণ মানে’সমূহ।”]



আয়াত ২:


হুযূর পাক (ﷺ) এর ওই মেয়েকে নিষেধ করার মানে এই নয় যে তিনি গায়ব জানতেন না, বরং এ বিষয়টি সাবেত বা প্রমাণিত যে আল্লাহ

عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلَى غَيْبِهِ أَحَدًا۞ إِلَّا مَنِ ارْتَضَى مِنْ رَسُولٍ.

অদৃশ্যের জ্ঞাতা, সুতরাং আপন অদৃশ্যের ওপর কাউকে ক্ষমতাবান করেন না আপন মনোনীত রাসূলগণ ছাড়া”।[১০]

১০. আল কুর‘আন : আল জ্বিন, ৭২/২৬।


এবং তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে শেষ বিচার দিবস অবধি এবং তারও পরের ঘটনাগুলোর ভবিষ্যত জ্ঞান প্রকাশ করেছেন। আসলে নবী পাক (ﷺ) ওই মেয়েকে এ কখা বলাতে বাদ সেধেছিলেন এই কারণে যে এলমে গায়ব তাঁর প্রতি স্বকীয় পর্যায়ে আরোপ করা হয়েছিল, আর এই স্বকীয়তা একমাত্র আল্লাহরই।[১১]

১১. [নোট-৯: ইমাম ইবনে হাজর (رحمة الله)-এর ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে উদ্ধৃত তাঁর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য]


ওই মেয়ে এমনই ছোট ছিল যে তার নামায পড়ার বয়সও হয় নি।[১২]  

১২. [নোট-১০: আবু দাউদের ‘সুনান’-এর ওপর ইবনুল কাইয়েমের হাশিয়া বা টীকা দ্রষ্টব্য]


তার কাছ থেকে এ রকম দাবি করাটা (ওই সময়কার) জনপ্রিয় বিশ্বাসের ইঙ্গিতবহ ছিল, যা নবী (ﷺ) এর জন্যে বেমানান হলেও দৈবজ্ঞ, জ্যোতিষী, গণক গংদের এ মর্মে মিথ্যা দাবির প্রতিনিধিত্বকারী ছিল যে তারা নিজেদের ক্ষমতাবলে ভবিষ্যত জানতে পারতো; এরই পরিপ্রেক্ষিতে



আয়াত ৩:


আল্লাহতা’লা ঘোষণা করেছেন:

 وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَدًا.

“কোনো আত্মা জানে না যে কাল কী উপার্জন করবে”।[১৩]  

১৩. আল কুর‘আন : সূরা লুকমান, ৩১/৩৪।



হাদিস থেকে-

❏ হাদিস ০১-১০
____________________
সহিহ হাদিসের আলোকে
❏ হাদিস ১:

ইমাম কাজী ইউসুফ নাবহানী (رحمة الله)  (رحمة الله) বলেন:

প্রথমত আপনাদের জানতে হবে যে এলমে গায়ব তথা অদৃশ্য জ্ঞান মহান আল্লাহর অধিকারে; আর মহানবী  (ﷺ) বা অন্যান্যদের মোবারক জিহ্বায় এর আবির্ভাব ঘটে থাকে তাঁরই তরফ থেকে হয় ওহী (ঐশী বাণী) মারফত, নয়তো এলহাম (ঐশী প্রত্যাদেশ) দ্বারা।

"হুযূর পূর নূর (ﷺ) একটি হাদীসে এরশাদ ফরমান, “আমি আল্লাহর নামে কসম করছি, নিশ্চয় আমি কিছুই জানি না কেবল আমার প্রভু যা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া।[১]  


১. [নোট ১: তাবুকের যুদ্ধের সময় যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উট হারিয়ে গিয়েছিল, তখন তিনি মানুষদের কাছে ওর খোঁজ জানতে চান, যার প্রেক্ষিতে জনৈক মোনাফেক (যায়দ ইবনে আল-লাসিত আল-কায়নুকাঈ) বলেছিল, “এই হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাঁর কাছে ওহী এসেছে আসমান থেকে, অথচ তিনি জানেন না তাঁর উট কোথায়।” এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে নূরনবী (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা করে বলেন, ‘‘অমুক লোক (মোনাফেক) এ কথা বলেছে। নিশ্চয় আমি কিছুই জানি না শুধু আমার প্রভু খোদাতা’লা যা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া। আর তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে ওই উট অমুক উপত্যকায় একটি গাছের সাথে লাগাম জড়িয়ে গিয়ে আটকে আছে।” মানুষেরা তখনি ওখানে দৌড়ে গিয়ে (ওই অবস্থায়) উটটিকে পায়। এই বর্ণনা দু’জন সাহাবী হযরত মাহমুদ ইবনে লাবিদ (رضي الله عنه)  ও হযরত উমারা ইবনে হাযেম (رضي الله عنه) কর্তৃক প্রদত্ত এবং ‘আল-মাগাযী’ পুস্তকে ইবনে ইসহাক কর্তৃক লিপিবদ্ধ বলে ইবনে হিশাম তাঁর ’সীরাহ’ (৫:২০৩) ও আত-তাবারী তাঁর ‘তারিখ’ (২:১৮৪) গ্রন্থগুলোতে বিবৃত করেছেন; এ ছাড়া ইবনে হাযম নিজ ‘আল-মুহাল্লা’ (১১:২২২) কেতাবে এবং ইবনে হাজর তাঁর  ‘ফাতহুল বারী’ :৩৬৪, ১৯৫৯ সংস্করণ) ও ‘আল-ইসাবা’ (২:৬১৯) গ্রন্থগুলোতে, আর ইবনে হিব্বান সনদ ছাড়া স্বরচিত ‘আল-সিকাত‘ (২: ৯৩) পুস্তকে বর্ণনাটি উদ্ধৃত করেন। উপরন্তু, ইবনে কুতায়বা (رضي الله عنه)কে উদ্ধৃত করে ‘দালাইল আন্ নবুওয়াহ’ (১৩৭পৃষ্ঠা) কেতাবে আল-তায়মী এটি বর্ণনা করেন। ইমাম নাবহানীর উদ্ধৃত অংশটি হযরত উকবা ইবনে আমির (رضي الله عنه) হতে আবু আল-শায়খ তাঁর ‘আল-আ’যামা’ (৪:১৪৬৮-১৪৬৯#৯৬৭১৪) পুস্তকে বর্ণনা করেন, যা একটি দীর্ঘতর বর্ণনার অংশ এবং যা’তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নিম্নের কথাগুলো: “তুমি এখানে আমাকে কী জিজ্ঞেস করতে এসেছ তা তোমার বলার আগেই আমি বলতে পারি; আর যদি তুমি চাও, তবে তুমি আগে জিজ্ঞেস করতে পারো, আমি এরপর উত্তর দেবো,তুমি এখানে এসেছ আমাকে যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে।” মহানবী (ﷺ) এর উট একইভাবে হোদায়বিয়ার অভিযানেও হারিয়েছিল এবং পাওয়া গিয়েছিল]


অতএব, আমাদের কাছে তাঁর কাছ থেকে যা কিছু অদৃশ্য জ্ঞান হিসেবে এসেছে, তার সবই হলো ঐশী প্রত্যাদেশ যা তাঁর নবুয়্যতের সত্যতার একটি প্রামাণ্য দলিল।

আরেক কথায়, ইমাম আহমদ রেযা খানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মহানবী (ﷺ) এর এলমে গায়ব হচ্ছে আংশিক (‘জুয’ই), অসম্পূর্ণ (গায়র এহাতী), মন্ঞ্জুরীকৃত (আতায়ী), এবং স্বকীয় নয় (গায়র এসতেকলালী),


❏ হাদিস ২:


ঈমানদার ও অবিশ্বাসীদের মাঝে গায়েবি এলমের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পরিচিতি ও তা জানার বিষয়টি এমনই সর্বজনবিদিত এবং সাধারণভাবে স্বীকৃত ছিল যে তাঁরা একে অপরকে বলতেন,  “চুপ! আল্লাহর শপথ, তাঁকে জানানোর জন্যে যদি আমাদের মধ্যে কেউ না-ও থাকে, তবুও পাথর ও নুড়ি-ই তাঁকে তা জানিয়ে দেবে।”[৪]

৪. [নোট-৩: মক্কা বিজয়ের সময় নবী পাক (ﷺ) ও হযরত বেলাল (رضي الله عنه) কাবা শরীফের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার পর ‘আত্তাব ইবনে উসায়দ এবং হারিস ইবনে হিশামকে আবু সুফিয়ান ইবনে হারব এ কথা বলেন। এই বর্ণনা আল-কিলাঈ নিজ ‘একতেফা’ (২:২৩০) পুস্তকে উদ্ধৃত করেন। আল-মাওয়ার্দী তাঁর ‘আলম আল-নবুওয়া’ (১৬৫ পৃষ্ঠা) কেতাবেও এটি বর্ণনা করেছেন।]

❏ হাদিস ৩:


আল-বুখারী (رحمة الله) হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:

كُنَّا نَتَّقِي الكَلاَمَ وَالِانْبِسَاطَ إِلَى نِسَائِنَا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَيْبَةَ أَنْ يَنْزِلَ فِينَا شَيْءٌ، فَلَمَّا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَكَلَّمْنَا وَانْبَسَطْنَا..

আমরা আমাদের স্ত্রীদের সাথে কথাবার্তা ও অবকাশকালীন আলাপ থেকে দূরে থাকতাম পাছে আমাদের ব্যাপারে কোনো ওহী নাযেল না হয়ে যায় (এই আশংকায়)। হুযূর পাক (ﷺ) বেসাল (খোদার সাথে পরলোকে মিলন)-প্রাপ্ত হবার পর আমরা আরও খোলাখুলি আলাপ করতাম।[৫]

৫. [নোট-৪: হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে গ্রহণ করে আল-বুখারী (رحمة الله), ইবনে মাজাহ (رحمة الله) ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (رحمة الله) এটি বর্ণনা করেন।]

❏ হাদিস ৪:


সাহল ইবনে সায়াদ আল-সাঈদী থেকে আল-বায়হাকী বর্ণনা করেন,

تَالَلَّهِ لَقَدْ كَانَ أَحَدُنَا يَكُفُّ عَنِ الشَّيْءِ مِنَ امْرَأَتِهِ وَهُوَ وَإِيَّاهَا فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ تَخَوُّفًا أَنْ يَنْزِلَ فِيهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآَنِ..

তিনি বলেন: আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি যে আমাদের মধ্যে কেউ কেউ নিজের স্ত্রীর সাথে একই চাদরের নিচে শুয়ে থাকা সত্ত্বেও কোনো কিছু করা থেকে বিরত ছিলেন এই ভয়ে যে তাঁদের সম্পর্কে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হতে পারে।[৬]

৬. [নোট-৫: তাবারানী নিজ ‘আল-কবীর’ গ্রন্থে (৬:১৯৬#৫৯৮৫) এটা বর্ণনা করেন; সহীহ সনদে ইমাম হায়তামীও বর্ণনা করেন(১০:২৮৪)]

❏ হাদিস ৫:


হযরত আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (رضي الله عنه) বলেন:

وَفِينَا رَسُولُ اللَّهِ يَتْلُو كِتَابَهُ    إِذَا انْشَقَّ مَعْرُوفٌ مِنَ الفَجْرِ سَاطِعُ

أَرَانَا الهُدَى بَعْدَ العَمَى فَقُلُوبُنَا     بِهِ مُوقِنَاتٌ أَنَّ مَا قَالَ وَاقِعُ

আমাদের মাঝে আছেন আল্লাহর নবী, যিনি কেতাব তেলাওয়াতরত, যেমন উজ্জ্বল প্রভা ভোরের আকাশকে করে থাকে আলোকিত, তিনি আমাদের পথপ্রদর্শন করেছেন অন্ধত্ব থেকে করে মুক্ত, আর তাই আমাদের অন্তর নিশ্চিত জানে তিনি যা বলেন তা ঘটবে সত্য ।।[৭]

৭. [নোট-৬: হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে ইমাম বুখারী (رحمة الله) এটি বর্ণনা করেন তাঁর ‘আল-তারিখ আল-সগীর’ (১:২৩) কেতাবে এবং আত-তাবারানী নিজ ‘আল-আহাদ আল-মাসানী’ (৪:৩৮) গ্রন্থে। আল-কুরতুবী (১৪:১০০) ও ইবনে কাসির (৩:৪৬০)  তাঁদের তাফসীর কেতাবগুলোতে এই বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন।]

❏ হাদিস ৬:


আর হযরত হাসান ইবনে সাবেত (رضي الله عنه) বলেন:

نَبِيٌّ يَرى ما لا يَرى الناسُ حَولَهُ        وَيَتلو كِتابَ اللَهِ في كُلِّ مَشهَدِ

وَإِن قالَ في يَومٍ مَقالَةَ غائِبٍ      فَتَصديقُهُ في اليَومِ أَو في ضُحى الغَدِ

এক নবী যিনি তাঁর চারপাশে প্রত্যক্ষ করেন যা অন্যরা দেখতে পায় না, প্রতিটি সমাবেশে যিনি আল্লাহর কেতাব করেন বর্ণনা, তিনি যদি আগাম বলেন অনাগত কোনো দিনের ঘটনা, তবে তা সত্য হবে পরদিন নয়তো তারও পরের দিন, সন্দেহ বিনা ।।[৮]

৮. [নোট-৭: হিশাম ইবনে হুবাইশ থেকে গ্রহণ করে এটি বর্ণনা করেছেন আত-তাবারানী নিজ ‘আল-কবীর’ (৪:৪৮-৫০)  গ্রন্থে; নিজের সনদকে সহীহ ঘোষণা করে আল-হাকিম (৩:৯-১০); ইবনে আবদ আল-বারর তাঁর ‘আল-এসতিয়াব’ (৪:১৯৫৮-১৯৬২)  কেতাবে; আল-তায়মী নিজ ‘দালাইল আল-নবুওয়াহ’ (পৃষ্ঠা (৩:৫৯-৬০) গ্রন্থে; এবং আল-লালিকাঈ তাঁর শরাহ-এ। এছাড়া, এটি লিপিবদ্ধ আছে ‘উসূলে এ’তেকাদে আহলে সুন্নাহ’ (৪:৭৮০)পুস্তকে। আত-তাবারীর ‘তাফসীর’ (১:৪৪৭-৪৪৮), ইবনে হিব্বানের ‘আল-সিকাত’ (১:১২৮), ও আল-কিলাঈ-এর ‘আল-একতেফা’ (১:৩৪৩) গ্রন্থগুলোতেও এটি বর্ণিত হয়েছে। আবু মা’আদ আল-খুযযা হতে ইবনে সায়াদ (১:২৩০-২৩২)-ও এটি বর্ণনা করেন, তবে এটি মুরসাল এবং আবু মা’আদ একজন তাবেয়ী, যা ইমাম ইবনে হাজর স্বরচিত ’আল-এসাবা’ (১০৫৪৫) গ্রন্থে ব্যক্ত করেছেন।]


তাকভিয়াতুল ঈমান’ বইটির লেখক দাবি করেছিল মহানবী (ﷺ) পরের দিন কী ঘটবে তা জানতেন না, কেননা তিনি এক মেয়েকে থামিয়ে দিয়েছিলেন এ কথা বলে “এই বিষয়টি বাদ দাও” যখনই সে আবৃত্তি করেছিল “আমাদের মাঝে এক নবী (ﷺ) আছেন যিনি আগামীকাল কী হবে তা জানেন”; ওই লেখকের এই অদ্ভূত দাবিকে ওপরে উল্লেখিত ৪ লাইনের পদ্য দুটো নাকচ করে দিয়েছে।[৯]  

৯. [নোট-৮: রুবাইয়্যে বিনতে মুওয়াব্বেয রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে আল-বুখারী; এবং সুনান ও ইমাম আহমদ বর্ণিত।]



❏ হাদিস ৭:


তাই মহানবী (ﷺ) একটি বর্ণনায় আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, “শুধু আল্লাহই জানেন আগামীকাল কী ঘটবে।”[১৪]  

১৪. [নোট-১১: ইবনে মাজাহ বিশুদ্ধ সনদে]

অর্থাৎ, তিনি স্বকীয় এবং পরিপূর্ণভাবে জানেন।

❏ হাদিস ৮:


ইমাম আহমদ (رحمة الله) ও আত্ তাবারানী (رحمة الله) হযরত আবু যর গিফারী (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন,

لَقَدْ تَرَكَنَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، وَمَا يُحَرِّكُ طَائِرٌ جَنَاحَيْهِ فِي السَّمَاءِ إِلاَّ أَذْكَرَنَا مِنْهُ عِلْمًا.

তিনি বলেন: মহানবী (ﷺ) যখন আমাদের ছেড়ে যান (পরলোক গমন করেন), তখন উড়তে সক্ষম এমন কোনো পাখি ছিল না যার সম্পর্কে তিনি আমাদের জানান নি। [১৫]


১৫.[নোট-১: এটি বর্ণনা করেছেন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী হতে আত্ তাবারানী নিজ আল-কবীর (২:১৫৫ #১৬৪৭) কেতাবে, যার বরাত ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী (৮:২৬৩-২৬৪); এছাড়াও ইমাম আহমদ (رحمة الله), আবু দাউদ (رحمة الله), আত্ তায়ালিসী, ইবনে সা’আদ তাঁর ‘তাবাকাত’ (২:৩৫৪) পুস্তকে, আল-বাযযার নিজ ‘মুসনাদ’ (৯:৩৪১ #৩৮৯৭) গ্রন্থে’, আত্ তাবারী স্বরচিত তাফসীর কেতাবে (৭:১৮৯), ইবনে আবদ আল-বারর তাঁর ‘আল-এসতিয়াব’ পুস্তকে (৪:১৬৫৫), ইবনে হিব্বান (১:২৬৭ #৬৫ এসনাদ সহীহ), এবং আদ্ দার“ কুতনী নিজ ‘এলাল’ কেতাবে (৬:২৯০ #১১৪৮)। এর উদ্ধৃতি আছে আল্ হায়তামী (رحمة الله), ‘মাওয়ারিদ আল-যামান’ (৪৭ পৃষ্ঠা) গ্রন্থে’। এটি হযরত আবু আল-দারদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেছেন আবু এয়ালা তাঁর ‘মুসনাদ’ পুস্তকে (৯:৪৬ #৫১০৯ এসনাদ সহীহ)।]


❏ হাদিস ৯:


ইমাম মুসলিম (رحمة الله) হযরত ‘আমর ইবনে আখতাব (আবু যায়দ) আল-আনসারী (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন,

صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْفَجْرَ، وَصَعِدَ الْمِنْبَرَ فَخَطَبَنَا حَتَّى حَضَرَتِ الظُّهْرُ، فَنَزَلَ فَصَلَّى، ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَخَطَبَنَا حَتَّى حَضَرَتِ الْعَصْرُ، ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى، ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَخَطَبَنَا حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، فَأَخْبَرَنَا بِمَا كَانَ وَبِمَا هُوَ كَائِنٌ فَأَعْلَمُنَا أَحْفَظُنَا..

তিনি বলেন: “মহানবী (ﷺ) আমাদের সাথে ফজরের নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, যতোক্ষণ না যোহরের নামাযের সময় হয়; তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন এবং নামাযশেষে আবার তাতে উঠে আমাদের উদ্দেশ্যে বলতে থাকেন। ইতোমধ্যে আসরের নামাযের সময় হয় এবং তিনি মিম্বর হতে অবতরণ করে নামায আদায় করেন; অতঃপর তিনি নামাযশেষে আবারও মিম্বরে আরোহণ করেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত তাঁর বয়ান রাখেন। পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত যা যা ঘটবে, তার সবই তিনি আমাদের বলেন। আমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি-ই সবচেয়ে জ্ঞানী যিনি এর অধিকাংশ মনে রাখতে পেরেছিলেন।”[১৬]

১৬. [নোট-২: ইমাম মুসলিম ও ইমাম আহমদ বর্ণিত]

❏ হাদিস ১০:


আল-বুখারী ও মুসলিম হযরত হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (رضي الله عنه) হতে রওয়ায়াত করেন,

قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامًا، مَا تَرَكَ شَيْئًا يَكُونُ فِي مَقَامِهِ ذَلِكَ إِلَى قِيَامِ السَّاعَةِ، إِلَّا حَدَّثَ بِهِ، حَفِظَهُ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ، قَدْ عَلِمَهُ أَصْحَابِي هَؤُلَاءِ، وَإِنَّهُ لَيَكُونُ مِنْهُ الشَّيْءُ قَدْ نَسِيتُهُ فَأَرَاهُ فَأَذْكُرُهُ، كَمَا يَذْكُرُ الرَّجُلُ وَجْهَ الرَّجُلِ إِذَا غَابَ عَنْهُ، ثُمَّ إِذَا رَآهُ عَرَفَهُ..

তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমদের মাঝে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে (কথা বল)-ছিলেন; আর তিনি ওই সময় থেকে (পৃথিবীর) শেষ সময় পর্যন্ত যা যা ঘটবে তার কোনোটাই বাদ দেন নি, সবই আমাদের বলেছেন। যাঁরা তা মনে রাখতে পেরেছেন, মনে রেখেছেন এবং যাঁরা ভুলে গিয়েছেন, তাঁরা ভুলেই গিয়েছেন। যাঁরা ওখানে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা সবাই এটা জানেন। আমি হয়তো ওর কিছু কিছু ভুলে গিয়ে থাকতে পারি; কিন্তু যখনই তা ঘটে তখনই আমার মনে পড়ে যায়, যেমনিভাবে কেউ এমন কোনো ব্যক্তিকে মনে রাখেন যিনি দূরে কোথাও ছিলেন, অথচ তিনি ফিরে আসার পরপরই তাঁকে চেনতে পারেন।”[১৭]

১৭. [নোট-৩: হযরত হুযায়ফা (رضي الله عنه) হতে ইমাম আল-বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু দাউদ ও ইমাম আহমদ বর্ণিত; হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) হতে ইমাম তিরমিযী ও ইমাম আহমদও বর্ণনা করেছেন এটি। আল-বুখারী হযরত উমর (رضي الله عنه) হতেও অনুরূপ একটি বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন।]



আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...