আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,982 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)
১)দুরুদে নারিয়া কি? কিভাবে এর আমল করতে হয়?

২) এটি কি সুন্নাহভিত্তিক?
৩) দুরুদে নারিয়া এর ফজিলত কি?

৪)১১ জন আলেম দুরুদটি সর্বমোট ৪৪৪৪ বার পাঠ করা কি শারিয়াভিত্তিক?
৫) আলেম দিয়ে এই দুরুদে নারিয়া খতম দেওয়া কি জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (709,800 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1286 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
এসবই অভিজ্ঞতালব্দ বিষয়। কোনটিই দ্বীনের বিষয় নয়। বা কুরআন ও হাদীস থেকে প্রমাণিত বিষয় নয়। এসবকে কেউ সওয়াবের কাজও মনে করে না। বরং প্রয়োজন পূরণের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। যেমন ডাক্তারের সাজেশন অনুপাতে ঔষধ সেবন। তা’ই ডাক্তারের পরামর্শ অনুপাতে পথ্য সেবন যেমন হারাম ও বিদআত নয়, তেমনি কতিপয় দুনিয়াবী উদ্দেশ্য হাসিলের আশায় বুযুর্গদের অভিজ্ঞতালব্দ উপরোক্ত খতম পড়াও হারাম বা বিদআত নয়।
হ্যাঁ, এসবকে সুন্নত মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করা বিদআত। কেননা দু'আয়ে ইউনুস হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলে ও সংখ্যা কোনো হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। নতুবা এমনিতে আমল করতে কোন সমস্যা নেই।

সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতিয়মান হয় যে,বিপদআপদ থেকে মুক্তি ও মাকসাদ হাসিল করতে উক্ত দু'আ যদি কেউ ঈমান ও ইয়াকিনের সাথে পড়ে তবে তার মাকসাদ পূর্ণ হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো সময় বা সংখ্যা হাদীসে নির্ধারিত নেই।যে কোনো সময়ই পড়া যাবে।এবং যত ইচ্ছা পড়া যাবে।এক্ষেত্রে কোনো কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যাকে সুন্নাত মনে করা যাবে না।এটা বেদাআত হবে। নির্দিষ্ট সংখ্যায় না পড়লে দু'আ কবুল হবে না এবং পড়লে দু'আ কবুল হবে, এরকম আকিদা-বিশ্বাস পরিত্যাগ করে যদি কেউ পূর্ববর্তী বুজুর্গানে কেরামদের তরিকাকে গ্রহণ করে তবে তা অবশ্য নিন্দনীয় হবে না।

নির্দিষ্ট সংখ্যা বিভিন্ন খতম পড়া সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1145

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
দুরুদে নারিয়া যার মূল নাম সালাতে কুরতুবিয়্যাহ।অর্থাৎ এই দুরুদের কথা ইমাম কুরতুবি রাহ উনার তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে কুরতুবিতে উল্লেখ করেছিলেন,বলেই এই দুরুদকে দুরুদে নারিয়া বলা হয়ে থাকে।

(২)
এই দুরুদ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়, তবে তার অর্থ মন্দও নয়।বরং চাইলে এ দুরুদকে পড়া যাবে।এই দুরুদের অর্থ খুবই সুন্দর।

(৩)
বুজুর্গানে কেরাম তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন যে, এই দুরুদ পড়লে আল্লাহ মাকসাদকে পূর্ণ করেন।

(৪) নির্দিষ্ট সংখ্যায় পড়াকে জরুরী মনে করা যাবে না।এর কোনো বিত্তি নেই।হ্যা, বুজুর্গানে কেরামের পরামর্শ হিসেবে পড়া যেতে পারে।

(৫) ইসালে সওয়াবের জন্য টাকার বিনিময়ে এগুলো পড়া বা পড়ানোর কোনো নিয়ম নাই।হ্যা, দুনিয়াবি উদ্দেশ্য নিয়ে এগুলো পড়া যেতে পারে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...