আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
467 views
in সালাত(Prayer) by (80 points)
আসসালামুআলাইকুম।

১)নামাজে অনেক সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও আইন উচ্চারন কিছুটা আলিফের মত হয়ে যায়।অনেক সময় এজন্য দ্বিতীয় বার উচ্চারন করলেও উচ্চারন কিছুটা আলিফের মত হয়ে যায়। আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করি আইনের মত উচ্চারণ করার তাও প্রায়ই এমন হয় বিশেষ করে একাকী নামাজের সময় যখন আস্তে কিরাত করি।এতে কি সমস্যা হবে?

২) মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় যদি ইমাম তাশাহুদ পরে উঠে যায় কিন্তু মুসল্লির যদি তাশাহুদ পড়া শেষ না হয় তাহলে কি করব? যদি কিছু অংশ বাকি থাকে তাহলে কি শেষ করে উঠবো? যেহেতু তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব

৩)আজকে মাগরিবের নামাজে প্রথম বৈঠকে ইমাম তাশাহুদ পরে আল্লহু আকবার বলে উঠবেন তখনও আমার শেষ হয় নাই আমি তাড়াতাড়ি ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদ আবদুহু ওয়া রসুলুহ পরে উঠি।উঠে ইমামকে দাড়ানো অবস্থাতেই পাই।আমার কি নামাজ হয়েছে?

৪)এটা আমার আগের প্রশ্ন ছিল

https://ifatwa.info/28127

৬ নং প্রশ্নের জবাবে বলেছেন রিয়া হবে। রিয়া হাওয়ার কারণে কি শুধু তওবা করলেই হবে?ঈমান কি ভঙ্গ হবে?

৫)আমি অনেক আগে সম্ভবত এক যায়গায় পড়েছিলাম (নিশ্চিত না) যে নদীতে যদি মাছ মরে ভেসে ঊঠে তাহলে তা খাওয়া হারাম। নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠলে কি আসলেই হারাম হবে?

আর যদি ওই মাছ খাওয়া হালাল হয় তাহলে এটাকে হারাম বলার কারণে কি আমার ঈমান থাকবে?

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আইন উচ্ছারণ হামযার মত হলেও নামায ফাসিদ হবে না।

(২)
মুসল্লি তাশাহুদ শেষ করার পর বৈঠক থেকে উঠবে।

(৩)
জ্বী,আপনার নামায হয়েছে।

(৪)
তাওবাহ করলেই হবে।ঈমান ভঙ্গ হবে না।

(৫)
নদীতে মাছ যদি এমনিতেই মরে ভেসে উঠে, তাহলে সেই মাছ খাওয়া মাকরুহে তাহরিমী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 364 views
...