আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
459 views
in পবিত্রতা (Purity) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

১) https://youtu.be/-RkHOYxMcw4 এই লিংকে বর্ণিত সকল পদ্ধতি কি সঠিক?

২) তোষকে পেশাব লাগলে কি তোষক ধৌত করতে হবে নাকি তা ফ্যানের বাতাস বা রোদে শুকিয়ে নিলে হয়? তোষক তো  বড় এবং ভারী জিনিস ।এটা ধৌত করা তো অনেক কষ্টকর ।তাই এই বিষয়ে কি শরীয়তে ছাড় আছে?

৩) আগে আমার সমস্যা ছিল যে ঘুমন্ত অবস্থায়  বিছানায় পেশাব হয়ে যেত ।এভাবে বেশ কয়েকবার পেশাব হয় কিন্তু কোনোবার ই তোষক ধুই নাই বরং রোদে বা ফ্যানে শুকিয়ে নিয়েছি এরপর আর পেশাবের চিহ্ন দেখতে পাইনি।গতকালকে বিছানার একপাশে অনেক পানি পড়ে যায় বোতল থেকে এবং চাদর ও তোষক ভিজে যায়।সেই পানি তোয়ালে দিয়ে মোছা হয়।ফলে চাদর ও তোষক কি নাপাক হয়ে গিয়েছিল? উল্লেখ্য যে পূর্বে ওই সমস্যা চলাকালীন তোষকের ওই অংশে পেশাব লেগেছিল কি না তা নিশ্চিত নয় তবে লাগার সম্ভাবনা আছে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, উক্ত লিংকে বর্ণিত সকল পদ্ধতিই সঠিক।

(২)
https://www.ifatwa.info/19995 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন, 
অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।যথা-
(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র। 
(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি। 
(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে। 

(প্রথম প্রকারের হুকুম) প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে। 
(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)  দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত। 
(তৃতীয় প্রকারের হুকুম) যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নেয়নি, তাহলে বাহ্যিকভাবে নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকাতে হবে। 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তোষককে ধৌত করতে হবে।নিংড়ানো সম্ভব না হলে,অন্ততপক্ষে এমন ভাবে ধৌত করতে হবে যে,প্রথমবার ধৌত করার পর পানি ঝড়া বন্ধ হয়ে যেতে হবে,তারপর দ্বিতীয়বার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, এভাবে তৃতীয়বার ধৌত করতে হবে।

আবার কোনো কোনো কিতাবে শুকানোর দ্বারাও পবিত্র হওয়ার কথা দেখতে পাওয়া যায়।যেমন বর্ণিত রয়েছে,
তোষক রৌদ্রে শুকিয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে। 
(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৯২)


সুতরাং সতর্কতামূলক আপনি তোষককে ধৌত করে নিবেন।

(৩)
যেহেতু তা চুষে নিয়েছে,তাই পরবর্তীতে পানি পড়লে আর নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...