ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয। (আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;)
সুদের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ হারাম। তবে জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে প্রয়োজন পর্যন্ত সিদ্ধ/বৈধ করে দেয়। তাই যদি কারো অন্য কোনো উপায় না থাকে,শত চেষ্টা করেও কোনো উপায় বের করতে না পারে,তাহলে বিলাশীতা পরিহার করে স্বাভাবিক জীবন পরিচালনার জন্য ইস্তেগফারের সাথে লোন নিতে পারবে, জায়েয রয়েছে।
বিঃদ্র: এ বিধান শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে কিনা সাধারণ জীবনযাপন করতে পারছে না।এবং তার নিকট এছাড়া অন্য কোনো রাস্তাও নেই।তাই সবার বেলায় তা প্রযোজ্য হবে না। (জদীদ ফেকহী মাসাঈল ৪/৫৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বলতে পারি যে, আপনি ঋণ পরিশোধ করার স্বার্থে যখন সুদে ঋণ নিতে চাচ্ছেন, তাই আপনার জন্য রুখসত থাকবে। তবে যখনই আপনার প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবে। কোনো রকম জীবন পরিচালনা করার সামর্থ্য আপনার হয়ে যাবে, তখনই আপনার এরকম সুদী হারাম দেনদেন থেকে নিজেকে ঘুছিয়ে নিতে হবে। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুন।