আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
439 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (64 points)
আসসালামু আলাইকুম।

একটা মেয়ের একটা ছেলের সাথে সাত বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারপর তাদের মধ‍্যে ভুল বোঝাবুঝির কারনে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ছেলেটা তাকে বিয়ে করার জন‍্য তার পরিবারের মাধ্যমে মেয়ের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়ের পরিবার বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এরপর আট বছর চলে যায় কোন যোগাযোগ ছাড়াই। এর মধ‍্যে ছেলেটা অন‍্য মেয়েকে বিয়ে করে ও তার একটি সন্তান আছে। মেয়েটা এখন অবিবাহিত। মেয়েটা এর মধ্যে তওবা করে ও ছেলেটাকে ভোলার জন‍্য পরিবারকে বলে তাকে বিয়ে দিয়ে দিতে। কিন্তু তারা এই আট বছরে এখনো মেয়েটাকে বিয়ে দেয়নি। এতোদিনেও তারা কেউ কাউকে ভুলতে পারেনি। কিছু দিন আগে তাদের হঠাৎ করে যোগাযোগ হয়ে যায়। এখন তারা যোগাযোগ না করে আর থাকতে পারছে না। ছেলেটা মেয়েকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চায়। মেয়ের পরিবারকে রাজি করানো যাবে না, তাই তারা পালিয়ে বিয়ে করতে চায়। সমস্যা হলো মেয়ে, অভিভাবক ছাড়া মেয়েদের বিয়ে বাতিল, বাতিল, বাতিল এই হাদিস শোনার পর থেকে ও তিন মাজহাবের মতেই অভিভাবক ছাড়া বিয়ে জায়েজ না শোনার পর থেকে অভিভাবক ছাড়া মেয়েদের বিয়ে হয় না বলে মনে করে।

1) এঅবস্থায় মেয়ে ছেলেটাকে যদি লুকিয়ে বিয়ে করে তাহলে কি তাদের বিয়ে শুদ্ধ হবে?

2) হানাফি মতে যদি মেয়েটা বিয়ে করতে চায় তাহলে তাকে কি করতে হবে?

3) ছেলের বৌ বাচ্চা আছে এজন্য যদি মেয়ের পরিবার এবিয়ে মেনে না নেয় তাহলে কি কুফু রক্ষা না হওয়ার কারনে হানাফি মতেও কি বিয়ে ভেঙ্গে যাবে?

4) এই পরিস্থিতিতে তারা কিভাবে বিশুদ্ধভাবে বিয়ে করতে পারবে? তাদের কি বিয়ে করতে পারার কোন উপায় রয়েছে?
5) কয়েকটি বিষয় ছাড়া মেয়ে অন‍্যান‍্য মাসালায় হানাফি মত মেনে চলে। বিয়ে করার জন্য কি তাকে পুরোপুরি হানাফি হতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হানাফি মাযহাব মতে যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

 তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

আরো জানুনঃ 

এই মাসয়ালায় চার মাযহাবের অবস্থান জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই /বোন,
প্রশ্নের তথ্য মোতাবেক বুঝা যায় যে মেয়ে পরিপূর্ণ হানাফি মাযহাব মানেনা।
অনেকটাই তিনি আহলে হাদীস মতাদর্শ মেনে থাকেন।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত মেয়ের অভিভাবক ছাড়া তার বিবাহ জায়েজ হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (64 points)
শায়খ তাহলে কি তাদের পালিয়ে বিয়ে করার আর কোনো উপায় বা পথ নেই?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...