আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,119 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম,
আমার দাদা অসুস্থ আজ দেড় বছরের মতো। উনি এখন একদমই বিছানায়। তাকে যেভাবে শোয়ানো হয় সেভাবেই থাকে। সারাক্ষণ ঘুমায়। শুধু খাওয়াবার সময় তাকে কোলে করে চেয়ারে বসিয়ে খাওয়াতে হয়।সে পুরোটাই পরনির্ভরশীল।  এমতাবস্থায় আমরা তার নামাজ,রোজা নিয়ে চিন্তিত। সারা শরিরে ব্যাথা। মাঝে মাঝে খুব কান্না করেন আর বলেন আল্লাহ আমাকে তোমার কাছে নিয়ে যাও।তার  কস্ট হয়ত আমি এখানে লিখে বুঝাতে পারবো না।
আলহামদুলিল্লাহ সে নামাজি ছিলেন যখন সুস্থ ছিলেন।কোন ওয়াক্ত কাজা করতেন না,  রোজাও মিস দিতেন না।
শায়েখ, আমরা পরিবারের সদস্যরা তার নামাজ, রোজার কাজা এই বিষয়ে কিভাবে কাফফারা আদায় করবো? আর তার জন্য কি কোনো  আমল করতে পারি যাতে করে উনার কস্ট আল্লাহ কমিয়ে দেন এবং সুস্থতা দান করেন, এবং আরেকটি প্রশ্ন  হলো  একজন অসুস্থ মানুষের উপর কতক্ষণ নামায রোযা ফরয থাকে ??   ।
সবশেষে, আপনাদের কাছে তার জন্য দুয়ার দরখাস্ত রইলো।।
যাজাকাল্লাহু খাইর।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  অসুস্থ ব্যক্তির নামাজের বিবরণ দিয়েছেন-
عن عمران بن حصين رضي الله عنهما قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: ((صلِّ قائمًا، فإن لم تستطع فقاعدًا، فإن لم تستطع فعلى جنب
رواه البخاري في أبواب تقصير الصلاة، باب إذا لم يُطِقْ قاعدًا 1/ 376 (1066)

হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার অশ্ব রোগ ছিল, তাই এ অবস্থায় কিভাবে নামাজ আদায় করবো তা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ‘দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় কর, যদি না পার তবে বসে কর, তাও যদি না পার তাহলে এক পার্শ্বের উপর আদায় কর।’ (বুখারি ১/৩৭৬)
,
যে ব্যক্তি ইশারায় রুকু-সিজদা করবে, সে রুকু থেকে সিজদাতে সামান্য বেশি ঝুঁকবে। অন্যথায় নামাজ সহিহ হবে না। (তিরমিজি, হাদিস নং: ৩৭৬)
,
অসুস্থতার কারণে বসে নামাজ পড়তে অপারগ হলে, শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়বেন। তখন অসুস্থ ব্যক্তির পা কিবলার দিকে করে শোয়াতে হবে। তবে মাথাকে সামান্য ওপরে তুলে শোয়র ব্যবস্থা করতে হবে, যেন চেহারা কিবলার দিকে হয়। এরপর ইশারা করে রুকু-সিজদা করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা: ২৭৩)

শুধুমাত্র মাথা দিয়ে ইশারা করলেও তা রুকু-সিজদার স্থলাভিষিক্ত বলে বিবেচিত হবে। ইশারা কেবল চোখ বা অন্তরে করলে নামাজ শুদ্ধ হবে না। (সুনানে কুবরা, হাদিস নং: ৩৭১৯)

অসুস্থ ব্যক্তি মাথার মাধ্যমে ইশারা করতে অক্ষম হলে, তার অবস্থা বিবেচনা করা হবে। তখন দেখতে হবে, এভাবে তিনি কতক্ষণ থাকেন। পাঁচ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর যদি অবস্থার উন্নতি ঘটে, তাহলে ওই সব নামাজ মাথা দিয়ে ইশারা করে কাজা করে নেবে। আর যদি এর চেয়ে বেশি সময় পার হওয়ার পরও উন্নতি না হয়, তবে ওই সব নামাজ তার দায়িত্বে আর থাকবে না। অর্থাৎ এগুলো আদায় করা লাগবে না। (মুআত্তা মুহাম্মদ, হাদিস নং: ২৭৮, দারা কুতনি, হাদিস নং: ১৮৮৩)
,
"إن تعذر الإیماء برأسه أخرت الصلاة فلا سقط عنه؛ بل یقضیها إذا قدر علیها، ولوکانت أکثر من صلاة یوم ولیلة إذا کان مضیقًا وهو الصحیح، کما في الهدایة. وفي الخانیة: الأصح أنه لایقضي أکثر من یوم ولیلة کالمغمیٰ علیه، وهو ظاهر الروایة، وهذا اختیار فخر الإسلام، وشیخ الإسلام. وفي الخلاصة: وهو المختار؛ لأن مجرد العقل لایکفي لتوجه الخطاب. وفي التنویر: وعلیه الفتویٰ، ولایومئ بعینیه ولابحاجبیه ولابقلبه؛ لما روینا، وفیه خلاف زفر". (مجمع الأنهر، کتاب الصلاة، باب صلاة المریض، دار الکتب العلمیة بیروت ۱/۲۲۹)
সারমর্মঃ  যদি এক দিন এক রাতের নামাজ থেকেও বেশি সময় ধরে এমন হয়, তাহলে তার আর কাজা আদায় করতে হবেনা।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার দাদা যদি ইশারার দ্বারাও নামাজ পড়তে অক্ষম হয়,তাহলে তার জন্য নামাজ মাফ।
ফিদইয়াহও দিতে হবেনা।
,
আপনার দাদা নামাজ আদায়ের শক্তি রাখলে  উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুযায়ী নামাজ আদায় করবে।

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
জী  দোয়া করবো,ইনশাআল্লাহ। 
আল্লাহ তায়ালা যেনো তাকে সুস্থতা দান করেন,আমিন 
,
তার জন্য আকীদা বিশুদ্ধ রেখে দোয়ায়ে ইউনুস এর খতম করতে পারেন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
 এম্ন রুগীকে সাধারণত বিছানায় প্রস্রাব করা লাগে, অধিকাংশ সময় নাপাক থাকে। অযু করানো মত কেও না থাকলে কি করনীয়? আবার পোষাকও পালতে দেওয়া মুশকিল কি করা উচিত সেক্ষেত্রে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 263 views
0 votes
1 answer 227 views
...