আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
328 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

১.109:2

لَاۤ  اَعۡبُدُ مَا تَعۡبُدُوۡنَ ۙ﴿۲﴾
Bengali - Bayaan Foundation
তোমরা যার ‘ইবাদাত কর আমি তার ‘ইবাদাত করি না’

এখানে লা আ'বুদু মাতা'বুদুন এই জায়গায় মাতা'বুদুন এ তা যবর তা এর পর আইন সংযুক্ত না করে সরাসরি মাতাবুদুন পড়লে সালাত   নষ্ট হবে কি?

নামাজে সালাম ফিরানোর সময় আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ এইখানে  আলাইকুম ওই অংশটিতে আলাইকুম(عَلَيْكُمْ) এর কুম অংশ টায় কাফ এর জায়গায় ক্বফ পড়লে সালাত ফাসিদ হবে কি?

সুরা ফালাকের প্রথম আয়াতে ক্বুল আউযুবিরব্বিল ফালাকে আউযুবি এই অংশটিতে আউ এই জায়গায় আইন দিয়ে শুরু না করে আলিফ দিয়ে আউযু শুরু করলে সালাত ভাংবে কি??

113:3

وَ مِنۡ  شَرِّ غَاسِقٍ  اِذَا وَقَبَ ۙ﴿۳﴾
Bengali - Bayaan Foundation
আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়,

আর সুরা ফালাকের এই আয়াতে গসিকিন ইযা ওকবে গসিকিন এই অংশে সীন এর জায়গায় সা উচ্চারিত হলে সালাত ভাংবে কি?

113:5

وَ مِنۡ  شَرِّ حَاسِدٍ  اِذَا حَسَدَ ٪﴿۵﴾
Bengali - Bayaan Foundation
আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’।

আর এই আয়াতে হাসিদিন ইযা হাসাদ এ হাসিদিন বলার সময় বড়  হা এর জায়গায় ছোট হা বললে এবং সিদিন এ সীন এর জায়গায় সা বললে সালাত ভাংবে কি এবং হাসাদ এই জায়গায় বড় হা এর জায়গায় ছোট হা বললে এবং সাদ এ সীন এর জায়গায় সা বললে সালাত ভাংবে কি??

কুরআন তেলাওয়াত এর সময় উচ্চারণ শুদ্ধ হওয়া জরুরি নাকি মাখরাজ সঠিক হওয়া জরুরি? যেমন সীন উচ্চারণ করলে মনে হয় উচ্চারণ সঠিক হয়েছে কিন্তু মাখরাজ সঠিক হয়নি এমন মনে হয়।এতে কি সালাতের কোনো ক্ষতি হয়?


সালাতের মধ্যে কোরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ হওয়া জরুরী মানে যেনো অর্থ না বিগড়ে যায় এমন শুদ্ধ হওয়া জরুরী এবং এর সাথে কুরআন তিলাওয়াত ছাড়া অন্যান্য যতো দোয়া বা তাসবীহ বা তাশাহুদ ও কি অনুরুপ শুদ্ধ হওয়া জরূরী কিনা??শুদ্ধ হওয়া বলতে কুরআন তিলাওয়াত  ছাড়া অন্যান্য দোয়া তাসবীহ,তাশাহুদে যদি ভুল উচ্চারণ এর জন্য অর্থ বিগড়ে যায় এতেও কি সালাত ফাসিদ হবে?

অজুর অংগ গুলো ডলে ডলে ধোয়া কি জরুরী নাকি পানি দিয়ে ভিজলেই ফরজ আদায় হয়ে যাবে??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়, যাকে লাহলে খাফী বলা হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানোর প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন। সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে, সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে, এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।প্রথমবার উচ্ছারিত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলে নামায ফাসিদ হবে না। ভূল উচ্ছারণের সময়ে আপনার নামায বিশুদ্ধ থাকছে কি না? সেই উচ্ছারণ কোনো মুফতির নিকট উল্লেখ করলেই বুঝতে পারবেন যে,আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে কি না?

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এখানে যেহেতু আপনার উল্লেখিত আয়াত সমূহে একটার স্থলে অন্যটা পড়ার দরুণ অর্থে কোনো সমস্যা হয় নাই। তাই আপনার নামাযে কোনো সমস্যা হবে না। নামাযে কিরাত ব্যতীত অন্যান্য তাসবিহাতেও যদি অর্থ বদলে যায়, তাহলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। অজু অঙ্গ সমুহে পানি ঢেলে দেওয়াই যথেষ্ট। ডলে ডলে ধৌত করা জরুরী নয়। তবে মুস্তাহাব। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আলাইকুম এবং বাকি আর কোনো টায় কোনো ভুল হয়েছে কি?উত্তর গুলো একটু আলাদা দিলে ভালো হয়

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...