আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,556 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমরা জানি যে কিছু কিছু কাজের সওয়াব মানুষ মৃত্যুর পরেও পেতে পারে।

ঠিক তেমনি গুণাহের কাজের জন্য গুণাহে জারিয়া রয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে কেউ যদি পাপের পথ ছেড়ে দেওয়ার পরও "অন্য কেউ" তাঁর একসময়কার পাপকার্য (যেমনঃ গান, নৃত্য) ইত্যাদি ব্যবহার করে তবে এজন্য সে পরবর্তীতে দায়ী থাকবে কিনা?? যদি দায়ী থাকে তবে করণীয় কি? কারণ অনেক ক্ষেত্রে নিষেধ করার পরও দেখা যায় ব্যবহার করতে।

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে ব্যক্তি কোনো নেক কাজ করবে এবং নেক কাজের কোনো পদ্ধতি ও রীতিনীতি আবিস্কার করবে, সে বর্তমানে উক্ত কাজ করার কারণে তার  সুওয়াব পাবে, এবং এই কাজ পরবর্তিতে যারা করবে তাদের কৃতকর্মের ধরুণ সেও সমান সুওয়াব প্রাপ্ত হবে।
এবং যে ব্যক্তি কোনো গুনাহর কাজ করবে এবং গুনাহের কোনো পদ্ধতি চালু করবে তার তো প্রথমে গুনাহ হবেই এবং উক্ত কাজ পরবর্তিতে যারা করবে তাদের সামন গুনাহ সেও পাবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻟِﻴَﺤْﻤِﻠُﻮﺍ ﺃَﻭْﺯَﺍﺭَﻫُﻢْ ﻛَﺎﻣِﻠَﺔً ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻣِﻦْ ﺃَﻭْﺯَﺍﺭِ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﻀِﻠُّﻮﻧَﻬُﻢْ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ 
ফলে কেয়ামতের দিন ওরা পূর্ণমাত্রায় বহন করবে ওদের পাপভার এবং পাপভার তাদেরও যাদেরকে তারা তাদের অজ্ঞতাহেতু বিপথগামী করে শুনে নাও, খুবই নিকৃষ্ট বোঝা যা তারা বহন করে।(সূরা নাহল-২৫)
ﻭَﻟَﻴَﺤْﻤِﻠُﻦَّ ﺃَﺛْﻘَﺎﻟَﻬُﻢْ ﻭَﺃَﺛْﻘَﺎﻟًﺎ ﻣَّﻊَ ﺃَﺛْﻘَﺎﻟِﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻴُﺴْﺄَﻟُﻦَّ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻋَﻤَّﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﻔْﺘَﺮُﻭﻥَ
তারা নিজেদের পাপভার এবং তার সাথে আরও কিছু পাপভার বহন করবে। অবশ্য তারা যে সব মিথ্যা কথা উদ্ভাবন করে, সে সম্পর্কে কেয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত হবে।(সূরা আনকাবুত-১৩)
ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺤْﻦُ ﻧُﺤْﻴِﻲ ﺍﻟْﻤَﻮْﺗَﻰ ﻭَﻧَﻜْﺘُﺐُ ﻣَﺎ ﻗَﺪَّﻣُﻮﺍ ﻭَﺁﺛَﺎﺭَﻫُﻢْ ﻭَﻛُﻞَّ ﺷَﻲْﺀٍ ﺃﺣْﺼَﻴْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﺇِﻣَﺎﻡٍ ﻣُﺒِﻴﻦٍ
আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তু স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।(সূরা-ইয়াসিন-১২)

হাদীস শরীফে এসেছে,
ﻣﻦ ﺳﻦ ﻓﻲ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺳﻨﺔ ﺣﺴﻨﺔ ﻓﻠﻪ ﺃﺟﺮﻫﺎ ﻭﺃﺟﺮ ﻣﻦ ﻋﻤﻞ ﺑﻬﺎ ﺑﻌﺪﻩ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺃﻥ ﻳﻨﻘﺺ ﻣﻦ ﺃﺟﻮﺭﻫﻢ ﺷﻴﺌﺎ .
অর্থ : ইসলামে (মুসলমানদের মাঝে) যে ব্যাক্তি কোনো ভালো কাজের সূচনা করবে, তার সওয়াব সে পাবে। সাথে সাথে তাদের সওয়াবও পাবে যারা এরপর সে অনুযায়ী আমল করবে। তবে সে ক্ষেত্রে আমলকারীর সওয়াব থেকে কিছুই কমানো হবে না। এমনিভাবে যে ব্যক্তি ইসলামে (মুসলমানদের মাঝে) কোনো মন্দ কাজের সূচনা করবে তার পরিণামও সে পাবে। সাথে সাথে যারা এরপর সে অনুযায়ী আমল করবে তাদের পরিণামও। এখানে আমলকারীর পরিণামে মোটেও কম করা হবে না। (সহীহ মুসলিম-১০১৭,তিরমিযি-২৬৭৫)

যদি কেউ মন্দ কাজ বা মন্দ রীতিনীতি প্রতিষ্টার পর উক্ত কাজ থেকে খালেছ নিয়তে তাওবা করে নেয়,এবং তার সম্পাদনকৃত গুনাহের কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করে।চেষ্টা-প্রচেষ্টার পরবর্তিতে যারা উক্ত কাজ করবে সে কাজের গুনাহ কি তার কাছে পৌছবে?এমন প্রশ্নের জবাবে দু'টি মত পাওয়া যায়।

(প্রথম মত) 
সম্পাদনকারীর তাওবাহ পরও পরবর্তিতে যারা সে অনুযায়ী  আ'মল করবে বা তাদের অভিনয়কৃত নাটক/ফ্লিম দেখবে, তাদের গুনাহও উক্ত ব্যক্তি অর্থ্যাৎ হিরো/হিরোইনরা পাবে।এ মতামত প্রদাণ করেন হাম্বলী মাযহাবের ইমাম আবু ইসহাক আশ্শাতেবী ও আবু ইসহাক ইবনে শাকিল্লা রাহ।
তাদের দলীল হল নিম্নরূপ।
ﺭﻭﻯ ﺃﺑﻮ ﺣﻔﺺ ﺍﻟﻌﻜﺒﺮﻱ ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﻣﺮﻓﻮﻋﺎ : ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺣﺠﺐ ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ ﻋﻦ ﻛﻞ ﺻﺎﺣﺐ ﺑﺪﻋﺔ ﺣﺘﻰ ﻳﺪﻉ ﺑﺪﻋﺘﻪ
ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻭﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺣﺴﻦ
হযরত আনাছ রাঃ থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তা'আলা বেদআ'তিদের থেকে যতক্ষণ না তারা বেদআ'ত বিসর্জন দিচ্ছে, তাওবাকে প্রতিবন্ধক করে রেখেছেন।(তাবারানী) কিন্ত অন্যান্য আয়াত ও হাদীস তার বিরোধী হওয়ার ধরুণ উলামায়ে কেরাম উক্ত মতামতকে গ্রহণ করেননি।

(দ্বিতীয় মত)
তাওবাহ করা পর তার কৃত কর্মকান্ডকে বন্ধ করা বা উক্ত কাজ থেকে যথাসাধ্য মানুষকে বিরত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করার পরও যদি মানুষ বিরত না থাকে তাহলে এমতাবস্থায় তার গোনাহ হবেনা।তবে তার উচিৎ আল্লাহ তা'আলার কাছে খালেছ নিয়তে তাওবাহ করা ও সর্বাবস্থায় ইস্তেগফার করা।এটা অধিকাংশ উলামায়ে কেরামদের মতামত।
তাদের স্বপক্ষে দলীল হল।
আল্লাহ তা'আলার বানী,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻻَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺃَﻥ ﻳُﺸْﺮَﻙَ ﺑِﻪِ ﻭَﻳَﻐْﻔِﺮُ ﻣَﺎ ﺩُﻭﻥَ ﺫَﻟِﻚَ ﻟِﻤَﻦ ﻳَﺸَﺎﺀ ﻭَﻣَﻦ ﻳُﺸْﺮِﻙْ ﺑِﺎﻟﻠّﻪِ ﻓَﻘَﺪِ ﺍﻓْﺘَﺮَﻯ ﺇِﺛْﻤًﺎ ﻋَﻈِﻴﻤًﺎ
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা'আলা যাকে ইচ্ছা তাকে শিরিক ব্যতীত সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেন। আর যে আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করল সে যেন অপবাদ আরোপ করল।(সূরা নিসা -৪৮)
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﺗُﻮﺑُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻮْﺑَﺔً ﻧَّﺼُﻮﺣًﺎ ﻋَﺴَﻰ ﺭَﺑُّﻜُﻢْ ﺃَﻥ ﻳُﻜَﻔِّﺮَ ﻋَﻨﻜُﻢْ ﺳَﻴِّﺌَﺎﺗِﻜُﻢْ ﻭَﻳُﺪْﺧِﻠَﻜُﻢْ ﺟَﻨَّﺎﺕٍ ﺗَﺠْﺮِﻱ ﻣِﻦ ﺗَﺤْﺘِﻬَﺎ ﺍﻟْﺄَﻧْﻬَﺎﺭ
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে আন্তরিকভাবে খালিছ নিয়তে তাওবা কর। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন ।(সূরা তারীম-০৮)

নবীজী সাঃ আমর ইবনুল আস রাঃকে বললেন।
ﺃَﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﻳَﺎ ﻋَﻤﺮُﻭ ! ﺃَﻥَّ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡَ ﻳَﻬْﺪِﻡُ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻗَﺒْﻠَﻪ
 كتاب الإيمان 
হে আমর ইবনুল আস!তুমি কি জান?ইসলাম  পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহে মিটিয়ে দেয়।(সহীহ মুসলীম-১২১)
ইমাম নববী রাহ,উক্ত হাদীসের ব্যখ্যা লিখেন।
 ﺃَﻱْ : ﻳُﺴْﻘِﻄﻪُ ﻭَﻳَﻤْﺤُﻮ ﺃَﺛَﺮﻩ .
অর্থ্যাৎ ইসলাম গোনাহকে মিটিয়ে দেয় ও  নিশ্চিহ্ন করে দেয়। যদি একজন মানুষ মুসলমান হওয়ার  কারণে তার সমস্ত গোনাহ মাফ হয়ে যায় তাহলে তাওবার মাধ্যমে সমস্ত গোনাহ মাফ হওয়াই যুক্তিসংগত।

মোল্লা আলী কারী রাহ, বলেন।
ﻗﺎﻝ ﺍﺑﻦ ﺣﺠﺮ : ﺗﻨﺒﻴﻪ : ﻟﻮ ﺗﺎﺏ ﺍﻟﺪﺍﻋﻲ ﻟﻺﺛﻢ ﻭﺑﻘﻲ ﺍﻟﻌﻤﻞ ﺑﻪ، ﻓﻬﻞ ﻳﻨﻘﻄﻊ ﺇﺛﻢ ﺩﻻﻟﺘﻪ ﺑﺘﻮﺑﺘﻪ، ﻷﻥ ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ ﺗﺠﺐ ﻣﺎ ﻗﺒﻠﻬﺎ، ﺃﻭ ﻻ، ﻷﻥ ﺷﺮﻃﻬﺎ ﺭﺩ ﺍﻟﻈﻼﻣﺔ، ﻭﺍﻹﻗﻼﻉ، ﻭﻣﺎ ﺩﺍﻡ ﺍﻟﻌﻤﻞ ﺑﺪﻻﻟﺘﻪ ﻣﻮﺟﻮﺩﺍ ﻓﺎﻟﻔﻌﻞ ﻣﻨﺴﻮﺏ ﺇﻟﻴﻪ، ﻓﻜﺄﻧﻪ ﻟﻢ ﻳﺮﺩ ﻭﻟﻢ ﻳﻘﻠﻊ؟ ﻛﻞ ﻣﺤﺘﻤﻞ، ﻭﻟﻢ ﺃﺭ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻧﻘﻼ، ﻭﺍﻟﻤﻨﻘﺪﺡ ﺍﻵﻥ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ،
ইবনে হাজার রাহ বলেনঃ- যদি গোনাহের দিকে আহ্বানকারী তাওবা করে নেয় কিন্তু তার সম্পাদনকৃত গোনাহের কাজ এখনও বাকী থাকে।তাহলে তার তাওবার মাধ্যমে কি তার পথপ্রদর্শনের গোনাহ মাফ হবে? 
(১)মাফ হবে কেননা তাওবাহ তার পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহকে ক্ষমা করে দেয়।
(২)অথবা মাফ হবেনা কেননা তাওবাহর শর্ত হচ্ছে গোনাহকে চিরতরে মিটিয়ে দেয়া।অথচ এখানে গোনাহ চিরতরে নিশ্চিহ্ন হচ্ছে না বরং যখনই উক্ত গোনাহের কাজ সংগঠিত হচ্ছে বা হবে তখনই তার দিকে গোনাহকে নিসবত করা হবে।উভয়-ই সম্ভাবনীয়। এ সম্পর্কে আমি কোনো সুস্পষ্ট ব্যখ্যা কোনো কিতাবে পাইনি।তবে দ্বিতীয়টি ত্রুটিযুক্ত।

 ﻭﺍﻷﻇﻬﺮ ﺍﻷﻭﻝ، ﻭﺇﻻ ﻓﻴﻠﺰﻡ ﺃﻥ ﻧﻘﻮﻝ ﺑﻌﺪﻡ ﺻﺤﺔ ﺗﻮﺑﺘﻪ، ﻭﻫﺬﺍ ﻟﻢ ﻳﻘﻞ ﺑﻪ ﺃﺣﺪ، ﺛﻢ ﺭﺩ ﺍﻟﻤﻈﺎﻟﻢ ﻣﻘﻴﺪ ﺑﺎﻟﻤﻤﻜﻦ ﻭﺇﻗﻼﻉ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﺑﺤﺴﺒﻪ ﺣﺘﻤﺎ ﻭﺃﻳﻀﺎ ﺍﺳﺘﻤﺮﺍﺭ ﺛﻮﺍﺏ ﺍﻻﺗﺒﺎﻉ ﻣﺒﻨﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﺳﺘﺪﺍﻣﺔ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻤﺘﺒﻮﻉ ﺑﻪ، ﻓﺈﺫﺍ ﺗﺎﺏ ﻭﻧﺪﻡ ﺍﻧﻘﻄﻊ، ﻛﻤﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﺪﺍﻋﻲ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻬﺪﻯ ﺇﻥ ﻭﻗﻊ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺩﻯ ـ ﻧﻌﻮﺫ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻣﻨﻪ ـ ﺍﻧﻘﻄﻊ ﺛﻮﺍﺏ ﺍﻟﻤﺘﺎﺑﻌﺔ ﻟﻪ، ﻭﺃﻳﻀﺎ ﻛﺎﻥ ﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ﺩﻋﺎﺓ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻀﻼﻟﺔ، ﻭﻗﺒﻞ ﻣﻨﻬﻢ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﻟﻤﺎ ﺃﻥ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﻳﺠﺐ ﻣﺎ ﻗﺒﻠﻪ، ﻓﺎﻟﺘﻮﺑﺔ ﻛﺬﻟﻚ، ﺑﻞ ﺃﻗﻮﻯ، ﻓﺈﻥ ﺍﻟﺘﺎﺋﺐ ﻣﻦ ﺍﻟﺬﻧﺐ ﻛﻤﻦ ﻻ ﺫﻧﺐ ﻟﻪ . ﺍﻫـ
প্রথম অভিমতটিই বেশ পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্য। নতুবা আমাদের বলতে হবে যে, তার তাওবাহ-ই গ্রহণ হয়নি।
অথচ এমনটা কেউ বলেননি।(বরং সবাই তাওবাহ গ্রহণের পক্ষে)।অতঃপর সম্পাদনকৃত মন্দকাজ কাজকে সমাজ থেকে দূরীভূত করণ সামর্থ্যর উপর।
টিক তেমনিভাবে সম্পাদনকৃত  ভাল কাজের অনুসারীদের অনুসরণের সওয়াব,সেই কাজকে তাদের অনুসরণ করতে প্রতিষ্টাকারীর সন্তুষ্টির উপর  ধর্তব্য। নতুবা তিনি সওয়াব পাবেননা। যখন সে তাওবাহ করে নিবে ও কৃতকাজের উপর লজ্জিত হবে এটাই তার জন্য উক্ত কাজকে নিশ্চিহ্ন করণের মত।(আল্লাহ না করুক) যদি কোনো নেক কাজের প্রতিষ্টাতা মুরতাদ হয়ে যায় তাহলে সে আর কখনো অনুসরণের সওয়াব পাবেনা।টিকতেমনিভাবে মন্দকাজের প্রতিষ্টাতা ও আহ্বানকারী অনেক কাফির এক সময় ইসলাম গ্রহণ করে, এবং ইসলাম তার সমস্ত গোনাহকে ধংস করে, কেননা ইসলাম  পূর্ববর্তী সমস্ত গোনাহে মিটিয়ে দেয়।(যা সর্বসম্মত)।ঠিক তাওবার বিষয়টাও এরকম। অর্থ্যাৎ তাওবাহ করার পর  তাওবাহ কারীর যেন কোনো গুনাহ-ই আর অবশিষ্ট থাকে না ।(মিরকাতুল মাফাতীহ -২/২৭)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...