কাউকে গালি দেওয়া,মহিলাদের কন্ঠ সংক্রান্ত

Question

আসসালামুআলাইকুম
১) কেউ কি গালি দিলে কবরে একটি বিচ্ছু সৃষ্টি হয়,,,, এই কথার কোন দলিল আছে?

২) মানুষকে গালি দেওয়ার শাস্তি সম্পর্কে জানতে চাই,,,

৩) কোন মেয়ে কেউকে আরবি পড়াতে হলে সে বাসার পুরুষ মানুষ যদি মেয়ের কন্ঠ শুনতে পায় এতে কি গুনাহ হবে?

৪) যে ওয়াক্তে পিরিয়ড হয়েছে ওই ওয়াক্ত নামাজ কি কাজা পড়ে দিতে হয়?

Answer 1

জবাব

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)

এ কথা ভিত্তিহীন। 

শরীয়তের কোনো দলিল নেই। 

(০২)

শরীয়তের বিধান হলো  কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া জায়েজ নয়। এটি ফাসেকী।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّ وَ لَا تَلْمِزُوْا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.

হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা এসব থেকে বিরত না হবে তারাই যালেম। -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ১১

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী। আর তাকে হত্যা করা কুফরী। {বুখারী, হাদীস নং-৬০৪৪] 

,

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/4851/

,

★সুতরাং গালি দিলে সেটি কবিরা গুনাহ হবে, এতে তাকে কবিরা গুনাহের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

,

(০৩)

গ্রহনযোগ্য মতানুসারে যেহেতু মহিলাদের কন্ঠও সতরের অন্তর্ভুক্ত। 

   

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি গায়রে মাহরাম তার তিলাওয়াত শুনতে পায়,তাহলে গুনাহ হবে।

,

বিস্তারিত জানুনঃ  

https://www.ifatwa.info/1058

,

(০৪)

না,সেই ওয়াক্তের নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।

,

হায়েজ শুরু এবং বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে নামাজের শেষ ওয়াক্তই ধর্তব্য।  

সুতরাং কোনো নামাজের ওয়াক্তের একেবারে শেষে৷ যদি কোনো মহিলার হায়েজ আসে,তাহলে সেই নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।  

,

বিস্তারিত জানুনঃ

https://www.ifatwa.info/14181/